আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্পার্টাকাস

বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত গ্ল্যাডিয়েটর মানা হয় স্পার্টাকাসকে  [spartacus]।

তবে তার জীবনের শুরুটা বেশ ঘটনাবহুল। একজন বীর গ্ল্যাডিয়েটর হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে দারিদ্র্যের জীবন কাটাতে হয়েছে তাকে। সাধারণ সৈনিকের জীবন তো বটেই, বন্দী হয়ে তাকে শেষ পর্যন্ত দাসত্ব বরণ করে নিতে হয়েছিল। আর সে দাসত্ব থেকেই গ্ল্যাডিয়েটর স্পার্টাকাসের জন্ম।

গ্ল্যাডিয়েটর হওয়ার আগে তিনি ছিলেন একজন থ্রাসিয়ান সৈনিক এবং যাকে রোমান সৈন্যরা বন্দী করে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। লেনটুলোস বাটাইটাস নামের এক লোক তৎকালীন সময়ে ক্যাপুয়া নামের একটি গ্ল্যাডিয়েটর স্কুল পরিচালনা করতেন। তিনিই সর্বপ্রথম স্পার্টাকাসের ভেতর একজন গ্ল্যাডিয়েটর হওয়ার অমিত সম্ভাবনা খুঁজে পান। পাকা জুহুরি ছিলেন বাটাইটাস। তিনি স্পার্টাকাসকে গ্ল্যাডিয়েটর বানানোর অভিপ্রায়ে চড়া দামে কিনে নিলেন।

শুরু হলো সৈনিক স্পার্টাকাসের নতুন জীবন। গ্ল্যাডিয়েটর স্কুলে স্পার্টাকাস খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একজন গ্ল্যাডিয়েটর হওয়ার সম্পূর্ণ শিক্ষালাভ করলেন। পরের ঘটনা কেবলই ইতিহাস। ক্রমে ক্রমে স্পার্টাকাস একজন বিখ্যাত গ্লাডিয়েটর হয়ে উঠেন এবং অনেক যুদ্ধ জয় করেন। কথা ছিল বাটাইটাস একটা সময় পর তাকে স্বাধীনতা দেবেন।

কিন্তু প্রতারণার শিকার হর স্পার্টাকাস। বাটাইটাস তাকে স্বাধীনতা দিতে চেয়েও প্রতারণা করেন। ৭৩ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে স্পার্টাকাস তার ৭০ গ্ল্যাডিয়েটরকে সঙ্গে নিয়ে বাটাইটাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এই দাস-বিদ্রোহে বাটাইটাস খুন হন। আর ওই সময়ই অনেক ক্রীতদাস মুক্ত হয়ে পড়ে।

যার ফলে একটি বড় ও শক্তিশালী বাহিনীর সৃষ্টি হয়। অচিরেই তারা ৭০,০০০ হাজার দাসের একটি বাহিনীতে পরিণত হয়।

৭২ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে পুরো শীতকালজুড়ে গ্ল্যাডিয়েটর ও দাসরা প্রশিক্ষণে ব্যয় করে। এরপর বাধে যুদ্ধ। রোমান বাহিনী ও গ্ল্যাডিয়েটর-দাসদের এই যুদ্ধ তৃতীয় সারভিল ওয়ার হিসেবে এখন পরিচিত।

স্পার্টাকাসকে হত্যার জন্য অনেক বাহিনী পাঠানো হয় কিন্তু গ্ল্যাডিয়েটররা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সহজেই তাদের পরাজিত করে। ৭১ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে, মারকুস ক্রেসুস ৫০,০০০ উন্নত প্রশিক্ষিত রোমান সৈন্য নিয়ে স্পার্টাকাসের বাহিনীর বিরুদ্ধে অগ্রসর হন এবং ক্রেসুস দক্ষিণ ইতালিতে স্পার্টাকাসকে আটক করেন। শেষ পর্যন্ত বন্দী স্পার্টাকাসকে হত্যা করা হয়। তার অনুগামীদের ছয় হাজার বন্দী হয় এবং পরে তাদের ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। তাদের মৃতদেহ দিয়ে কেপুয়া থেকে রোম পর্যন্ত রাস্তার ধারে লাইন তৈরি করা হয়েছিল।

২০০০ সালে এ সত্য ঘটনার অবলম্বনে রাসেল ক্রো অভিনীত মুভি GLADIATOR নির্মিত হয়।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।