আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোগল হেরেমের দুনিয়া কাঁপানো প্রেম (১৫তম পর্ব)

সম্রাটের মুখে প্রেমময় শব্দ শোনার পর সম্রাজ্ঞী আবেশে হতবিহ্বল হয়ে পড়লেন।

তার হাত-পা কাঁপছিল। ঠোঁট দুটিও কাঁপছিল। সম্রাট সম্রাজ্ঞীর কম্পমান ঠোঁট এবং দেহটি তার আপন করায়ত্তে অধিকারভুক্ত করে নিলেন। কিছুক্ষণ পর আবার বললেন, বল প্রিয়তম! কিছু একটা বল, কিছু একটা চাও! সম্রাজ্ঞী অনতনয়নে বললেন- শাহেনশাহ! গোস্তাকি মাফ করবেন।

আমার খুব শখ হচ্ছে কিছুক্ষণ আপনার কোলে চড়ে আপনার গলা ধরে ঝুলে থাকতে! তারপর প্রাসাদ বেদিতে গিয়ে মুক্ত বাতাসে আপনার সঙ্গে পাশাপাশি বসে জীবনের কিছু ভালোলাগা মুহূর্ত নিয়ে গল্প করার জন্য এবং সব শেষে আপনার মুখ থেকে আপনার প্রিয় কবি হাফিজের একটি কবিতা শোনার জন্য। সম্রাটের প্রেমিকমন এ কথা শোনামাত্র আনন্দে লাফিয়ে উঠল। তিনি কালবিলম্ব না করে স্ত্রীকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলেন। সম্রাজ্ঞীও স্বামীর গলা জড়িয়ে তার মুখমণ্ডল, গণ্ডদেশ, চোখ ও ললাটে একের পর এক ভালোবাসার চিহ্ন আঁকতে লাগলেন। আবেশে সম্রাটের সারা দেহ শিরশির করে উঠল।

জীবন যে কত মধুর, কত প্রেমময় এবং কাব্যিক হতে পারে তা তিনি সে রাতে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করলেন।

স্ত্রীর আবদার মতো সম্রাট নূরজাহানের হাত ধরে কামরা থেকে বেরিয়ে এলেন। সম্রাটের পাহারায় নিযুক্ত রক্ষীরা এবং বেসামরিক কর্তারা প্রথা অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্বে সরে গেল। তারা পরস্পর তলোয়ারের হাতলে হাত রেখে কোষবদ্ধ তরবারির অর্ধেকটা টেনে বের করল আবার সজোরে তা কোষবদ্ধ করল। এই কোষবদ্ধ করার সময় একটি আওয়াজ বের হলো, যা মুহূর্তের মধ্যেই সমগ্র প্রাসাদের কোনায় কোনায় সতর্কতার ইঙ্গিত হিসেবে প্রহরীদের কাছে একের পর এক পৌঁছতে পৌঁছতে প্রাসাদের মূল ফটকে অবস্থিত প্রহরী এবং কামানের দায়িত্বে নিয়োজিত গোলন্দাজ বাহিনীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছে গেল।

ফতেহপুর সিক্রির দেওয়ানি খাস থেকে প্রাসাদের মূল ফটকের দূরত্ব প্রায় দুই মাইল। এই দীর্ঘপথের অসংখ্য সেনা চৌকির রক্ষীরা নিকটবর্তী চৌকি থেকে তলোয়ার কোষবদ্ধ করার শব্দ শোনামাত্র নিজেদের তলোয়ারের কোষে আওয়াজ তুলে তা পরবর্তী চোকির পাহারাদারদের জন্য সতর্কবার্তা প্রেরণের কাজটি করে থাকে মাত্র এক মুহূর্তের মধ্যে। সবশেষ সংকেতটি দুর্গের সদর দরজায় পোঁছামাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান দ্বাররক্ষী বন্দুকের গুলি ছুড়ে জানান দেন, সব কিছু ঠিক আছে। আর তখনই সম্রাট নিরাপদে রাতের অন্ধকারে প্রাসাদের সর্বত্র হাঁটাচলা করার গ্রিন সিগন্যাল পান।

সদর দরজা থেকে বন্দুকের আওয়াজ আসামাত্র শাহেনশাহ স্ত্রীর হাত ধরে ধীরে ধীরে প্রাসাদের দক্ষিণ বেদির দিকে রওনা দিলেন।

মধ্যরাত থেকে তখনো বেশ খানিকটা সময় বাকি আছে। আকাশ পরিষ্কার। একাদশীর চাঁদ মনে হচ্ছে কিছুটা অভিমান করে জ্যোৎস্না বিলাচ্ছে। মাঝে-মধ্যে সাদা মেঘের ভেলা চাঁদের সেই আলোকে কিছুটা ম্লান করার চেষ্টা করে যাচ্ছে অনবরত। অপূর্ব সুন্দর এবং মনোরম বাতাসের ঝাপটা এসে দেহমনে এক ধরনের প্রশান্তির স্পর্শ লাগিয়ে দিচ্ছে।

