(রিয়েল মনে হয় কষ্ট পেয়েছে । তাঁর প্রতি বিনীত ভাবে বলছি- এ নষ্ট শিলালিপির প্রতিটা পাতা প্রতিটা লাইন প্রতিটা শব্দ প্রতিটা ক্ষন, পল অনু পল নানান দুঃখ কষ্টে ভরা । সস্তা অনুভুতির জন্য কোন বর্ণ এখানে সংযজন আমি করিনি । তাঁরপরও সে চাইলে আমি তাঁর কাছে মাফ চেয়ে নেব । যাকে ভালোবাসি তাঁর পায়ে পড়া আমার মত এ অভাজনের জন্য সম্মানের ।
তাকে নিয়ে অসম্ভব সত্য ও অসাধারন কিছু কীর্তির কথাও আমি উল্লেখ করেছিলাম । সে নিশ্চয়ই সেসব দেখেছে )।
এডমিশন টেস্ট এর সময় চলে আসলো দেখতে দেখতে । যথেষ্ট পড়াশোনা নাই তহবিলে এ সত্য আমি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম কোচিং করতে গিয়ে । ইয়াসমিন একদিন ডেকে নিয়ে বলল- তোমার তো মনে হয় কিছু হবেনা নাকি হবে ? আমি বললাম- হবে না মনে লয় ।
‘ তাইলে তুঁমি তোমার পথ দেখ । খেইল খতম’ - এই নারী আমাকে ঝুলাইয়া রাইখা আমার তিন বন্ধুর লগে প্রেম করছে একে একে । আমি গাধা আশায় আশায় বুক বাইন্ধা বইসা থাকছি । নারী আমারে বুলি শোনায় ফিউচার নাই তো আমি নাই । আমি কোন মতে কষ্ট করে বললাম, যা আমার চউখের সামনে থিক্কা বিদায় ল ।
হারামি মাগি, তোর মা মাগি তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী মাগি হারামির জাত । শেষ, সব শেষ হয়ে গেল । আমি নিরবে ফিজিক্সে অনার্স করতে লেগে গেলাম । কিন্তু মন বিদ্রোহ করে বসল । তিন মাসে একদিনও ক্লাসে গেলাম না ।
১৯৯৭ সাল শেষ হয়ে ৯৮ এর এপ্রিল মাস । বড় আপা বিরাট লাট বহর নিয়ে হাজির কুরবানি ঈদ করার জন্য । এই প্রথম জীবনে একটা ভালো উপলব্ধি আসলো । সিদ্ধান্ত নিলাম এটাই করব । আপা ঈদ শেষে ফেরার পর তাঁর সাথে সিলেট চলে যাব ।
একমাস সেখানে থেকে পড়ব । পরের বার যেন খুব ভালো ভাবে এডমিশন টেস্ট গুলো অন্তত দিতে পারি । তখনও এ বছরের সব টেস্ট শেষ হয়ে যায়নি । শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পরীক্ষা সামনের মে মাসের ২১ তারিখে ।
এপ্রিলের ২৭ তারিখে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে বসলাম ।
আপার সাথে নতুন বাচ্চা, কাজের লোক দুইজন। বৃদ্ধা শাশুড়ি, দুলাভাই এবং আমি । চারটা সিটে সবার ব্যক্তিগত ব্যগ হাঁতে হাঁতে নিয়ে কোন রকম গাঞ্জাগুঞ্জি করে বসলাম । আমাদের সাথে আরও আছে বড় বড় তিনটা সুটকেস ( সব গুলোতে সম্ভবত পাথরে ঠাঁসা ), চারটা কাচা মাংসের ব্যগ আর দুইটা প্লাস্টিকের বড় বড় ঝুড়ি ( ঝুড়ি ঠাঁসা দুধের টিন, বাটি, চামচ, প্লাস্টিকের ফ্লাস্ক, বাচ্চার কাপড় চোপড় সহ হাজার রকমের হাবিজাবি )। ট্রেন থেকে নেমে দুলাভাই তাঁর বউ বাচ্চা আর মাকে নিয়ে সামনে হাঁটতে শুরু করল ।
