আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরু পার্ট-৪ (উপন্যাস)

উপলব্দি প্রকাশ করি নির্ভয়ে

সুনয়না আজ দুপুরের পর থেকে ঘরে এক রকম বন্দী। তার বাবা এবং জ্যাঠা কঠোরভাবে তাকে শাসন করে গেছে। জামাই জামাল সন্ধ্যা বেলায় আসবে পাত্র নিয়ে। পাত্রী পছন্দ হলে তাৎক্ষণিক বিয়ে হবে। কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে আর আল্লাহকে ডাকছে সে।

জাহান্ধার ছাড়া অন্য কাউকে বর হিসেবে সে কখনোই চিন্তা করেনি। এদিকে তার মা মরিয়ম বেগমের অবস্থাও কাহিল। বেচারী নিজের স্বামীও ভাসুরের সাথে খুব বেশি যুক্তি দেখাতে পারেনি। বুক ফেটে যাচ্ছে কিন্তু কিছুই বলার কায়দা নেই। একমনে কাজ করে যাচ্ছে।

ঘর ঘোচানো, নাস্তা বানানো ইত্যাদি। সুনয়নার বাবা রফিক সাহেব হুইল চেয়ারে বসে কাজের তদারকি করছেন। মাঝে মাঝে বড় ভাই শফিক সাহেবের সাথে গল্প করছেন। সন্ধ্যায় সুনয়না দুই বার ফিট হয়ে গেছে। বাড়ির বিভিন্ন ঘরের মেয়েরা এখন সুনয়নার দেখাশুনা করছে।

রাত নয়টা বাজার পরও যখন জামাল সাহেবের কোন খবর নেই, দুই ভাই রফিক ও শফিক সাহেবের অস্থিরতা বেড়ে যায়। দশটার দিকে জামাল সাহেব ফোনে জানান যে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। তিনি পরদিন যোগাযোগ করবেন।
রফিক সাহেব অসূস্থ। খেয়ে দেয়ে ওষুধ খেয়ে তিনি তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছেন।

ঘুমের মধ্যে তিনি প্রচণ্ড দুঃস্বপ্ন দেখেছেন। দেখেছেন যে ছেলেকে তিনি পাছায় লাথি মেরেছেন, সে প্রকাণ্ড একটি তলোয়ার নিয়ে তাকে দৌড়াচ্ছে। তিনি তার সাথে দৌড়ে পারছেন না। এক জায়গায় এসে ওষ্টা খেয়ে পড়ে যান। ছেলেটি এসে তার বুকের উপর বসে অসুস্থ পা-টি কেটে ফেলে।

এরপর তলোয়ারটি রফিক সাহেবের গলায় ধরে বলে আজ তোর দিন শেষ। রফিক সাহেব কাতর স্বরে বলে-
- আমাকে ক্ষমা করে দিন। ছেলেটি বলে
- এক শর্তে ক্ষমা করতে পারি
- কী শর্ত?
তৎক্ষনাৎ তিনি দেখেন তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জাহান্ধার। তাকে হাতে ধরে নিরু বলে
- এই ছেলের সাথে সুনয়নার বিয়ে দিতে হবে।
- তা সম্ভব নয়
- কেন?
- আমি জামালকে কথা দিয়েছি।

জামালের ভাতিজার সাথে বিয়ে দিব।
- আমি জামালের ভাতিজা। আমি তাকে বিয়ে করব না।
- বিশ্বাস করি না।
নিরু আবার তলোয়ারটি দিয়ে এক কোপে রফিক সাহেবের অপর পা-টি কেটে ফেলে।

রফিক সাহেব তীব্র চিৎকার করে ঘুম থেকে জেগে যান। রাত তখন একটা। ঘরের অন্য কেউ ঘুমায় নি। সবাই দৌড়ে আসে রফিক সাহেবের কাছে। হাফরের মত তার বুক উঠানামা করছে।

ঘামে সারা শরীর ভিজে গেছে। মরিয়ম বেগম গামছা ভিজিয়ে স্বামীর শরীর মুছে দিলেন। সুনয়না বাবার মাথায় অনেকক্ষণ পানি দিল। ধীরে ধীরে রফিক সাহেব ঘুমিয়ে পড়লেন। ভোর হতে বেশি বাকি নেই।