দু-চারটা নিশাচর পাখি পাখা ঝাপটে উড়ে যাচ্ছে এবং তারা একবারও হিন্দুস্তানের শাহেনশাহর অন্দরমহলের ওপর দিয়ে ওড়ার সময় কোনো নিয়ম-কানুনই মানছে না। বরং মাঝে-মধ্যে অদ্ভুত শব্দে ডাকাডাকি করে প্রাসাদবাসীকে কি যেন বোঝাতে চাচ্ছে। সম্রাট গভীর রাতের প্রকৃতির পরিবেশের এসব বৈশিষ্ট্য সে রাতে অনুভব করতে করতে বেদির দিকে এগুতে লাগলেন। কর্মরত সেবকরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে সম্রাট-সম্রাজ্ঞীর আদেশের অপেক্ষা করতে থাকলেন। তারা এই রাজদম্পতির বিয়ের পর প্রাসাদের ভেতরে-বাইরে গত বেশ কিছু দিন যাবৎ অদ্ভুত ও অভূতপূর্ব সব ঘটনাবলি দেখে আসছে।

আজকের রাতে তারা যা দেখল তা মোগল হেরেমে কোনো দিন ঘটেনি। দিনে বা রাতে কোনো মোগল সম্রাট এর আগে স্ত্রীর হাত ধরাধরি করে জেনানামহলের খাস কামরা থেকে প্রাসাদ বেদিতে আসেননি। কাজেই শাহেনশাহর এই অদ্ভুত কর্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কি অদ্ভুত নির্দেশ দিয়ে বসেন- সেই ভাবনায় দায়িত্বরত সেবকরা ছিল তটস্থ এবং যুগপৎভাবে ভীত-সন্ত্রস্তও বটে।

সম্রাট-সম্রাজ্ঞী হাত ধরাধরি করে প্রাসাদ বেদিতে পৌঁছলেন। তারপর বসে পড়লেন কোনো রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া।

ফরাস, তাকিয়া কিংবা চেয়ার কিছুই ছিল না। একজন সাধারণ দম্পতির মতো তারা গভীর রাতের নীরব ও নিস্তব্ধ পরিবেশে আকাশের জ্যোৎস্না আর জমিনের বাতাসের সঙ্গে একাকার হয়ে যেতে চাইলেন। সম্রাট স্ত্রীকে অনুরোধ করলেন তার কোলে মাথা রেখে শোয়ার জন্য। অবোধ বালিকার মতো সম্রাজ্ঞী তাই করলেন। সম্রাটের কোলে মাথা রেখে প্রাসাদ বেদির মেঝেতে চিৎ হয়ে সটান করে শুয়ে পড়লেন।

এলোমেলো বাতাসে তার কয়েক গোছা চুল মুখমণ্ডলের ওপর পড়ল। ওড়নার আঁচল বাতাসের ঝাপটায় বারবার স্থানচ্যুত হয়ে পড়ছিল আর সম্রাজ্ঞী তা গুছিয়ে রাখার চেষ্টায় রত হচ্ছিলেন। সম্রাট মুচকি হেসে বললেন, কেন বারবার ওড়না ঠিক করার জন্য উতলা হচ্ছ। আমি কি এতই খারাপ যে, আমার সামনে ওড়নাটা একটু অসংলগ্ন হয়ে পড়লে তোমার ভারি ক্ষতি হয়ে যাবে? সম্রাজ্ঞী কোনো কথা না বলে স্বামীর ডান হাতটা টেনে নিলেন। অনেকবার চুমু খেলেন রাজপুরুষের হাতের পাতায়।

আলতো করে দুটি দাঁত দিতে সম্রাটের ডান হাতের আঙ্গুলগুলোকে মৃদু দংশন করলেন। তারপর সম্রাটের হাত নিয়ে নিজের চিবুকে অনেকক্ষণ ধরে রাখলেন এক সময় হাতটিকে যক্ষেরধনের মতো দুহাত দিয়ে নিজের বুকের ওপর চেপে ধরে করুণ নেত্রে স্বামীর পানে তাকালেন। প্রেয়সীর সেই রাতের রূপ দেখে সম্রাটের প্রেমিকমন হাহাকার করে উঠল। তিনি সম্রাজ্ঞীর ওষ্ঠ, ললাট আর ডাগর দুটি চোখে বারবার ভালোবাসার চিহ্ন বসাতে লাগলেন।

