আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরু

উপলব্দি প্রকাশ করি নির্ভয়ে


নিরু (উপন্যাস)
পার্ট-১
দুই পায়ে তীব্র ব্যথা নিয়ে ঘুম হতে জাগল নিরু। জামাল কাকার অনুরোধ রাখতে গিয়ে এ অবস্থা। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে এখন ফ্রি সময় কাটাচ্ছে নিরু। ঈদের বেচাকেনায় সাহায্য করার জন্য জামাল কাকা এমনভাবে চেপে ধরে আর না করতে পারেনি। সকাল ১০ টা হতে রাত ১০টা অবধি দাঁড়িয়ে থেকে থ্রী পিছ বিক্রি করা কঠিন ব্যাপার।

তাছাড়া সেতো অভ্যস্ত নয়। তবে ব্যাপারটি সে এনজয় করেছে। নতুন যে কোনো কাজ তার ভাল লাগে। ক্রেতা যদি তরুণী হয় তবে সে ভাগ্নে বলে ডাকে। মাঝবয়সী হলে আপা, বয়স্ক হলে খালাম্মা, বাচ্চা হলে মামা ইত্যাদি সম্বোধন সে এমনভাবে করে যেন সকলের মনে হয় সে যেন পূর্ব পরিচিত।

এতে করে নিরু মার্কেটে মোটামুটি মামা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। একদিন তার ডিপার্টমেন্টের এক ছাত্রী আসে। হঠাৎ বলে উঠে-
- এই নিরু তুই এখানে?
- হ্যাঁ, সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছি।
- ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে তুই এসব কী করছিস?
- কেন অসুবিধা কোথায়?
- না না অসুবিধা হবে কেন। তুই তো সবই পারিস, কয়দিন হলো?
- তিন দিন
- তাহলে বড় জোর আর দু’দিন।

তোর যা স্বভাব এ কয়দিন কীভাবে একই কাজ করলি?
- আমার কাছে ভালই লাগছে, তুই জয়েন করবি? কাকাকে বলে দেখি?
মেয়েটি একটুও দেরী না করে চলে গেল।
নিরু পায়ের ব্যথা কমানোর কথা ভাবছে। ব্রেইনের যেখানে পায়ের ব্যথার খবরটি গ্রহণ করছে এবং ব্যথা হিসেবে জানিয়ে দিচ্ছে তার ডেফিনেশন পরিবর্তন করা যায় না কোন ভাবে? ব্যথার সেনসেশন সফটওয়্যারে পুরোপুরি পরিবর্তন করা যাবে না। এটি হতে হবে কন্ডিশনাল। টোটাল ব্যথার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে ফেললে কখনো কোন ব্যথাই লাগবে না।

যেমন হৃদয়ের ব্যথা, স্নায়ুবিক ব্যথা, সন্তান প্রসব বেদনা ইত্যাদি সমস্যা। কারো হার্টে সমস্যা হলে ব্যথা অনুভব করবে, তাতে সে রিমেডির সুযোগ পাবে। কিন্তু ব্যথাই যদিনা লাগে হার্ট এটাকের আগে টেরই পাবে না। যেমন এই মুহূর্তে শুধু পায়ের ব্যথা কমাতে হবে। নিরু নিজের উপর মনস্তাত্ত্বিক ইমাজেরী থেরাপি দেয়া শুরু করল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে গেল। ঝরঝরে ভাব নিয়ে বাথরুমে গেল। বাথরুমে বসেই সিদ্ধান্ত নিল, জামাল কাকার দোকানে আর যাওয়া যাবে না। শাওয়ারে গোসল করতে গিয়ে সবগুলো স্নায়ু টান টান হয়ে গেল। এ অবস্থার সাথে নিরু পরিচিত।

তার স্নায়ু কোন সংবাদ গ্রহণ করেছে। মনে হচ্ছে দুঃসংবাদ। কিন্তু ধরতে পারছে না, বুুঝতে পারছে না। গত বছর ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান স্যারের শাশুড়ির মৃত্যুর ব্যাপারটি ধরতে পেরেছিল ল্যাবে বসে। সেটি ছিল বাস এক্সিডেন্ট।

তারও আগে বাবার সাথে ডাইনিং টেবিলে ভাত খাওয়ার সময় হঠাৎ স্নায়ুবিক মেসেজ পেয়ে নিরু বলে ফেলেছিল
- বাবা, কামাল কাকা মনে হয় বাঁচবে না
- ছি! কেন এমন বলছিস। সে আল্লাহর রহমতে পুরো সুস্থ।
- না বাবা এমনি হঠাৎ মনে হলো।
সেদিন দুপুরে কামাল কাকা হার্ট এটাক করে মারা গেলেন। ঘটনাগুলোর সাথে নিরুর অবস্থানগত পরিবেশের ভিন্নতা ছিল।