বাকিরাও ঘুমোতে গেল। যখনি ঘুমোতে যান আর যত দেরীতেই ঘুমান রফিক সাহেবের নিত্যদিনের অভ্যাস ভোরবেলায় ঘুম হতে উঠা। আজও সাড়ে পাঁচটায় তিনি জাগলেন। যথারীতি কাজকর্ম সেরে হুইল চেয়ারে বসে নামাজ পড়লেন। রান্নাঘরে গিয়ে নিজে নিজে চা তৈরি করলেন, মুড়ি ভিজিয়ে চা খেলেন।

একটুপর দরজা খুলে হুইল চেয়ারে করে বাইরে এলেন। পুকুর পারে একটি মাচা লাগানো আছে। গিয়ে দেখেন বড় ভাই শফিক বসে আছে। শফিক সাহেব বললেন রফিক, আমি গতকাল ভাল স্বপ্ন দেখিনি।
- বলেন কি ভাইজান, আমিও কাল খারাপ স্বপ্ন দেখেছি।


- আমি স্বপ্নে দেখেছি প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়। বড় গাছটি ভেঙ্গে তোদের ঘরের উপর বিশাল একটি শাখা গিয়ে পড়ে। জাহান্ধার এসে ভেতর থেকে শুধু একজনকে বাঁচাতে পারল। সে হচ্ছে সুনয়না। তুই কি দেখছিস?
- আমি..........
- এমন সময় গাড়ির হর্নে তাদের কথা বন্ধ হয়ে গেল।

তাকিয়ে দেখে একটি প্রাইভেট কার দাঁড়িয়ে আছে বাড়ির উঠোনে। দু’জন সেদিকে এগিয়ে গেল। গাড়ি থেকে নিরুকে নামতে দেখে রফিক সাহেব চমকে উঠলেন। শফিক সাহেব বললেন আরে নিরু যে? জামাল কোথায়?
- জ্বি নানা, কাকার সাথে আমার গতরাতে দেখা হয়েছিল।
সে মুহূর্তে গাড়ি হতে জাহান্ধারকে নামতে দেখে শফিক সাহেব বললেন- হায়, হায় একী ব্যাপার! তোমরা দু’জন একসাথে এখানে কেন?
নিরু রফিক সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলল- আমি জানতাম যে আপনি আমার নানার রিসতা।

আমি আপনার সাথে একটু কথা বলতে চাই।
রফিক সাহেব নিজের অজান্তে একটু পিছিয়ে গেলেন। রাতের স্বপ্নের কথা মনে পড়ায় ভীষণ ঘাবড়ে গেলেন। শফিক সাহেব বললেন- যা রফিক, নিরুর সাথে ওদিকে গিয়ে নিরিবিলি কথা বলে আয়। ছেলেটি সত্যিই জিনিয়াস।

নিরু রফিক সাহেবকে নিয়ে পুরাতন বৃক্ষটির তলায় গিয়ে বসল। এই ফাঁকে জাহান্ধার ঘরে ঢুকল ফুফুর সাথে দেখা করতে। একটুপর শফিক সাহেব দেখলেন রফিক দিব্যি হেঁটে আসছে নিরুকে সাথে নিয়ে। বললেন-অবিশ্বাস্য। আমি কি স্বপ্ন দেখছি? ব্যাপার কি রফিক?
- স্বপ্ন নয় ভাইজান, সবই সত্যি।

আপনাকে পরে বুঝিয়ে বলব। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে।
- কী সিদ্ধান্ত?
- সুনয়নার বিয়ের বিষয়ে বলছিলাম। নিরুতো জামালের ভাতিজা। বিয়েটা নিরুর সাথে হওয়ার কথা ছিল।

এখন তা জাহান্ধারের সাথে হওয়ার ব্যাপার ভাইজান।
- তাহলে বিষয়টা জামালকে জানানো দরকার।
- ভাইজান আপনি কি একটু মোবাইল করবেন?
কোন কথা না বল শফিক সাহেব মোবাইল বের করে রিং দিলেন। জামাল সাহেব মোবাইল রিসিভ করতেই শফিক সাহেব একনাগাড়ে কথা বলে গেলেন। সব শুনে জামাল সাহেব শুধু বললেন মোবাইলটি নিরুকে দেন তার সাথে কথা বলি।

নিরু মোবাইল কানে দিয়েই বলল-
- আসসালামু আলাইকুম, কাকা।
- সালাম দিবি না, গর্দভ।
- রাগ করছেন কেন কাকা?
- কথা বলবি না শূয়োরের বাচ্চা। তোদের জন্য আমার রক্ত পানি হয়ে গেল।
- কাকা রাতে বাসায় যেতে সমস্যা হয়েছে?
- তুই বিয়ে করবি না বলেছিস?
- জ্বি কাকা।


