গত সপ্তাহের শেষ দিনে রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে রোববার ১৬ দশমিক ০০৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি রেমিটেন্স পাঠানোয় রিজার্ভ বাড়ছে। ”
এছাড়া রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ অগাস্ট দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতি ১৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
৫ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ।
৯ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ৮৯ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
গত কয়েকদিনে তা বেড়ে রোববার আবার ১৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
ছাইদুর রহমান বলেন, দুমাস পর পর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়। ৯ সেপ্টেম্বর জুলাই-অগাস্ট মেয়াদের বিল শোধ করা হয়েছে।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরের মেয়াদের বিল শোধ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মহাব্যবস্থাপক বলেন, “এসময় পর্যন্ত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের উপরেই অবস্থান করবে। ”
রিজার্ভের এই অর্থ দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি বিল মেটানো সম্ভব বলে জানান তিনি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-অগাস্ট) আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে বলে জানান ছাইদুর রহমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।