রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ এই মাইল ফলক অতিক্রম করল। ”
এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় সাত আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা জানান।
ছাইদুর রহমান বলেন, “মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের উপরেই থাকবে বলে আমর আশা করছি।
”
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ৭ মে তা ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। আর গত ১৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের রিজার্ভ ২৭৫ বিলিয়ন ডলার; আর পাকিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১২৫ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
আর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ৬৫ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স।
অবশ্য অর্থবছরের সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) হিসাবে গতবারের চেয়ে এ অর্থবছরে ৮ শতাংশ কম রেমিটেন্স এসেছে। তবে এই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের হাতে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।