দুই কাজের মায়ে দইতা ব্যগ নিয়ে সামনে বাড়ল । হায়রে কপাল । টন কে টন বস্তা নিয়ে নিরবে দাঁড়িয়ে রইলাম । কিছুক্ষন পর দুলাভাই হন্তদন্ত হয়ে ফিরেই চিৎকার শুরু করলেন আমি কোন খানের কান বাল এই ঢঙ্গে । পাঁচটা ব্যাগ কাধে পিঠে নিয়ে টলতে টলতে টেক্সি পর্যন্ত গেলাম ।
দিন দুয়েকের মধ্যেই জেনে গেলাম অথর্ব শালা তাঁর বোনের বাড়িতে থাকতে গেলে তাকে কেমন জীবন যাপন করতে হয় ।
সব মেনে নিলাম । সকালে আপা দুলাভাই কলেজে চলে যায় । আমি গরম দুধ বোতলে ভরে ভাগিনার সামনে বসে থাকি । সে দশটায় ঘুম থেকে উঠে একটা পর্যন্ত তাড় স্বরে চিৎকার করে কাদতে থাকে ।
এক ফোটা দুধ বা অন্য কিছু সে মুখে নেয় না । আমি তাঁর সামনে নাচি গাই কাঁদি হাসি সবি করি । চিতকারের পরিধি বাড়তে থাকে । কাজের মেয়েটা কোন সময় এসে একটু ছুয়েও দেখেনা , মজা লয় । আপা একটার দিকে ফিরে প্রথম যে প্রশ্নটা করে টা হল- তুই এতক্ষন আমার ছেলেরে কি করছস ? সে এতো কান্দে কা ? ওর পিঠে ঠোঁটে এতো লাল লাল দাগ কিসের ? দেখি তোর হাঁত দেখা নখ দেখা ।
আমি দেখাই আর মনে মনে ক্ষয় হই । এই বোন আমাকে সারা জীবন কোলে কোলে রেখেছে । আর এখন সে কিভাবে কথা বলে কিভাবে তাকায় । হায়রে জীবন । আমার ভয় করতে শুরু করল তাঁদের বাসায় চুরি হবে আর তখন আমাকে দোষারোপ করবেনা ।
ঘাড় ধরে বের করে দিবে ।
দুপুরে ভাত খেয়েই পড়তে বসি । বিকেলের আগেই দুলাভাই ডাকতে শুরু করে তাড়াতাড়ি তাঁর সাথে বটেশ্বর বাজারে যাবার জন্য । প্রতিদিনই একটা মিষ্টি কুমড়া কিনে বাসায় নিয়ে আসি পরদিন সকালে রুটির সাথে ভাজি হিসাবে, দুপুরে তরকারি এবং রাতে ডাল কুমড়োর তরকারি খাবার জন্যে । মিষ্টি কুমড়া মিষ্টি কুমড়া মিষ্টি কুমড়া ।
এভাবেই টানা তেইশ দিন কোন রকমে পার করলাম ।
কুমিল্লা থেকে সব বন্ধুরা সিলেটে এলো শাবিপ্রবি টে পরীক্ষার জন্য । অনেক দিন পর এদের দেখা পেয়ে পাগল হয়ে যাবার জোগাড় । দৌড়ে বাসায় এসেই বইপত্র গোছাতে শুরু করলাম । ‘আপা কাল সকাল সাতটায় কুমিল্লা চলে যাব আর আজ রাতে হোটেলে থাকব সবাই এক সাথে ।
‘ আর কোন কিছু না বলেই বইপত্র নিয়ে ভোঁ দৌড় । প্রচণ্ড হই হুল্লোড় করে রাত কাটালাম । সকাল ছয়টায় হোটেল থেকে বের হলাম ট্রেনের উদ্দেশ্যে । নাচতে নাচতে এসে দেখি গেটে দুলাভাই হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে । আমার মন খারাপ হয়ে গেল ।
শুধু শুধু লোকটার উপর আমি রেগে আছি । তাঁর সাথে আমার নিম্নলিখিত কথাবার্তা হল ।
দুলাভাইঃ আজকে মজার একটা ঘটনা ধরা পড়ল ।
আমিঃ সবই মজার ঘটনা । আপনে কি ধরলেন সেইটা আগে বলেন ।
দুলাভাইঃ কাজের মেয়েটা এতদিন নানান খারাপ কাজ যা করতেছে সেইটা আমি আর তোমার আপা ঠিকই আন্দাজ করছিলাম । কিন্তু কালপ্রিট ধরতে পারি নাই এতদিন...
