আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতাল না দেওয়ার কথা তিনি শুনলেন না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাকে বলেছিলাম, হরতাল দিয়ে মানুষ খুন করবেন না। তিনি আমার কথা শুনলেন না। তিনি মুখে বলেন এক কথা, কাজে কর্মে করেন আরেকটা। হরতাল দিয়ে ২০ জন মানুষের প্রাণ গেল। ৩ বছরের শিশু বোমায় চোখ হারাল।

এই হরতাল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর হরতাল।

শনিবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পাংশা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠের বিশাল জনসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে জিতিয়েছেন এ জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। এরই ধারাবাহিকতায় ১১টি প্রকল্প উদ্বোধন, পাঁচটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ আমরা চালু করে দিলাম।

রাজবাড়ী-ফরিদপুর রেলপথের কাজও শেষের পথে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ওই রেলপথটিও চালু হবে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নে বিশ্বাস করে। সে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় কালুখালীতে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে।

যার ফলে অশান্তির এই জনপদে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারছে। আপনারা দেখেছেন বিগত বিএনপি সরকারের আমলে এই অঞ্চলের সন্ত্রাস। আমরা জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস দূর করেছি, মানুষ যাতে দুবেলা পেট ভরে খেতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। বিএনপি-জামাতের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে এখন ৯ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে।

উনি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেবেন। জীবন্ত চালককে তিনি পুড়িয়ে মেরেছেন। শান্তির বাণী শোনান আর কাজ করেন অশান্তির। ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবে কোরআন শরিফ পুড়েছে। যারা আগুন দিয়ে কোরআন শরিফ পোড়ান তারা কেমন ইসলামে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেছিলেন, হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই। কিন্তু আজও আমি বহাল তবিয়তে আছি। বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের উত্থান। আমি তাকে অনুরোধ করলাম হরতাল দেবেন না। সামনে জেএসসি পরীক্ষা।

আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করুক- এটা তিনি চান না। কারণ, তিনি নাকি অঙ্ক, উর্দু ছাড়া বাকি বিষয়ে ফেল করেছিলেন। তিনি পাস করেন নাই তাই ছাত্রদের পড়ালেখা করতে দিতে চান না। আমরা যদি আবারও ক্ষমতায় আসি প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি কলেজ ও একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় করা হবে।

আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা শিক্ষা নীতি দিয়েছি। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে যুবকরা এক লাখ টাকা বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারে। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন।

সব ধর্মের মানুষ যাতে একসঙ্গে চলতে পারে আমরা তা চাই। তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুল হাকিম এমপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, কাজী কেরামত আলী এমপি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.