আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহানায়িকার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন, মুনমুনের মিষ্টি বিতরণ

৫২/৪/১- বালিগঞ্জের সার্কুলার রোডে প্রয়াত সুচিত্রা সেনের বাড়ির ছাদেই মহানায়িকার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন করলেন মেয়ে মুনমুন সেন। মায়ের মৃত্যুর পর তার মুখাগ্নি করেছিলেন মেয়ে মুনমুন। নিয়ম মেনে মৃত্যুর তিন রাত পর আজ সোমবারই তিনি শ্রাদ্ধ শান্তির কাজ করেন। সঙ্গে ছিলেন মুনমুনের স্বামী ভরত দেববর্মন, দুই নাতনি রিয়া ও রাইমা। প্রয়াত দিদিমাকে পানিদান করেন তার দুই নাতনি।

পুরো পারলৌকিক কাজ করান পণ্ডিত যুগলকিশোর শাস্ত্রী। গত দুইদিনের মতো আজও গীতাপাঠ চলে। গতকালের নখ কাটা পর্বটি সারেন মুনমুন।

সূত্র মারফত জানা গেছে, বাড়ির ছাদেই ধবধবে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটি টেবিলের উপর রাখা ছিল মহানায়িকার ছবি। ফুলের মালা দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছিল ছবির চারপাশ।

পাশেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল ধূপকাঠি। ধূপের গন্ধে ম ম করছিল গোটা পরিবেশ। মায়ের সেই ছবির পাশেই এদিন সাড়া শাড়ি পড়ে মুনমুন তার পুরো কাজ শেষ করেন, পাশে বসেই মা'কে সাহায্য করেন রাইমা ও রিয়া সেন। তাদের পরনেও ছিল সাদা সালোয়ার কামিজ। মুনমুনের স্বামী ভরত দেববর্মনের পরনেও ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি।

সকালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়াত সুচিত্রা সেনকে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। বালিগঞ্জের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান কলকাতা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ ব্যানার্জি, রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত লোকসঙ্গীত শিল্পী গোষ্ঠগোপাল দাস প্রয়াত মহানায়িকার আত্মার শান্তি কামনা করে জানান, তার পরিবার যেন ভাল থাকে ঈশ্বরের কাছে এটাই প্রার্থনা করি। যদিও সংবাদমাধ্যম কিংবা সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

এদিনও মহানায়িকার বাসস্থান 'বেদান্ত'-এর সামনে সারাদিন ধরেই কৌতুহলী মানুষের আনাগোনা চলে।

পরে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে বাড়ির বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিক ও কৌতুহলী মানুষদের নিজে হাতে মিষ্টি ও ফল বিতরণ করেন মুনমুন সেন। যদিও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নিয়ে একটি কথাও বলতে রাজি হননি তিনি।

আগামী ২৮ জানুয়ারি মহানায়িকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।