- ঐ ছেরাটাকে কোথায় পেলি?
- কাকা কথা বাড়িয়ে লাভ কি? তাছাড়া আমার সম্পর্কেতো তুমি জানই। আমি আগে একট বিয়ে করেছিলাম এবং একটি সন্তান হয়ে মারা গিয়েছিল এ কথাগুলো সম্ভবত তুমি তাদেরকে বলোনি।
- কাকে, কখন কী বলতে হবে না হবে এসব আমি ভাবব। তোকে পণ্ডিতি করতে হবে না।
- শোন এখন বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন নেই।

তাতে আমার বোনমনি অর্থাৎ আপনার মেয়ে তন্ময়ার বিয়েতে দারুণ সমস্যা হবে।
- মোবাইলটা আমার শ্বশুরকে দাও। শফিক সাহেব মোবাইল কানে ধরতেই জামাল সাহেব বললেন পাগলকে ক্ষ্যাপানোর কাম নেই। জাহাঙ্গীর না কে জানি ঐ চেংরার সাথে বিয়ে দিয়ে ফেলুন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডাকা হলো।

একটুপর কাজী সাহেব আসলেন। সংক্ষিপ্তভাবে বিয়ে হয়ে গেল। তিন লক্ষ এক টাকার কাবিন হল। উপস্থিত খাওয়া-দাওয়া ও ন্যূনতম আনুষ্ঠানিকতা সারতে প্রায় দুপুর বারটা বেজে গেল। কেনাকাটা আর প্রয়োজনীয় কিছু কাজকর্মের কথা বলে জাহান্ধারকে নিয়ে বের হল নিরু।

বাড়ি হতে বের হয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে নিরু জাহান্ধারকে বলল-
- আমরা আসলে এখন যাব ঢাকা কোর্ট-কাচারী।
- কী বলছেন ভাইজান। মাত্র বিয়ে করলাম। এখন যাব কোর্ট-কাচারী।
- ওখানে দু’জন নিরীহ সেলুন কর্মচারিকে চালান করার কথা।

আপনার বা আপনার পাত্রীর কারণে গতকাল রাত্রে তাদের জন্য কিছু করতে পারিনি। ইতোমধ্যে যদি কোর্টে তুলে ফেলে আর জামিন না হয় তবে আমি গিয়েও কোন লাভ হবে না।
- আমার যাওয়া কী জরুরি?
- জ্বি
- কেন?
- গাড়ি পাহারা দিতে হবে।
- গাড়ি পাহারার জন্য নতুন জামাইকে নিতে হবে?
- যেতে না চাইলে নেমে যান।
- না ভাইজান, আপনি যা বলেন।


- কোর্ট-কাচারীর এক জায়গায় গাড়িটা রেখে জাহান্ধারকে আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতে বলে নিরু সি এম এম কোর্টে ঢুকল। অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরির পর জগদীশ ও নরেনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হল। ততক্ষণে মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে। তাদেরকে এজলাসে তোলার মুহূর্তে ওদের দু’জনের পিতার সাক্ষাত পেল। কোন উকিল নিয়োগ করার সময় পায়নি তারা জানাল।

তারাও একটু আগে এসেছে। টাকা যোগাড় করতে দেরি হয়েছে। নিরু জিজ্ঞেস করল, কত এনেছেন? তারা উভয়ে পাঁচ হাজার করে এনেছে। তিন হাজার করে ছয় হাজার টাকা নিল নিরু। কী করবে বুঝতে পারছে না।

এদিকে ওদেরকে ম্যাজিস্ট্রেটের দরবারে হাজির করা হয়েছে। নিরু তীব্র মাথা ব্যথা অনুভব করল। এর মাঝে তার কর্তব্য বুঝে নিল। এক দৌড়ে ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় ঢুকে পড়ল। লুঙ্গি পরণ এক লোক এভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় ঢুকে পড়বে আরদালি তা আশা করেনি।

কড়া গলায় বলল, এটি স্যারের খাস কামরা জানেন না।
- জানি, সেজন্যই এলাম। আমি জজ সাহেবের মেয়ের জামাই। সময় খুবই কম। এখনি আপনাকে একটি চিরকুট আপনার স্যারকে দিতে হবে।

একটি সাদা পাতা ও কলম দিন। তাড়াতাড়ি করুন। দেখছেন না লুঙ্গি পরে চলে এসেছি। প্যান্ট পরার সময়ও পাইনি। হতভম্ব আরদালি একটি কাগজ ও কলম দিল।