এখন সে গোসল করছে। তাহলে পানিঘটিত কোন ব্যাপার নয়তো? তাড়াতাড়ি আধা গোসল অবস্থায় শরীর মুছে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসল। সাথে সাথে তার স্নায়ু মনে হচ্ছে তার সাথে কথা বলছে।
- নিরু জামাল কাকার শাশুড়ির অবস্থা সুবিধার মনে হচ্ছে না।
- কেন কী হয়েছে?
- মনে হয় তিনি মারা যাবেন
- কীভাবে?
- পানিতে ডুবে।


মুহূর্তের মধ্যে নিরুর স্নায়ু স্বাভাবিক হয়ে গেল। একদম স্বাভাবিক। নিরু ভাবছে কী করা যায়। জামাল কাকাকে মোবাইল করলে কেমন হয়? - না সে তো মোবাইলই ব্যবহার করে না। কারো নাম্বারও রাখে না।

তাছাড়া এভাবে বলা এখন সমস্যা, দারুণ সমস্যা। এভাবে বলতে গিয়ে মাস দুই আগে তার বিয়ে পর্যন্ত ভেঙ্গে গেছে।
বাবা শখ করে তাকে বিয়ে করিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সে। বিয়ের দুই বছর পর তাদের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয়। কন্যার নাম দেয়া হয় জাদীদা।

তার বয়স যখন ১ বছর হয় তখন হঠাৎ একদিন নিরু তার স্ত্রী জেমাইমাকে বলে
- আমার মনে হচ্ছে জাদীদাকে ধরে রাখতে পারবো না?
- মানে?
- মানে সে বেশিদিন মনে হয় থাকবে না।
- তুমি কী বলতে চাচ্ছ?
- যা বলছি তুমি বুঝতে পেরেছো।
- অলক্ষ্মী কোথাকার। তোমার মুখে ছাই পড়–ক।
সত্যি ব্যাপার হচ্ছে এক সপ্তাহের মাথায় মেয়েটির প্রচণ্ড জ্বর উঠলো এবং তিন দিনের মধ্যে সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সে মারা গেল।

জেমাইমা সন্তানের মৃত্যুর জন্য নিরুকে দায়ী করল। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিল এবং তাকে ডিভোর্স দিল। নিরু বহু চেষ্টা-সাধনা করে মামলার নিষ্পত্তি করলেও তালাক ফেরাতে পারেনি। এসব চিন্তা করে জামাল কাকার শ্বশুর বাড়ির দিকে রওয়ানা দিল। ঢাকার যানজট পেরিয়ে নারায়ণগঞ্জে জামাল কাকার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছাতে দুই ঘন্টা সময় লেগে গেল।

বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই নিরু বুঝতে পারল ঘটনা যা ঘটার তা ঘটে গেছে। এক ঘন্টা আগে মিসেস শাহলো বেগম-জামাল কাকার শাশুড়ি পুকুরে ডুবে মারা গেছেন। কীভাবে কী হলো কিছুই জানা যায়নি। আনমনে হাঁটতে হাঁটতে নিরু পুকুর ঘাটে গিয়ে বসল। নিরুর মনে হলো তার দিকে কেউ তাকিয়ে আছে ।

তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছে। হঠাৎ নিরু উপলব্ধি করল তার মস্তিষ্কে পাতার মর্মর ধ্বনির অনুরণন হচ্ছে। এরপর স্পষ্ট আওয়াজ
- কেমন আছ বৎস? তুমি এমন হকচকিয়ে গেলে কেন?
নিরু চতুর্দিকে তাকিয়ে কোন মানুষের অস্তিত্ব পেল না। আবার আওয়াজ
- স্থির হও বৎস।
- তুমি কে? তোমাকে দেখছি না কেন?
- তুমি যেখানে বসে আছ তার আশেপাশে কোন জিনিস তোমার সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে?
- একটি প্রাচীন বটবৃক্ষ।


- তুমি যার সাথে কথা বলছ।
- অসম্ভব! এ হতেই পারে না।
- সাধারণ অর্থে তোমার কথাই ঠিক। কিন্তু তোমার আমার ব্যাপারটি অসাধারণ। পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি ঘটেনি।

