আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশদ্রোহী ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে

আহ অমরত্ব, তোমার উষ্ণ ঠোঁটে রাখি ঠোঁট, চোখ বন্ধ করে সবটুকু আনন্দ ভোগ করি। তোমার উষ্ণতায় বারেবারে বিলীন হয়ে যাই, দিতে পারিনি কিছুই, শুধু নষ্ট করে যাই। সময়টা ১৭৫৭ সাল। একজন মীরজাফর বাংলার স্বাধীনতার সূর্যটা ডুবিয়ে দিলেন। বাংলা অভিধানে নতুন একটি শব্দ যোগ হল।

এখন আমরা মীরজাফর বলতে বিশ্বাসঘাতক বুঝি। সময়টা ১৯০৫ সাল। বঙ্গবঙ্গ পাশ হওয়ার পর পূর্ব বাংলার জনগন উচ্ছাস প্রকাশ করলেও, কলকাতার জনগণের রাতের ঘুম হারাম। আগে পূর্ব বঙ্গের লোকজন কোন প্রয়োজন হলেই কলকাতায় দৌড়াত। ঢাকা রাজধানী হলে তারা আর আসবেনা, তাদের শোষণ করাও যাবেনা।

তাই তারা বঙ্গবঙ্গ রদ করার জন্য ঝাপিয়ে পড়লো। এটা দুঃখের বিষয় নয়। দুঃখের ব্যাপার পূর্ববঙ্গের হিন্দুরা ও এই আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়লো। ক্ষুদিরাম তো পূর্ববঙ্গের গভর্নরের উপর বোমা হামলা করতে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুললেন। আমাদের দেশের অনেক কবিই ক্ষুদিরামকে সোনার ছেলে বলে আখ্যায়িত করেছেন।

আমাদের দেশের হিন্দুদের এই আন্দোলন আমাদের প্রায় ৫০ বছর পেছনে ঠেলে দেয়। বঙ্গবঙ্গ রদ হল। ঢাকার রাজধানী হওয়া হলনা। সময়টা ১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লো সারা দেশ।

কিন্তু এখানেও দেশদ্রোহী, দেশদ্রোহীরা গড়ে তুলল আলবদর,আলশামস, রাজাকার বাহিনী। তাদের সহযোগিতায় পাকিস্তনি বাহিনী নির্মম অত্যাচার চালাল। অবশেষে সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আমরা স্বাধীন হলাম। সময়টা ২০১২ সাল। আইসিসির সদস্য পদ লাভের জন্য এক বিপদজনক চুক্তি করেন আ হ ম মোস্তফা কামাল।

সহ সভাপতি পদ লাভের জন্য তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফেলে দেন হুমকির মুখে। যাই হোক, একদিন এক ছেলেকে নিয়ে তার বাবা আসলেন। আমি ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলাম "তোমার নাম কি"? ছেলেটা বলল, "গোলাম আযম" আমি আমার পাশের জনের দিকে তাকালাম,দেখলাম সে হাসছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.