বেশ কিছুক্ষণ রাজদম্পতি নীরবে তাদের অভিসার পর্ব চালাতে পারলেন।

কিন্তু দুর্গ শিখরে রাত দ্বিপ্রহরের ঘণ্টা বেজে ওঠার শব্দে তারা সম্ভিত ফিরে পেলেন। সম্রাজ্ঞী বললেন, এবার বোধহয় আমাদের চলে যাওয়া উচিত। আপনার বিশ্রাম দরকার এবং আগামীকাল দরবারে আপনাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিষ্পত্তি করতে হবে। সম্রাট দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন- এ মুহূর্তে নিজেকে সম্রাটের তুলনায় একজন গৃহস্থ ভাবতে ইচ্ছে করছে। তিনি আরও বললেন, সিন্ধু উপত্যকার সাধারণ কিষাণ-কিষাণীর জীবনযাত্রা তিনি দেখেছেন।

দেখেছেন রাজপতুনার সাধারণ মানুষের জীবনপ্রণালি। আবার দাক্ষিণাত্য, হরিদ্বার কিংবা অযোধ্যার জীবনপ্রণালিও দেখা হয়েছে। কিন্তু আকার, আয়তন আর রাজস্ব আদায়ে সর্ব শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনো সুবেবাংলায় যাননি। অথচ এলাকাটি সম্পর্কে অনেকেই মজার মজার সব গল্প বলেছে। সেখানকার নারী-পুরুষ নাকি অতিশয় সুন্দর।

সেখানকার বৃক্ষ-লতা-তরুরাজির সবুজ-শ্যামল কান্তি দেখলে নাকি অন্তর জুড়িয়ে যায়। সেখানকার নদীগুলো সবই সাপের মতো এঁকে-বেঁকে প্রবাহিত হয় এবং বর্ষাকালে নদী আর স্থলভাগ পানিতে একাকার হয়ে একটা সাগরে রূপান্তরিত হয়। সেই সাগরে তখন হাজার প্রজাতির সুস্বাদু ছোট-বড় মাছ ভেসে বেড়ায় এবং এর মধ্যে নাকি কিছু অপরূপ মাছ রয়েছে, যা দুনিয়ার অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। দিলি্লর সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক নাকি একবার ইলিশ নামের সেই তৈলাক্ত ও সুস্বাদু মাছ খেয়েছিলেন সুবেবাংলা পরিদর্শনে গিয়ে। তারপর মাছের স্বাদে পাগল হয়ে একের পর এক মাছ খেতে আরম্ভ করলেন এবং এক সময় তিনি উদরাময়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।

সুবেবাংলার বাঘ, চিত্রল হরিণ, নীলগাই এবং বিভিন্ন প্রজাতির গোখরা সাপও নাকি পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। কথা বলতে বলতে সম্রাট খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। তিনি সম্রাজ্ঞীকে অনুরোধ করলেন সুবেবাংলার সাধারণ মানুষকে নিয়ে সম্রাজ্ঞীর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য স্মৃতি বর্ণনা করার জন্য। সম্রাজ্ঞী বললেন- আমার শাহেনশাহ! আমি অনেকক্ষণ হলো আপনার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি। আমার ভয় হচ্ছে, না জানি আমার মাথা আর শরীরের একাংশের ভারে আপনার ঊরু ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে কিনা? আমি কি শুয়ে শুয়েই আমার কাহিনী বলব নাকি উঠে বসব? প্রকৃতপক্ষেই সম্রাটের ঊরু কিছুটা ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল।

অন্যদিকে কোনো রকম তোশক ছাড়া খালি মেঝেতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে এক ধরনের ক্লান্তি অনুভব করলেন। কিন্তু সম্রাজ্ঞীর অপরূপ রূপ-লাবণ্য ভরা মুখমণ্ডল চাঁদের আলোর স্নিগ্ধতায় আরও অপরূপ হয়ে উঠছিল। সঙ্গে এলোমেলো বাতাসের ঝাপটা কখনো সম্রাজ্ঞীর শরীরের সুবাস আবার কখনো অনতিদূরের বাগিচার গোলাপের সুগন্ধ বয়ে বেড়াচ্ছিল। চাঁদ-তারা, আকাশ-বাতাস আর ধরণীর মানব-মানবীর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক সেই রাতে একাকার হয়ে সম্রাটের কাছে ধরা দিয়েছিল। তার দেহ-মন চাইছিল সেই সুধারস আরও উপভোগ করার জন্য।

তিনি সম্রাজ্ঞীকে তার কোলে মাথা রেখে সুবেবাংলার কাহিনী বলার অনুরোধ করলেন। সম্রাজ্ঞী পাশ ফিরে খানিকটা কাত হলেন তারপর শুরু করলেন তার স্মৃতিকথা- প্রিয় শাহেনশাহ! সুবেবাংলাকে নিয়ে রয়েছে আমার হাজারো আনন্দ-বেদনার স্মৃতি। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা আমি আপনাকে বলছি। সময়টা ছিল ১৬০৫ সালের বসন্তকাল। আমি থাকি বর্ধমানে সুবেবাংলার শাসনকর্তার শাহী হেরেমে।

