আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে মেয়েটা রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে অথব Let's Rock The Party, Come On Every Body.

তুমি ক্ষমাশীল হও, সৎ কাজের আদেশ কর, আহাম্মকদের থেকে দূরে থাকো. -সুরা আরাফ, আয়াত.১৯৯ রাত দশটার ককটেল আড্ডায় সেলিম কে কিছুটা ক্লান্ত দেখায়। ঘুম ঘুম একটা ভাব ওর চেহারায় ফুটে ওঠে। সেলিমের বন্ধু "রাসেদ" ওর পাশেই বসে আছে। গুলশানের বারটা আস্তে, আস্তে ফুলে ফেপে উঠছে, ভিড়ে। ডিজে বাজছে, ডান্স ফ্লোর গুলো কাপাচ্ছে তরুন, তরুনীর উদাম নৃত্য।

বিশেষ দিন গুলোতে এখানকার ম্যানেজমেন্ট মুব্বাই থেকে মাল আনে, একেবারে তাগড়া "বেবস"। "থুরি, থুরি মেয়েদের মাল বলতে নেই। " বলে সেলিমের কাধে হাত রাখে রাসেদ। সেলিম ঘাঢ় ঘুড়িয়ে জানতে চায়- কিরে, বিদেশি গুলান নামবে কখন? দেশি গুলা ক্যাবারে নাচতে গিয়াতো কত্থক নাচতেছে। রাসেদ হো হো করে হেসে ওঠে- যা কইছোস না দোস্ত দিল খুশ।

এরপর ও সামনের দিকে তাকিয়ে বলে মজা লও মাম্মা, বম্বের মাল ওন ফ্লোর। ডিজেতে গান চলছে "লেটস রক দা পর্টি, কামান এভরি বাডি"। রাসেদ আর সেলিম উঠে গিয়ে আর এক পেক ভদকা নিয়ে নাচতে নাচতে মদ্য তরুন তরুনী দের ভিড়ে দ্রবীভূত হয়ে যায়। ওদের কে আর আলাদা করে চেনা যায়না, উপায় ও নেই। ড্যান্স ফ্লোরে কে যে কার বোন কে কার গার্ল ফ্রেন্ড বোঝা মুশকিল।

সবাই এক তালে নাচে, নারীরা শরিরের ভাজে ভাজে ফুটিয়ে তোলে এক প্রকারের মাদকতার ঢেউ। সেই ঢেউয়ের তালে বিভোর হয়ে সেলিম ঘাঢ় ঘুরিয়ে এদিক সেদিক তাকায়। ওর চোখ আটকে যায় বিচ্ছিরী রকমের এক সুন্দর মেয়ের দিকে। সেলিম রবীন্দ্রনাথ পড়েনি তাহলে হয়তো বলতো পটল চেরা চোখ। ও দেখেছে বলিউড মুভি, তাই ও বলে উঠলো "কেয়া মাল হ্যা।

" রাসেদের হাত চেপে ধরে বলে দোস্ত এরকম একটা মাল আজকে রাতে হলে দারুন জমত। জেয়ান কে খবর দেই, দেখি ওর ফ্লাট টা খালি আছে কি না? রাসেদ সামান্য মনমরা হয়ে বলে গুলশানের মাল, দাম পড়ব অনকে। আর তাছাড়া বিশেষ দিন গুলায় এগো দাম যা থাককেনা! দুই হাজারের টা পরে আট হাজার। লগে আবার খাওয়ান লাগব। আর তাছারা এরা আগেই বুকিং দেয়া থাকে।

দোস্ত এইডা কি কস? আজকের এমন একটা রাইত একা কাটামু ক্যামনে। আকন্ঠ মদ গিলে নারী কামনা পুরন না হলে শরিরের ম্যাজ ম্যাজ ভাবটা যাইবনা। দারা জিকু কে একটা ফোন দেই, ঐ শালার কাছে কোন না কোন মালের খবর ঠিকই আছে। রাসেদ আগ্রহ নিয়ে বলে- দে, দেখ জুটে কিনা। কিন্তু ভালো মাল কি এহন পামু? আরে, জিকুর কাছে স্টক আছে।

দোস্ত একটা বিদেশি দেখা দরকার ছিল। দেশি গুলায় আর তেমন টেষ্ট পাইনা। আরে আজকের রাত টা কোন একটা জুটলেই হইল। রাসেদ বলে দোস্ত এক কাজ করি, আগে জেয়ান কে ফোন করে নেই। দেখি ওর ফ্লাট টা পাওয়া যাবে কিনা? জেয়ান কিছুটা জড়ানো গলায় বলে হ্যালো।

