আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যরাতের টেলিভিশন টকশো এবং আামাদের বুদ্ধিজীবিরা

আমার ভিনদেশি তাঁরা তুমি মায়ের মতই ভালো

এমন একটা সময় ছিল যখন অনেক আগ্রহ নি্যে রাতের টেলিভিশন টকশো দেখতাম এবং শুনতাম। তারপর আস্তে আস্তে চ্যানেল সংখ্যা বাড়তে থাকল এবং আমরা সব ক্ষেত্রে যা করি, এখানে ও সব চ্যানেলে টকশো প্রচার শুরু হয়। আমরা আগ্রহ নিয়ে দেখতে থাকি শুনতে থাকি। একটা সময়ে দেখা গেল একেই মুখ বারে বারে সব চ্যানেলে আসতে শুরু করলেন, কেউ কেউ অধ্যাপক, কেউ কেউ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলা, আবার কেউ কেউ পত্রিকার সম্পাদক/সাংবাদিক, আবার ৯১ থেকে এক গ্রুপ উনারা কেয়ারটেকার সরকারের উপদেস্টা। যাদের কে আমরা সবাই নানাবিধও কারনে চিনি কিংবা চিনি না।

আমরা অবাক হয়ে দেখে যাচ্ছি দিনের পর দিন, আমরা শুনে যাচ্ছি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত। এরা সবাই আমাদেরকে, আমাদের জাতিগতভাবেই নসিহত করছেন, সরকারি দলকে নসিহত করছেন, বিরোধি দলকে নসিহত করছেন। কেউ কেউ আবার অনেক রেগেমেগে চরম বিরক্তি ও প্রকাশ করছেন। কয়েকজন আছেন আবার সাথে যিনি থাকেন কিংবা কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করলে অনবরত কথা বলতেই থাকেন যেন ভিন্নমত প্রকাশ যিনি করছেন তার কথা কেউ শুনতে না পায়। সবার প্রতি সন্মান রেখেই আমি বলতে চাচ্ছি আসুন আমরা দেখি এইসব লোকের সারা জীবনের অজন কি কি? আমি কারো নাম নিব না।

তার আগে বলি আমরা তরুন প্রজন্ম ভাবতে চাই, সসাজের যে অবস্থানেই থাকি না কেন, নিজের কাজটা সঠিকভাবে পালন করাই সবচেয়ে বড় দেশ প্রেম। যারা দীঘদিন সরকারের গুরুত্তপুরন পদে ছিলেন তাদের অরজন নিয়ে আমরা শুরু করতে পারি। প্রথমেই বলেছি আমি কারো নাম নেবো না। কিন্তু হয়ত অনেকেই চিনবেন কিন্তু আমার অনুরোধ কেউ নাম ধরে কোন মন্তব্য করবেন না। ১একজন যিনি সরকারের উচু পদে আসীন ছিলেন, সরকারের আয় ব্যয়ের যাবতিয় হিসাব সততার সাথে রাখার দায়িত্ত পালন করেছেন।

। মজার ব্যপার হল সরকারের একটি মন্ত্রনালয়ের ছোট একটি বিভাগ যদিও অতীব গুরুত্তসম্পন্ন বিভাগ। সরকারের সকল আয়ব্যয়ের হিসাব রাখতে হয়। যেখানে এখনো আপনি ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করতে পারবেন না। আমার নিাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আজ প্রায় ১৮ বছর একজন বিসিএস অফিসার হিসাবে কাজ করছি, একবারও এক মাসের বেতনও এখন পর্যন্ত অনততঃ ১০০ টাকা ঘুষ না দিয়ে তুলতে পারিনি।

যারা সরকারি চাকুরি করেন তারা সবাই এটা জানেন। কিংবা যারা বিভিন্ন কাজ়ে এজিতে গিয়েছেন তাদের সবার এক অভিজ্ঞতা। এই ব্যক্তি দীঘদিন এই এজির সরবোচ্চ পদে আসিন ছিলেন। যেখানে সরকারের একটি ছোট অফিস ঠিক মত চালাতে পারেন নি, ঘুষ বন্ধ করার কোন কারজক্রম ছোখে পড়ার মত অন্তত নেন নাই। যিনি এত ছোট এক টা অফিসে দুরনিতি বন্ধ করা দূরে থাক একটু কমাতে ও পারেন নি, তিনি যখন টেলিভিশনে বসে পুরা জাতিকে নসিহত করেন, তখন আমরা হাসবো এটাই সাভাবিক।

মজার ব্যপার এই ভদ্রলোক অবলিলা্ক্রমে টিআইবর চেয়ারম্যান হয়ে, কিংবা কখনো উপদেস্টা হয়ে কিংবা শুশীল সমাজের প্রতিনিধি হয়ে আমাদের হেদায়েত করেই যাচ্ছেন, আমরা কেউ মুচকি হাসছি কিংবা মুখ ও বধির হয়ে শুনেই যাচ্ছি। যিনি একজীবনে নিজের কাজেই সফল নন, তিনি আমাদেরকে দেশবাসিকে নসিহত করার অধিকার রাখেন কি না এটা আমার জিজ্ঞাসা। ২। একজন সাংবাদিক সমপাদক। ছাত্রজীবনে একটি বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।

কোন কোন দিন একাধিক চ্যনেলে ও দেখা যাবে। ছাত্র জীবনে একটি বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। সাংবাদিক কোথাই ছিলেন কতদিন ছিলেন আমরা কেউ জানি না। একটি ইংরেজি পত্রিকা সম্পাদনায় অনেক সময় ব্যয় করতে হয় বলে আমার ধারনা। মজার ব্যপার হল ছাত্রজীবনের এই বামপন্থি সম্পাদক এখনও প্রচুর বিপ্লবি কথা বলেন যদিও একদম চরম ডানপন্থি বলে পরিচিত হলিডে গ্রূপ একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক এখন।

একজন সম্পাদক মানে দুনিয়ার তাবত বিষয়ে বিশেশজ্ঞ হবেন এমন কেউ আশা করেন না। উনি সব বিষয়ে অগাধ পান্ডিত্ত দেখিয়ে আমাদের হাসির উপাধান যোগাচ্ছেন। মজার ব্যপার হল অনেকদিন সম্পাদক থেকেও উনার নিজের পত্রিকার প্রচার সংখ্যা এখনো এক হাজারের ও নীচে। শুনতে পাই তার আবার অধেক সোজন্য সংখ্যা হিসাবে দেওয়া হয়। নিজের সম্পাদনায় যদি একটু মনযোগ দিতেন তাহলে এত বছর সম্পাদক থেকে অন্ততঃ একটি সম্পাদকীয় লিখতেন যা নিয়ে কোথাও একটু হলেও আলোচনা হত।

নিজের কাজ ঠিকমত না করে অন্যকে হেদায়েত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত? (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।