আমার বয়স তখন ২৮ বছর পূর্ণ হয়েছিল। ১৫৯৪ সালে আপনার সদাশয় পিতা মহামতী আকবর সন্দেহ করে বসলেন, হয়তো আপনার নেকনজর আমার ওপর পড়েছে। ওই সময় সম্রাট আপনাকে নিয়ে বড়ই পেরেশানিতে ছিলেন। একদিকে আপনার প্রণয় নিয়ে শাহী হেরেমে প্রভাবশালী রাজপুত মহিলারা দিনরাত দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদে এবং কলহে লিপ্ত থাকত আপনার রক্তের সম্পর্কীয় বয়স্ক রাজ মহীয়সীদের সঙ্গে। অন্যদিকে রাজদরবারে সম্রাটকেও জ্বালাতন করত রাজপুত সেনাধ্যক্ষ এবং আমত্যরা।

এরই মধ্যে আমার প্রতি আপনার দুর্বলতার খবর চাউর হয়ে গেল সালতানাতে মোগলের মাসরিক থেকে মাগরিব পর্যন্ত। তখন আমার বয়স মাত্র ১৭ বছর। অথচ সেই সময়ে আপনার সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি; কথাবার্তা তো দূরের কথা।

আমার বান্ধবীরা আমাকে দুষ্টু দুষ্টু কথা বলে জ্বালাতন করত। তারা বলত, আমি নাকি ডুবে ডুবে পানি খাচ্ছি- অথচ আমি এসবের কিছুই জানতাম না।

আপনার কথা শুনতে শুনতে আমার কিশোরী মনের অতল গহিনে কেমন যেন একটা পিরিতের ভাব পয়দা হতে থাকল। ফলে আমি মনে মনে আকাঙ্ক্ষা করতে থাকলাম- বান্ধবীরা যেন বেশি বেশি আপনার কথা বলে আমাকে জ্বালাতন করে। এরই মধ্যে একদিন আমার মা আসমত বেগম শাহী হেরেম থেকে আমার জন্য দুঃসংবাদটি বয়ে আনলেন। তিনি বিষয়টা নিয়ে আমার পিতা মির্জা গিয়াস বেগের সঙ্গে আলাপ করলেন। আলাপ মানে তাকে সম্রাটের সিদ্ধান্তটি জানান।

সম্রাট সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আলীকুলি খাঁ নামক জনৈক আফগান সেনাপতির সঙ্গে আমার বিয়ে হবে। ব্যাস শুরু হয়ে গেল আমার কান্না। কাঁদতে কাঁদতে বিয়ের পিঁড়িতে বসলাম। কাঁদতে কাঁদতে ফুল সজ্জার রাত কাটালাম। আবার কাঁদতে কাঁদতে ফুলসজ্জার কামরা থেকে বেরুলাম।

একইভাবে কাঁদতে কাঁদতে স্বামীর সঙ্গে সুবেবাংলার বর্ধমানের শাহী প্রাসাদে প্রবেশ করলাম।

বর্ধমানে শের আফগানের শাহী হেরেমে দিন কে দিন আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছিল। স্বামীর ভালোবাসা, বিত্ত-বৈভব আর ক্ষমতা সবই ছিল অফুরন্ত। কিন্তু এক ধরনের অজানা ভয়, শঙ্কা আর শারীরিক কষ্টের কারণে আমি খুবই দুর্ভাগ্যের মধ্যে সময় পার করছিলাম। ঠিক এ সময় যে ভদ্র মহিলা আমার জীবনে সুখের পয়গাম নিয়ে এলেন তার নাম অনিতা, পুরো নাম অনিতা চক্রবর্তী।

আমাদের প্রাসাদের জেনানামহলের প্রধান মহিলা কর্তা ছিলেন তিনি। বয়সে আমার চেয়ে বছর দশকের বড় ছিল। জাতে খাঁটি বাঙালি। গঙ্গা নদীর তীর গোবিন্দপুর গ্রামে (কলকাতা) তাদের বসতবাটি। অত্যন্ত উঁচুবংশীয় এবং শিক্ষিত ব্রাহ্মণকন্যা ছিলেন তিনি।

মায়ের সঙ্গে তার খাতির হওয়ার পর আমি একবার প্রায় এক মাসের জন্য অনিতার সঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি গোবিন্দপুর গিয়েছিলাম। ওই সময়ের কিছু চমৎকার স্মৃতি আপনাকে বললেই আশা করি, আপনি সুবেবাংলা সম্পর্কে

মোটামুটি একটি ধারণা পাবেন। [চলবে]

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.