আমিঃ এখন কি ধরা পড়ল ?
দুলাভাইঃ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি ।
আমিঃ বাহ ভালো তো । সে করছে টা কি?
দুলাভাইঃ সে তোমার আপার বেশ কিছু কাপড় চোপড় আর টাকা চুরি করে আজ ভোর আনুমানিক ৫ টায় পালিয়েছে ।
আমিঃ কি সর্বনাশ ।
পুলিশে খবর দেন । দুলাভাই, ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে আমি উঠলাম । পরে বাকি কথা বলব । বাই
দুলাভাইঃ বাই । ইয়ে জাকু, সে কি তোমার সাথে যাচ্ছে? এই ক্ষতিটা না করলে হত না?
ট্রেন হেলে দুলে প্লাটফরম ছেড়ে বাইরে এসে পড়েছে ।
আমি জানি এখন একটা দীর্ঘ বাক নিয়ে সে সিলেট শহরকে বিদায় জানাবে । সোজা সামনের দিকে আমি তাকিয়ে আছি । ওইতো অজগর সাপের মত ধিরে সুস্থে বাক নিচ্ছে । মনে মনে বলছি বিদায় । বিদায় হে পবিত্র শহর ।
৩রা নভেম্বর ২০১৩ ইং রাত ৩ টা ৩৫ মি । (রিয়েল মনে হয় কষ্ট পেয়েছে । তাঁর প্রতি বিনীত ভাবে বলছি- এ নষ্ট শিলালিপির প্রতিটা পাতা প্রতিটা লাইন প্রতিটা শব্দ প্রতিটা ক্ষন, পল অনু পল নানান দুঃখ কষ্টে ভরা । সস্তা অনুভুতির জন্য কোন বর্ণ এখানে সংযজন আমি করিনি । তাঁরপরও সে চাইলে আমি তাঁর কাছে মাফ চেয়ে নেব ।
যাকে ভালোবাসি তাঁর পায়ে পড়া আমার মত এ অভাজনের জন্য সম্মানের । তাকে নিয়ে অসম্ভব সত্য ও অসাধারন কিছু কীর্তির কথাও আমি উল্লেখ করেছিলাম । সে নিশ্চয়ই সেসব দেখেছে) ।
এডমিশন টেস্ট এর সময় চলে আসলো দেখতে দেখতে । যথেষ্ট পড়াশোনা নাই তহবিলে এ সত্য আমি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম কোচিং করতে গিয়ে ।
ইয়াসমিন একদিন ডেকে নিয়ে বলল- তোমার তো মনে হয় কিছু হবেনা নাকি হবে ? আমি বললাম- হবে না মনে লয় । ‘ তাইলে তুঁমি তোমার পথ দেখ । খেইল খতম’ - এই নারী আমাকে ঝুলাইয়া রাইখা আমার তিন বন্ধুর লগে প্রেম করছে একে একে । আমি গাধা আশায় আশায় বুক বাইন্ধা বইসা থাকছি । নারী আমারে বুলি শোনায় ফিউচার নাই তো আমি নাই ।
আমি কোন মতে কষ্ট করে বললাম, যা আমার চউখের সামনে থিক্কা বিদায় ল । হারামি মাগি, তোর মা মাগি তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী মাগি হারামির জাত । শেষ, সব শেষ হয়ে গেল । আমি নিরবে ফিজিক্সে অনার্স করতে লেগে গেলাম । কিন্তু মন বিদ্রোহ করে বসল ।
তিন মাসে একদিনও ক্লাসে গেলাম না ।