নিরু ফুলস্কেপ কাগজে কয়েকটি কথা লিখল-
‘‘ইমার্জেন্সী, আপনার সাথে এখনি কথা বলা দরকার’’
- জজ সাহেবের মেয়ের জামাই
আরদালি চিরকুটটি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের টেবিলে দিল। তখন জগদীশ ও নরেনের মামলা মাত্র উঠেছে। ম্যাজেস্ট্রেট সাহেব খাস কামরায় এলেন। নিরুকে দেখে সন্তুষ্ট হলেন না। বললেন- এসবের মানে কি? আরদালিকে দিলেন ধমক-আজ তোমার চাকরি থাকবে না।


নিরু বলল- ওর দোষ নেই?
- তবে দোষ আপনার?
- আমারও নয়। লিগাল সিস্টেমটাই এমন।
- আপনি কি জজ সাহেবের মেয়ের জামাই?
- আমার সাবেক শ্বশুর জেলা জজ ছিলেন।
- সাবেক মানে, বউ মারা গেছে না তালাক দিয়েছেন?
- আমাকে তালাক দিয়েছে। সেসব কথা বলে আপনার সময় নষ্ট করব না।

আপনার কোর্টে নিরীহ দু’জন সেলুন কর্মচারিকে তোলা হয়েছে। জামিন চাওয়ার জন্য কোন উকিলও ঠিক করতে পারিনি। তাদের জামিন চাই।
- আপনি তাদের জামিন চাওয়ার কে? সাহস থাকলে এজলাসে আসেন।
- আমার কথার উপর ভিত্তি করে জগদীশ বাজি ধরত।

ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না। বিস্তারিত সংক্ষেপে জানাল নিরু। জামিন চাচ্ছি ব্যক্তিগত দায়বোধ হতে। আর এজলাসে যাওয়ার সাহস আছে, কিন্তু সাধারণ লোকের ওকালতি করার বিধান নেই।
- আচ্ছা! আপনি তাহলে গুরু?
- বলা যায়।


- ভালই হল, গুরু-শিষ্য সবাইকে একসাথে ঢুকিয়ে দেব।
- সেটা কারো জন্যই ভালো হবে না।
- ভাল-মন্দ আমি বুঝবো। আমি হয়তো তাদের জামিন দিয়ে দিতাম। কিন্তু আপনি যে কাণ্ড করেছেন তাতে ওদের জামিনতো না মঞ্জুর করবই এবং আপনাকে আমার খাস কামরায় জোরপূর্বক অনধিকার প্রবেশের দায়ে এখনই গ্রেফতার করব।


- আপনি দশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন। জুডিসিয়াল ক্যাডারে নিয়োগ পরীক্ষায় আরেকজনের পরীক্ষার খাতার ভেতরের পাতাগুলো বদল করে আপনাকে পাশ করানো হয়েছে। তাও একেক বিষয়ের খাতা একেক জনের সাথে বদল করা হয়েছে। খাতাগুলো এক সাথ করলে ভিন্ন ভিন্ন হাতের লেখার বিষয়টি প্রমাণ হবে। আপনার চাকরির মেয়াদ এখনো তিন বছর হয়নি।

পরীক্ষার খাতাগুলো কমপক্ষে তিন বছর সংরক্ষিত রাখার কথা। আমাকে চৌদ্দ শিকে ঢুকিয়ে দেন সমস্যা নেই। সর্বোচ্চ তিন দিন পর আমি জজকোট থেকে জামিন নেব। এর মধ্যে হাইকোর্টে আপনার ব্যাপারটি ফাইল হবে ভেবে দেখুন। সময় ৩ সেকেন্ড।

ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব রুমাল বের করে নাক মুছতে মুছতে নিজ পায়ে দুম দুম আওয়াজ তুলে খাসকামরা থেকে বের হয়ে এজলাসে উঠলেন। নিরু খাসকামরা হতে বাইরে এসে দরবারের পেছনের দরজায় দর্শকের ভিড়ে মিশে গেল। ম্যাজিস্ট্রেট জগদীশদের মামলার ধারা সংশোধন করালেন এবং নিদিষ্ট ধারায় মামলাটি নিয়ে প্রত্যেকের ছয়শ’ টাকা করে জরিমানা দিয়ে মামলাটি ডিসমিস করে দিলেন। দুই পিতাকে কাজকর্ম বুঝিয়ে দিয়ে নিরু বের হয়ে এল। জামাই জাহান্ধারকে নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়া গেল।

নিরু বলল চলুন নতুন বর-কনের জন্য কেনাকাটা করতে হবে। বাজেট ছয় হাজার টাকা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।