আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্যুর de বান্দরবন ( কেও ক্রা ডং ; যাদিপাই ঝরনা ; চিংড়ি ঝরনা )

আমি মাতাল নই , নই কারও নৈবদ্যের পূজারী , আমি শুধু মহাবিশ্বের নিঃসীম আঁধারে আকন্ঠ ডুবে যাওয়া পথভ্রষ্ট পথিক মাত্র

এবারের ঈদ কেটেছে নীরবতায় আর এক রাশ দায়িত্বের মাঝে । আব্বু-আম্মু দুজনের অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল এক সাথে হজ্ব করবেন , দু-জনেই হজ্বে চলে যাওয়াও কোরবানির সহ সমস্ত পারিবারিক দায়দায়িত্ব পড়ে আমার ঘাড়ে। কোরবানির শেষে , মাংসের বন্টন সম্পূর্ণ করেই , পড়ের দিন রাতে বেড়িয়ে পড়েছিলাম বাংলাদেশের প্রকৃতি আর রুক্ষতার প্রতীক রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে। যাত্রা শুরু হয়েছিল কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে , তূর্নার শোভন চেয়ারে সারা রাত ছার পোকার মিষ্টি চুমুর স্পর্শে , বিনিদ্র রজনী জ্ঞাপনে সামান্য বিরক্তি উদ্রেক হলেও , রাতের ঠান্ডা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে । নীলাচলে যাওয়ার পথে চেকপোষ্ট ।

(সাঙ্গু নদী ) পাহাড়ি সবুজ পাহড়ি উপত্যকা নীলাচলের হ্যালিপ্যাড নীলাচলে কাউবয় চান্দের গাড়িতে যেতে যেতে দেখতে পাবেন , খড়ের ছাউনি দেয়া খাবারের দোকান। পাহাড়ি রাস্তাগুলোর হঠাত তীক্ষ্ণ বাক গুলো রোমান্সের চেয়েও বেশি কিছু । স্বর্ণমন্দিরে ব্যাস্ত পুজারিগন এমন সাতটি বেদি আছে , শনি থেকে শুক্রবার পর্যন্তর , নিজ নিজ জন্মদিনে এখানে ভক্তরা এসে নৈবদ্য দেন । দেবতাগন । মন্দিরের মিনার এক দিনের মাঝেই নিলাচল আর স্বর্ণমন্দির দেখে , যাত্রা করেছিলাম যাদিপাই এর উদ্দেশ্যে।

বগালেকে যেই বাড়িতে ছিলাম বগালেক থেকে পাসিংপাড়া যেতে পড়ে চিংড়ি ঝরনা । সবচেয়ে রোমান্সকর আর টাফ পর্ব ছিল চিংড়ি ঝরনায় উঠা । আমাদের দলের দু-জনের হাত কেটেছিল , আমি আমার ট্রাকিং বুট হারিয়েছি , আমাদের গাইড এর চোখের উপরে কেটেছিল । তবে সব কষ্ট দূর হয়ে গিয়েছিল , ঝরনার উৎসে পৌঁছে । কেও ক্রা ডং এর চূড়া , আর্মির বেস ক্যাম্প ।

চূড়া থেকে চারপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য পাহাড়ি আকাবাকা পথ #পাসিং পাড়া , মেঘের রাজ্যে গ্রাম #যাদিপাই ঝর্না। অনেক ছবি তুলেছিলাম , দেয়ার ইচ্ছে ছিল , কিন্তু ব্যাচ আপলোড কিভাবে দেয় অজানা থাকায় , দুই-দিন ব্যাপি চেষ্টায় আপ্লোড

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।