১৯৯৭ সাল শেষ হয়ে ৯৮ এর এপ্রিল মাস । বড় আপা বিরাট লাট বহর নিয়ে হাজির কুরবানি ঈদ করার জন্য । এই প্রথম জীবনে একটা ভালো উপলব্ধি আসলো । সিদ্ধান্ত নিলাম এটাই করব ।
আপা ঈদ শেষে ফেরার পর তাঁর সাথে সিলেট চলে যাব । একমাস সেখানে থেকে পড়ব । পরের বার যেন খুব ভালো ভাবে এডমিশন টেস্ট গুলো অন্তত দিতে পারি । তখনও এ বছরের সব টেস্ট শেষ হয়ে যায়নি । শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পরীক্ষা সামনের মে মাসের ২১ তারিখে ।
এপ্রিলের ২৭ তারিখে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে বসলাম । আপার সাথে নতুন বাচ্চা, কাজের লোক দুইজন। বৃদ্ধা শাশুড়ি, দুলাভাই এবং আমি । চারটা সিটে সবার ব্যক্তিগত ব্যগ হাঁতে হাঁতে নিয়ে কোন রকম গাঞ্জাগুঞ্জি করে বসলাম । আমাদের সাথে আরও আছে বড় বড় তিনটা সুটকেস ( সব গুলোতে সম্ভবত পাথরে ঠাঁসা ), চারটা কাচা মাংসের ব্যগ আর দুইটা প্লাস্টিকের বড় বড় ঝুড়ি ( ঝুড়ি ঠাঁসা দুধের টিন, বাটি, চামচ, প্লাস্টিকের ফ্লাস্ক, বাচ্চার কাপড় চোপড় সহ হাজার রকমের হাবিজাবি )।
ট্রেন থেকে নেমে দুলাভাই তাঁর বউ বাচ্চা আর মাকে নিয়ে সামনে হাঁটতে শুরু করল । দুই কাজের মায়ে দইতা ব্যগ নিয়ে সামনে বাড়ল । হায়রে কপাল । টন কে টন বস্তা নিয়ে নিরবে দাঁড়িয়ে রইলাম । কিছুক্ষন পর দুলাভাই হন্তদন্ত হয়ে ফিরেই চিৎকার শুরু করলেন আমি কোন খানের কান বাল এই ঢঙ্গে ।
পাঁচটা ব্যাগ কাধে পিঠে নিয়ে টলতে টলতে টেক্সি পর্যন্ত গেলাম । দিন দুয়েকের মধ্যেই জেনে গেলাম অথর্ব শালা তাঁর বোনের বাড়িতে থাকতে গেলে তাকে কেমন জীবন যাপন করতে হয় ।
সব মেনে নিলাম । সকালে আপা দুলাভাই কলেজে চলে যায় । আমি গরম দুধ বোতলে ভরে ভাগিনার সামনে বসে থাকি ।
সে দশটায় ঘুম থেকে উঠে একটা পর্যন্ত তাড় স্বরে চিৎকার করে কাদতে থাকে । এক ফোটা দুধ বা অন্য কিছু সে মুখে নেয় না । আমি তাঁর সামনে নাচি গাই কাঁদি হাসি সবি করি । চিতকারের পরিধি বাড়তে থাকে । কাজের মেয়েটা কোন সময় এসে একটু ছুয়েও দেখেনা , মজা লয় ।
আপা একটার দিকে ফিরে প্রথম যে প্রশ্নটা করে টা হল- তুই এতক্ষন আমার ছেলেরে কি করছস ? সে এতো কান্দে কা ? ওর পিঠে ঠোঁটে এতো লাল লাল দাগ কিসের ? দেখি তোর হাঁত দেখা নখ দেখা । আমি দেখাই আর মনে মনে ক্ষয় হই । এই বোন আমাকে সারা জীবন কোলে কোলে রেখেছে । আর এখন সে কিভাবে কথা বলে কিভাবে তাকায় । হায়রে জীবন ।