-হ দোস্ত, রাসেদ, তোর ফ্লাট টা কি আজকে পাওয়া যাবে? দোস্ত এখন তো পাবানা, আমার বসে আইছে, হের সেক্রেটারীরে নিয়া। শালায় যাওয়ার নাম নাই। ঘরে পোয়াতি বৌ থুইয়া আমার ফ্লাটে কন্সানট্রেশন থেরাপি করতাছে, আর আমি শালা নেড়ী কুত্তার মতন রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়তাছি। -ক্যারে তো গার্ল ফ্রেন্ড কৈ? কোন টার কথা কইতাছোস? -বুঝছি, বাদ দে। তোর ঐ খানে আজকা পর্টি করুম।

পানির ব্যাবস্হা আমি করুম নে। মাল জোটাইতে পারিনাই এখনো। যা শালারা মাল না জুটাইয়া ফ্লাটে আইসা কি পোলারা ক্যাবারে করবি নাকি? -আরে ক্ষাপোস ক্যা? ব্যাবস্থা একটা করুম নে চিন্তা নিসনা। তুই হ কইলেই মালের ব্যাবস্হা হইবো। আচ্ছা আয় দেহি শালারে কেমনে বাইর কারা যায়।

শালার বস মানুষ কিছু কইতেও পারিনা সইতেও পারিনা। আর শোন পানি তোগো আনা লাগবোনা, হালার পুতেরে দেখছি দুইবোতল আনছে পুরাটা তো টানতে পারবোনা। তোরা মাল রেডী কর। রাসেদ ফোন কেটে সেলিম কে বলে- দোস্ত ফোন লাগা জিকুরে। জিকু ফোন ধরে উচ্ছল গলায় বলে কি মামা আমারে তলব ঘটনা কি? - দোস্ত লাগব।

আজকার রাইতে আর পাইবানা, সব বুক হইয়া গেছে। ডেলীভারিও হইয়া গেছে অনেক গুলান অলরেডী। এত দেরী করলা ক্যা? আগে কইতা। -আরে দোস্ত তোর কাছে মাল নাই এইটা মানতে অইব। একটা ব্যাবস্হা কর না।

ট্যাকা নিয়া ভাবিস না। আরে তোরা বন্ধু মানুষ ফাও খাওয়াইলেই বা কি? হাতে নাই। খারা এক জায়গায় খোজ নিয়া দেখি পাওয়া যায় কি না? পাইলে জানামু নে। কিছু খন পরে ফোন করে জিকু। রাসেদ পুলকিত গলায় বলে- দোস্ত আমি জানতাম তুই পরবি।

-দোস্ত শোন বহু কষ্টে ম্যানেজ হইছে, মাইয়া আছে উত্তরায়। একদম ফ্রেশ জিনিষ। মাইয়ার বাপ, মা কেউনাই। ঘরে সৎ বাপ সেই বাপেরে ধইর কাম ভাগাইছি। ট্যাকা বেশি লাগব।

তবে মাল পাবি ১২ টার পর। মিডেল ক্লাশ সমাজিক জীব গুলার লইগা, মেয়ের বাপে মাইয়ারে রাইতের ভিড়ে বাইর কইরা দিব। নাইলে আবার সেই মিডেল ক্লাসের নানান কথা শুনতে হইব তোমার মাইয়া এত রাইতে কৈ গেছে হ্যান তেন। মাইয়ার সৎ বাপে আমার কাছ থেইকা মাঝে মাঝে মাল নেয়, সেই ভাবে পরিচয়। হুন তোরা কেউ গিয়া মেয়েটারে নিয়া আসিস।

আর ফ্রেশ যহন, আমি আমুনে ২টার দিকে। জেয়ানের ফ্লাটে তো? -হু। বলে ফোন কেটে দেয় সেলিম। ওর পুলক ভাবটা চলে গেছে। মেয়েটার জন্য মায়া হচ্ছে।

অবশ্য মায়া করেই বা কি লাভ? এই মেয়ে তো বিক্রি হবেই। বাজারের তালিকায় নাম একবার যখন নিবব্ধন হয়ে গেছে কে বাচাবে একে, কামুক দুনিয়ার হাত থেকে। কারো বাপের সাধ্য নাই, এরে বাচায়। রাস্তার পাশে পালসার টা রেখে সেলিম একটা সিগারেট ধরায়। উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডের একটা গলির মুখে দাড়িয়ে আছে সে।

