আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউরোপের নরক

আমি অগোছালো শব্দের কুন্ডলি, আমি ভালোবাসতে পারি, মায়ের মুখের জন্য ছিনিয়ে আনতে পারি হাসি, আমি ছিনিয়ে আনতে পারি মানচিএ, গড়তে পারি দেশ। যদিও বা আমি অগোছালো শব্দের কুন্ডলি। ছুঁয়ে দেখো আমায়; আমি অগোছালো শব্দের কুন্ডলি, আমি ভালোবাসতে পারি। ।

বহুল আলোচিত দেশ সাইপ্রাস (ইউরো সাইপ্রাস বা গ্রীক সাইপ্রাস) যা আজ কেবলই সমালোচিত।

আমি নেদারল্যান্ড থেকে ফিরছি আমার প্রাণের দেশ বাংলাদেশের মাটিতে। হঠাৎ অপ্রত্যাশিত ভাবেই খারাপ আবহাওয়ার কারনে সাইপ্রাসের মাটিতে নামতে হলো। ছিলাম 2দিন। ওখানকার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে অনুমতি নিয়ে লারনাকা এয়ারপোর্ট থেকে একটা ট্যাক্সিতে রওনা হলাম সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়ার উদ্দেশ্যে। জানালায় তাকিয়ে তাকিয়ে হাসলাম সাইপ্রাসের চিএ দেখে; এটা নাকি ইউরোপ! তার চেয়ে বেশি হাসি পেল সাইপা্রসের এয়ারপোর্ট দেখে।

যেন মনে হবে গোয়ালঘর। ঘন্টা খানিকের মধ্যে পৌছে গেলাম। ঘুরতে শুরুকরলাম রাজধানীর পথ ধরে। তেমন কিছুই চোখে পরল না। সোলমস স্কয়ার নামের একটা জায়গা, ওটাই বলা চলে নিকোসিয়ার মেইন পয়েন্ট।

ওখানে মানুষ-জন আসে সন্ধ্যায় আড্ডা দিতে, গলা পুরে মদ গিলতে। দু-একটা নাইট ক্লাব আছে এইতো। সলোমস স্কয়ারে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষন। বেশ কিছু বাঙালী ভাইদের দেখা মিললো। যাদের বেশীর ভাগই সাইপ্রাসে পড়তে আসা ছাএ।

ওদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম কিছু তথ্য, যা খুবই দুঃখজনক এবং কষ্টদায়ক। আমরা বেশীর ভাগই মধ্যবিত্ত পরিবারের। আর যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেই সবারই চিন্তা-ভাবনা থাকে কাজ করার পাশাপাশি পড়াশুনাটা চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু কাজ করার সুযোগটা ওখানে একেবারেই নেই। একেতো কোন কাজ নেই ওখানে, তার উপর ছাএ-ছাএীদর কাজ করার কোন অনুমতিও নেই।

তাছাড়া সাইপ্রাসের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশোনার মানও একেবারেই ভালোনা। এছাড়া সাইপ্রাস একটি ব্যয়-বহুল দেশ। আর যদি কেউ গোপনে কোন কাজও করে, ধরা পরলে জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে। বিদেশের উচ্চ শিক্ষা নিতে আসা এসকল ছাএ-ছাএীদের ভবিষ্যত কি? না পারছে তারা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে না পারছে কোন কাজ করতে। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে রিফুজীর খাতায় নাম লেখাচ্ছে।

ওই সকল ছাএ-ছাএীদের কান্না আজ ও আমাকে কষ্ট দেয়। দেশ থেকে এত বড় একটা টাকার অংশ সেই সাথে মেধাগুলো এভাবে পাচার হয়ে আমাদের জন্য কী বয়ে আনছে? চটকদার কিছুমিডিয়া সেন্টারের চটকদারী বিজ্ঞাপনের ঘানি টানছে ওই সকল ছাএ-ছাএীরা। আমার ভাবতে কষ্ট হয় যে, আমার এই সোনার দেশটাকে আমরা কতটুকু ভালোবাসি !! আর ওই সকল মিডিয়া সেন্টার ব্যবসায়ীরা কি আমার এই প্রানের দেশ, সোনার দেশ এই বাংলার মাটির গন্ধে মাখা মানুষ? যাদের প্ররোচনায় আমার দেশের সোনার ছেলে-মেয়েরা আজ বিপাকে। দুবাই হয়ে তিন দিন পর দেশে ফিরলাম, দেশের মাটিতে পা রেখে প্রান ভরে নিঃশ্বাস নিলাম। তার সাথে ব্যাকুলতা আম্মু-আব্বুর মুখখানি দেখার।

তারপর বাংলাদেশে এসেই বিভিন্ন দরজায় ঘুরোঘুরি শুরু করলাম; লাভ হয়নি কিছুই, কোন সাড়া পেলামনা এমনকি কেউ এগিয়েও এলোনা এই সকল প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবসহা নিতে। তারা আজও বীরদর্পে পএিকাগুলোতে রসের বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের কোন উদ্যোগও নেই, মাথা ব্যথাও নেই কে কোথায় পড়তে গেল !! তাই আশ্রয় নিলাম somewhereingblog- এর। আর এ লেখাগুলো লেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সাইটটির উদ্যক্তাদের জানাই আমার পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদিও উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউরোপ-আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে স্বর্গ।

আর উচ্চ শিক্ষার দেশ হতে পারে ইউরোপের যেকোন একটি । কিন্তু সেটা যেন না হয় ইউরোপে স্বীকৃতি পাওয়া নতুন দেশগুলি। বিশেষ করে যেন না হয় ইউরোপের নরক সাইপ্রাস। নিম্নেকিছু প্রতারনাকারী মিডিয়া সেন্টারের নাম দেয়া হলো, চিনে রাখুন ঃ 1) P@OWER CONSULTANT, Helena Center(3rd Floor) House # 95 New Eskaton Road, Dhaka 2) CONTACT INTERNATIONAL Moghbazar More, Dhaka

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।