আমার ভয় করতে শুরু করল তাঁদের বাসায় চুরি হবে আর তখন আমাকে দোষারোপ করবেনা । ঘাড় ধরে বের করে দিবে ।
দুপুরে ভাত খেয়েই পড়তে বসি । বিকেলের আগেই দুলাভাই ডাকতে শুরু করে তাড়াতাড়ি তাঁর সাথে বটেশ্বর বাজারে যাবার জন্য । প্রতিদিনই একটা মিষ্টি কুমড়া কিনে বাসায় নিয়ে আসি পরদিন সকালে রুটির সাথে ভাজি হিসাবে, দুপুরে তরকারি এবং রাতে ডাল কুমড়োর তরকারি খাবার জন্যে ।
মিষ্টি কুমড়া মিষ্টি কুমড়া মিষ্টি কুমড়া । এভাবেই টানা তেইশ দিন কোন রকমে পার করলাম ।
কুমিল্লা থেকে সব বন্ধুরা সিলেটে এলো শাবিপ্রবি টে পরীক্ষার জন্য । অনেক দিন পর এদের দেখা পেয়ে পাগল হয়ে যাবার জোগাড় । দৌড়ে বাসায় এসেই বইপত্র গোছাতে শুরু করলাম ।
‘আপা কাল সকাল সাতটায় কুমিল্লা চলে যাব আর আজ রাতে হোটেলে থাকব সবাই এক সাথে । ‘ আর কোন কিছু না বলেই বইপত্র নিয়ে ভোঁ দৌড় । প্রচণ্ড হই হুল্লোড় করে রাত কাটালাম । সকাল ছয়টায় হোটেল থেকে বের হলাম ট্রেনের উদ্দেশ্যে । নাচতে নাচতে এসে দেখি গেটে দুলাভাই হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে ।
আমার মন খারাপ হয়ে গেল । শুধু শুধু লোকটার উপর আমি রেগে আছি । তাঁর সাথে আমার নিম্নলিখিত কথাবার্তা হল ।
দুলাভাইঃ আজকে মজার একটা ঘটনা ধরা পড়ল ।
আমিঃ সবই মজার ঘটনা ।
আপনে কি ধরলেন সেইটা আগে বলেন ।
দুলাভাইঃ কাজের মেয়েটা এতদিন নানান খারাপ কাজ যা করতেছে সেইটা আমি আর তোমার আপা ঠিকই আন্দাজ করছিলাম । কিন্তু কালপ্রিট ধরতে পারি নাই এতদিন...
আমিঃ এখন কি ধরা পড়ল ?
দুলাভাইঃ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি ।
আমিঃ বাহ ভালো তো । সে করছে টা কি?
দুলাভাইঃ সে তোমার আপার বেশ কিছু কাপড় চোপড় আর টাকা চুরি করে আজ ভোর আনুমানিক ৫ টায় পালিয়েছে ।
আমিঃ কি সর্বনাশ । পুলিশে খবর দেন । দুলাভাই, ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে আমি উঠলাম । পরে বাকি কথা বলব । বাই
দুলাভাইঃ বাই ।
ইয়ে জাকু, সে কি তোমার সাথে যাচ্ছে? এই ক্ষতিটা না করলে হত না?
ট্রেন হেলে দুলে প্লাটফরম ছেড়ে বাইরে এসে পড়েছে । আমি জানি এখন একটা দীর্ঘ বাক নিয়ে সে সিলেট শহরকে বিদায় জানাবে । সোজা সামনের দিকে আমি তাকিয়ে আছি । ওইতো অজগর সাপের মত ধিরে সুস্থে বাক নিচ্ছে । মনে মনে বলছি বিদায় ।
বিদায় হে পবিত্র শহর ।
৩রা নভেম্বর ২০১৩ ইং রাত ৩ টা ৩৫ মি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।