আমার বয়স প্রায় এক হাজার বৎসর। এ বয়সের বৃক্ষ পৃথিবীতে সর্বমোট ১১ টি আছে। আমার চেয়ে বেশি বয়সের বৃক্ষ পৃথিবীতে আছে দু’টি।
- তোমার বয়সের হিসাব সঠিক মানলাম। কিন্তু তুমি আমার সাথে কথা বলছো, এটি হ্যালুসিনেশন হতে পারে।

অথবা স্রেফ আমর কল্পনা।
- না, হ্যালুসিনেশন নয়। কে মনে হয় আসছে। কথা বল, কাজ শেষ কর, তারপর আবার আস। দেখবে কল্পনা নয়।


কাঁধে হাতের চাপ অনুভব করে বাস্তবে ফেরে নিরু। তাকিয়ে দেখে জামাল কাকা।
- কখন এলি।
- ঘন্টাখানেক আগে
- বলিস কী! ঢাকা হতে রওয়ানা হয়েছিস কখন?
- এখন হতে তিন ঘন্টা আগে
- আম্মা মারা গেছেন এখন হতে দুই ঘন্টা আগে আর তুই রওয়ানা দিলি তিন ঘন্টা আগে। ব্যাপারটি কী শুনি?
- আমার মনে হচ্ছিল আমি তার আগে পৌঁছাতে পারব।

কিন্তু পারিনি। আসতে দুই ঘন্টা সময় লেগেছে।
- তাতো লাগবে জানা কথা। তুই আমাকে বলিস নি কেন? গর্দভ কোথাকার, তোকে আমি পুলিশে দেব।
- তোমাকে বললেও তাই করতে।

আমাকে না তোমরা বলেছ এ জাতীয় বিষয় যাতে আমি আর না বলি?
জামাল একটু এদিকে আসতো-শ্বশুরের ডাকে জামাল কাকা সাড়া দিলেন
- জ্বি আব্বা, আমাকে ডেকেছেন?
- পুলিশ এসেছে, লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যেতে চায়।
- এতো ঝামেলা। ম্যানেজ করা যায় না?
- চেষ্টা করেছি,তারা মানে না। তুমি একটু চেষ্টা করে দেখ।
নিরু জানে জামাল কাকাকে সবাই ক্রাইসিস ম্যানেজার ডাকে।

ব্যাপার যাই হোক তিনি ম্যানেজ করে ছাড়বেন। কিন্তু দেখা গেল জামাল কাকার কোন কৌশলই কাজে আসল না। পুলিশ নাছোড়বান্দা। নিরু এগিয়ে গিয়ে ওসি সাহেবকে এক পাশে ডেকে নিয়ে বলল
- আপনার জন্য সুসংবাদ আছে
- কিসের সুসংবাদ?
- ক্যারিয়ারের উন্নতি, পদোন্নতি ইত্যাদি
- কেন? কীভাবে?
- জামাল কাকা যা বললেন তাতে রাজি হবেন এবং আমি আপনাকে সহযোগিতা করব।
- কোথাকার কে, পাগল না কি।

এসব ছেলে ভুলানো গল্প না করে ভাগো এখান থেকে।
- ওসি সাহেব! আপনার পিস্তলের ম্যাগজিন হারিয়ে ফেলেছেন। অফিসে রিপোর্ট করেন নি। পাগলাঘাটের বালুর মহাজন কাশেম ঘন্টাখানেক আগে ১ লাখ টাকা নগদ দিয়েছে, এখনো পকেটে রেখেছেন। গতকাল কালুমিয়া ১ লাখ টাকার ক্যাশ চেক দিয়েছে আগামী মাসের ২ তারিখের ডেটে।

মানিব্যাগে ঢুকিয়ে রেখেছেন। বুকের নেমপ্লেটে মাহফুজ লেখা আছে দেখছি। আপনিতো মাহফুজ নন। আপনার ইমিডিয়েট বড় ভাই মাহফুজ মারা গেলে তার সার্টিফিকেটগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে মিজান নামটি বদল করে আপনি মাহফুজ হয়ে গেলেন। একটানে কথাগুলো বলে একটু দম নিয়ে নিরু আবার কথা শুরু করতে গেলে ওসি ফিসফিস করে বলল, আপনার কথাগুলো আমি আসলে ভালভাবে শুনতে পারিনি।

আমার মাথাব্যথা করছে। লাশ আপনারা দাফন করে ফেলুন। আর আপনার সাথে কথা বলতে পারলে ভাল হতো। একটু থানায় আসবেন। একসাথে চা খাব।


