আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘মহানায়িকার’ দেখা পেলেন মমতা

রোববার সন্ধ্যার দিকে ‘মহানায়িকার’ ইচ্ছাতেই ‘অনেকটা গোপনে’ তাদের সাক্ষাৎ ঘটে বলে কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে।

তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলকাতার বেল বু ক্লিনিকে সুচিত্রার কেবিনে প্রায় ২৫ মিনিট অবস্থান করেন মমতা। সুচিত্রার অনুরোধে সেখানে বসেই চা পান করেন।

সুচিত্রার মেয়ে অভিনেত্রী মুনমুন সেন, নাতনি রাইমা সেন ও চিকিৎসক সুব্রত মৈত্রকে নিয়ে মমতা হাসপাতালের কেবিনে গেলেও পরে অন্য সবাই বেরিয়ে যান। সুচিত্রার পাশে একান্তে কিছুক্ষণ সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ৮২ বছর বয়সী সুচিত্রা ১৯৭৮ সাল থেকে ‘অজ্ঞাত কারণে’ নিজেকে লোক চোক্ষুর আড়ালে রেখেছেন। মমতার সঙ্গে তার এই সাক্ষাতকে ‘দুর্লভ’ বলেও ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার সুচিত্রার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা। ‘মহানায়িকার’ অন্তরালে থাকার ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়ে সেদিন দেখা না করেই হাসপাতাল থেকে ফিরে আসেন তিনি।

চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র আনন্দবাজারকে জানান, রোববার সারাদিন সুচিত্রার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।

সকালে একটু সুস্থ বোধ করলে তাকে মমতার হাসপাতালে আসার খবর জানানো হয়। তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মতি দেন। এরপর সন্ধ্যায় আবার হাসপাতালে ছোটেন মমতা।

সাক্ষাতের পর তার প্রতিক্রিয়া, “প্রত্যেকেই জানেন যে উনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না। এখনও উনি কারও সঙ্গেই দেখা করছেন না।

আমি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। আমার আবেগ আজ পূর্ণতা পেল। আমার হৃদয় দোলা দিয়ে গেল ওকে দেখে। আমি আপ্লুত। ”

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সুচিত্রা সেনও খুব খুশি বলে জানান তার মেয়ে মুনমুন সেন।

“মমতা খুবই উষ্ণভাবে কথাবার্তা বলেছেন। ওর ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মাকে দেখতে ছুটে এসেছেন, এটা আমাদের কাছে খুব বড় ব্যাপার। ”

চিকিৎসকরা বলছেন, সঙ্কট পুরোপুরি না কাটলেও সুচিত্রার শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। বুক থেকে আরো খানিকটা কফ বেরিয়ে যাওয়ায় তিনি কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রাখার মেয়াদও আগের চেয়ে কমানো হয়েছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।