মেয়েটার এখানেই থাকার কথা। রিকোয়েষ্ট করে ১২ টার আগে যাওয়ার জন্য রাজি করিয়েছে সেলিম। রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। একটা মেয়ে ধির পায়ে ওর দিকে এগিয়ে আসছে। একে বারে কাছে চলে আসলে সেলিম মেয়েটার মুখের দিকে তাকায়, সডিয়ামে অসচ্ছ হলুদ আলোয় মেয়েটার মুখ স্পষ্ট দেখা যায় না।

মেয়েটা লম্বাটে, ভারী কোমর, মসৃনতা দেখে সেলিমের কিছুটা বিষণ্ন লাগে। পরিস্হিতির শীকার একটা মেয়েকে এভাবে নিয়ে গিয়ে অর্থের বিনিময়ে ধর্ষন করার কোন মানে হয়না। মেয়েটা বাইকের পিছনে উঠে বসে। বলে চলেন? সেলিম বাইকটা স্টার্ট দেয়। ধানমন্ডীর জেয়ানের ফ্লাটে যাবার আগে সেলিম একটা ধাধায় পরে যায়।

তার কি উচিত হবে এই সাধারন মেয়েটাকে নিয়ে গিয়ে কত গুল মদ্য মাতেলের মাঝে ছেড়ে দেয়া? যারা খুলে খবলে খাবে এই মেয়েটার সতীত্ব বা আব্রু। কি এমন হবে, আজকের এই দিনে এরকম একটা খারাপ কাজ না করে। শত পাপের বোঝা ঘাড়ের উপর নিয়ে আর একটা নিশ্পাপ মেয়েকে ভোগের সামগ্রি বানানো কি ঠিক হবে? বিপরীত দিক থেকে আশা গাড়ির হেড লাইটের আলোয় বাইকের লুকিংগ্লাসে সেলিম মেয়েটার মুখ দেখে। অদ্ভুত এক স্বপ্ন নারী। চোখে হাল্কা কাজল পরেছে, চুল গুল উড়ছে বাতাসে।

গালের বাম পাশে একটা লাল দাগ মনে হয় কেউ চড়-থাপ্পর দিয়েছে। সৎ বাপটার হাত থেকে কি সেলিম মুক্ত করতে পারে মেয়েটাকে? আচ্ছা মেয়েটাকে নিয়ে পালিয়ে গেলে কেমন হয়? পালিয়ে ওরা বিয়ে করে ফেল্ল। এত সুন্দর একটা মেয়ে এই ভাবে শেষ হয়ে যাবে সেলিম ভাবতে পারছেনা। ও ঘরির দিকে তাকায়। বারটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।

মহাখালী ফ্লাইওভারে উঠেপরে ওদের হোন্ডা টা। যায়গায় যায়গায় পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়েছে। এমন সময় ফটাস করে একটা শব্দ হয়। ওদের বাইকের পিছনের চাকাটা পাংচার হয়ে গেছে। মেয়েটা সেলিমের পিঠ খামচে ধরে।

একজন পুলিশ এগিয়ে আসছে ওদের দিকে। সেলিম ভেতরে ভেতরে ঘেমে যায়, আজকের রাতে পুলিশের হাতে ধরা খেলে তাও আবার মেয়ে সহ। তাহলে তো আর মুখ দেখাতে পারবেনা, মানুষের কাছে। সেলিম মনে মনে প্রিপারেশন নিচ্ছে পুলিশ যদি জানতে চায় মেয়েটা কি হয়? ওর ও বলবে বৌ। পুলিশ অফিসার কাছে এসে পিছনের মেয়েটার দিকে তাকায় বলে কি রে আজকেও দেখি যাইতেছিস।

তোরে সেদিনও জেলে নিয়া রাখলাম, তুই মানুষ হবিনা। মেয়েটা এবার মুখ খোলে, "স্যার কি বলেন এইসব? এই আমার চাচাত ভাই, চাচার শরিরের অবস্হা ভালো না। হাসপাতেলে ভর্তি, তার জন্য যাচ্ছি হাসপাতালে। পুলিশ অফিসার বলে-চল জিপে ওঠ তোকে চাচার কাছে দিয়া আসি দেখি কোন হাসপাতালে ভর্তি। স্যার ক্যান জালাইতাছেন? রুগির অবস্হা ভালো না, যাই।

