আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থ পাচারে বাংলাদেশ দ্বিতীয়! বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সুযোগে অর্থপাচার চরমভাবে বেড়েছে। দেখার কেউ নেই।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার বিদেশে পাচার হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার (ইউএডিপি) তথ্যমতে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ৩০৬ কোটি ডলার, গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যমতে, প্রতিবছর পাচার হয় ১৪০ কোটি ডলার। আর ক্রিশ্চিয়ান এইডের তথ্য মতে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেই পাচার হয় বছরে ৩৯৭ কোটি ডলার। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় অর্থ পাচারের পরিমাণ বাড়ে।
বিশেষত, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বিদেশে অর্থপাচার বেড়েছে। এর তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকরা।

প্রথমত, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তদারকি কমে এসেছে। যারা অর্থপাচারের সুযোগের অপেক্ষায় ছিল তারা এই সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করছে। দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগের সুযোগ না থাকায় টাকা অলস ফেলে না রেখে বিদেশে বিনিয়োগ করছেন। চলমান অস্থিরতায় আরেকটি ১/১১-এর আশঙ্কা করেছিলেন অনেক ব্যবসায়ী। এই শঙ্কা থেকেও অনেক ব্যবসায়ী অর্থ নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন।

জাতীয় রাজস¦ বোর্ড (এনবিআর), দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত সরকারের প্রথম চার বছরে প্রতিবছর ২৪-২৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আর শেষ বছরে এসে অর্থপাচার হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত বছরের নভেম্বরে অর্থপাচারের বিষয়টি তদন্ত করার উদ্যোগ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। একটি কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সে উদ্যোগ এখনো আলোর মুখ দেখেনি।


অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিপ্রবাহ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের মূল্য অনেকটাই কমে এসেছে। কমেছে টাকার বিপরীতে ডলারের মান। সরকারি-বেসরকারি ঋণ চাহিদাও তলানীতে। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন কোন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব নেই। এতকিছুর পরও বেড়েছে আমদানি ব্যয়।

অথচ বাড়েনি কাস্টম ও কর থেকে সরকারের আয়। এসব উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানির আড়ালে পাচার হয়ে যাচ্ছে অর্থ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রতি ডলার ৮১ টাকা ৫৪ পয়সায় লেনদেন হলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৭৭ টাকা ৭৫ পয়সায়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের দামও নিম্নমুখী। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ৯৬৬ ডলার থাকলেও চলতি অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৭৬৫ ডলারে।

একই সঙ্গে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। চাল-গমসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যের মূল্যও এ সময়ে কমেছে। একই সময়ে তুলার আমদানি মূল্যও কমেছে ১০ শতাংশ। এসব কারণে আমদানি ব্যয় কমে আসা উচিত কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আমদানি (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যয় ছিল ১ হাজার ৯৬ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। উল্লিখিত সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ। আবার গত অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে আমদানি শুল্ক আদায় হয় ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে আমদানি বাড়লেও শুল্ক আয় কমেছে ৪৬ কোটি টাকা।

একই সময়ে আমদানি পণ্যের উপর সম্পূরক কর আদায়ও কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে সম্পূরক কর আদায় হয় ১ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা নেমে আসে ১ হাজার ৮২৭ কোটি টাকায়। অথচ গত অর্থবছরের (জুলাই-অক্টোবর) তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ভোজ্যতেল আমদানি বেড়েছে ৬৩ শতাংশ, তুলা ২৩ শতাংশ ও কয়লা ২২৩ শতাংশ। কয়লা আমদানির আড়ালেই সবচেয়ে বেশি অর্থপাচার হয়েছে।


ব্যাংক ও শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি বাড়লে কাস্টমসে সরকারের আয় বাড়বে, এটাই স¦াভাবিক। তবে বাস্তবে তা হয়নি। এতে প্রমাণিত হয়, আমদানির আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) গত বছরের একই সময়ের চেয়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এই তথ্য পর্যালোচনা মূলত এই প্রতিভাত করে যে, ওভার ইনভয়েসের (পণ্যের প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে) যন্ত্রপাতি আমদানির নামে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধুমাত্র স¦ীকৃত হিসেবেই বাংলাদেশ থেকে ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এক দশকে অন্তত ১ হাজার ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা এক লাখ ২৮ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা অবৈধভাবে বাইরে চলে গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের উৎপাদন যন্ত্র এবং ক্ষমতার সাথে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তারা অবৈধ আয়ের সুযোগ পান। ফলে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তাদের নিজেদের স¦ার্থে বিদেশে পাচার করে থাকেন। রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার নামে এরা ৪২ বছর ধরে দেশের সম্পদ বাইরে পাচার করেছে এবং এখনো করছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যে দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী না খেয়ে থাকে সেদেশ থেকে এ রকম লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে থাকে এর চেয়ে বড় বৈষম্য ও শোষণ আর কী হতে পারে? স¦াধীন দেশে এটা কি করে কল্পনা করা যেতে পারে? তাই নির্বোধ সরকারকে সক্রিয় করতে সর্বাগ্রে জনগণকেই সম্যক সক্রিয় হতে হবে।


মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

link



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।