- পরে সময় সুযোগ করে আসব। এখন অনেক কাজ।
ওসি তার বাহিনী নিয়ে দ্রুত চলে গেল। জামাল কাকা আর তার শ্বশুর দু’জনেই একসাথে বলে উঠলেন-ব্যাপারটা কী?
ওসি সাহেবের মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে। একটু পরে পেটে ব্যথা শুরু হলে সমস্যা।

আপনাদের এখানে বাথরুমের আয়োজন সম্ভবত ভালো নয়। তাই চলে গেলেন। লাশ দাফন করে ফেলতে বললেন।
সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। নিরু ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে বটবৃক্ষের গোড়ায় বসল।

সাথে সাথেই পরিচিত আওয়াজ অনুভব করল:
- কী মনে হল? ওসি সাহেবকে যা বললে তা তোমার কি আগে জানা ছিল? সবই হ্যালুসিনেশন?
- না, আমার তা মনে হচ্ছে না।
- তোমার আসল নাম কী?
- ইমতিয়াজ আহসাফ
- তাহলে নিরু হলে কখন?
- একবার আমার প্রচণ্ড জ্বর হলো। বয়স ছিল ছয় বছর। খুবই বকাবকি করছিলাম। বিভিন্ন ব্যক্তি সম্পর্কে প্রচুর কটূক্তি, দোষ-ত্রুটি বলা ইত্যাদি।

লোকজন বুঝতেছিল আমি যা বলছিলাম সবই সত্যি। আমার সামনে এসে অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল। পাশের বাড়ির জাব্বার চাচা এসেছিলেন আমাকে দেখতে। আমি বললাম চাচা আজকে দশদিন হল আপনি গোসল করেন নি। বেচারা কোনরকমে ইজ্জত নিয়ে পালিয়েছেন।

জ্বরের কারণে কিছু খেতে পারছিলাম না। বড় খালু আমাকে খাওয়ার উপদেশ দিচ্ছিলেন। আমি বললাম আপনি নিজেতো ডিম খান না। খালার ভয়ে ডিম পকেটে ঢুকিয়ে পরে অফিসে গিয়ে কালু মিয়াকে খাওয়ান। আমার কথায় সবাই হেসে উঠলেও বড় খালু কষ্ট পেয়েছিলেন।

একবার স্কুলে টীকা দিতে লোকজন আসল। আমি তখন ক্লাস থ্রি-তে পড়ি। তাৎক্ষণিকভাবে ছেলে-মেয়েরা যে যেদিকে পারে পালাল। তবে খুব বেশিসংখ্যায় পালাতে পারেনি। চুট্টু স্যার এসে দরজা লাগিয়ে দেয়।

চুট্টু স্যার মানুষ ছোট কিন্তু সবাই ভয় পেত। আমিও আটকা পড়ি। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম। বাঁচার উপায় বের হচ্ছিল না। সিরিঞ্জ নিয়ে একজন আমাকে ডাক দিলেন।

হঠাৎ আমি বললাম, আপনি বাথরুমে গিয়ে হেডস্যারের মোবাইল চুরি করেছেন। আমার কথায় সবাই হকচকিয়ে গেল। লোকটি পকেটে হাত দিয়ে নিজেও ঘাবড়ে গেল। কারণ তার হাতে হেড স্যারের মোবাইলটি বের হয়ে এল। সবাইকে হতভম্ব অবস্থায় রেখে আমি পালিয়ে গেলাম।

আরেকবার আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতেই আমি বললাম, আপনি তো খবিস। আপনার বাবা ঘরের মধ্যে পায়খানা করে। আপনি নিজে ঠিকমত যতœ করেন নি। আপনি কিসের ডাক্তার।

আপনার পায়ের ব্যথা অনেকদিন ধরে। ভালো তো হচ্ছে না। আসেন আপনার ব্যথা দূর করে দেই। তার পায়ের দিকে আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম। একটু পর ডাক্তার বলে উঠল, সত্যি আমার ব্যথা দূর হয়ে গেল, তুমি তো অনেক বড় নিউরু।

তখন থেকে আমাদের কারো অসুখ বিসুখের খবর পেলে ডাক্তার সাহেব বাসায় চলে আসতেন। আমাকে তিনি নিউরু ডাকতেন। তার দেখাদেখি সবাই আমাকে নিরু ডাকে।
- তোমার মনে কি কখনো প্রশ্ন জাগেনি, এসব কীভাবে হয় বা হচ্ছে?
- জেগেছে, কিন্তু কোন সমাধান পাইনি।
- ঠিক আছে আমি তোমাকে জানাব।

এখন চলে যাও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।