সেলিম পাংচার হোন্ডাটা চালিয়ে ধির লয়ে পেরিয়ে যেতে থাকে ফ্লাই ওভারটা ওর স্বপ্ন গুলো এক ঝাটকায় আবার আগের যায়গায় এসে মিলে যায়। আজ রাতে মাস্তি হবে মালের সাথে। শালার জিকু মালের দাম বাড়ানের লইগা ঐ সব ফ্রের ম্রেসের নাটক সাজাইছে। শালার দালালের আবার দোস্ত, বন্ধু কি? দুরের আকাশে আতোস বাজি দেখা যায়, ডিসম্বরের ৩১ তারিখ পেরিয়ে গেলো শুরু হলো নতুন বছর। আর এই রাত টাকেই উদযাপন করার জন্য ওদের এত আয়োজন।

কেবল দুটো শব্দ "হ্যাপি নিউ ইয়ার" বলেই রাতটা সুন্দর ভাবে পালন করা যেত। কিন্তু না ওদের আরো লাগবে মৌজ মাস্তি পানি এবং রং তামাসা। বিশবছর পরঃ সেলিম চেয়ারের উপর হেলান দিয়ে বসে আছে। তার স্ত্রী জেরিন পাশের রুমে আড্ডা দিচ্ছে। টিন এইজ এক ছেলে তার স্ত্রীরির দারুন বন্ধু।

আড্ডার এক ফাঁকে জেরিন এসে সেলিমকে দেখে বলে গেছে- ঘুমচ্ছ না কেন? বয়স্ক শরির যাও শুয়ে পর। তার স্ত্রী নাইটি যাতিয় এক প্রকারে ড্রেস পরে আছে, পাতলা ফিন ফিনে। সেলিম এই মহিলকে সামলাতে পারছেনা, তার রক্তে টেষ্টোষ্টোরেন ঘটিত সমস্যা হয়েছে। তাদের একটা ১৮ বছরের মেয়ে আছে, "লিন্ডা" ও হয়ে ছে ওর মায়ের মতন বাসায় ফেরেনি এখনও বলে গেছে আজ রাত বাইরে কাটাবে ওর বয়ফ্রেন্ড এসে ওকি পিক করে নিয়ে গেছে। সেলিম ব্যালকোনিতে দাড়িয়ে শুনেছিল ছেলেটা লিন্ডাকে বলছে "তুমি দিন দিন মাল হয়ে উঠছ, হানি"।

জেয়ানের ফ্লাটে একটা খুন হয়, মদ খেয়ে নারী নিয়ে বেলাল্লা পনা করা নিয়ে সংঘাত। কে আগে যাবে? এই টাইপের সমস্যা। সেই থেকে ফ্লাট টা পুলিশ সিল গালা করে রেখেছে। জেয়ান জেলে। জিকু এখন আর দালালি করেনা।

নারীরাই ওকে নিয়ে দালালি করে, সে এক অন্য ইতিহাস অন্য কোন দিন বলব। রাসেদ মারা গিয়েছিল অচেনা রোগে। কিন্তু সেলিম ঠিকই জানে রাসেদের ঘাতকের নাম "এইডস"। মুখ বন্ধঃ লেখার কিছু বর্ননা সত্য ঘটনার অবলম্বনে রচিত। তবে প্রায় সব চরিত্রই কাল্পনিক, কেবল এইডসের চরিত্রটা ছারা।

অনেকে হয়তো ভাববেন এ কেমন ধরনের লেখা? কেউ খারাপ করলে তার জীবনে খারাপ হবে এমন কোন যুক্তি নেই। তাদের জন্য একটা গল্প বলি, একবার পজেটিভ এটিচ্যুডের একটা ক্লাশে একটা গল্প শুনে ছিলাম- এক শিশু তার মায়ের উপর রেগে দৌড়ে গিয়ে একটা খোলা পাহাড় ঘেড়া উপত্যাকায় গিয়ে চিৎকার করে বলেছিলো, "আমার মা পচা এবং খারাপ"। কিছু ক্ষনের মধ্যে প্রতিধ্বনী হয়ে একই কথা ফিরে এলো, শিশুটির কাছে। এবার সে তার মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে বলল মা দেখ পাহারের ওপার থেকে ওরা সবাই বলছে ওদের মায়েরাও খারাপ। তখন সেই মা তার ছেলে কে বলে ছিল বাবা যাও এবার গিয়ে বলো "আমার মা ভালো: দেখো ওরা কি করে।

এবার পাহাড়ের ওপার থেকে প্রতিধ্বনি ফিরে এলো আমার মা ভালো। আর তা ছাড়া প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরিত মুখি প্রতিক্রিয়া আছে। মানে মানুষও যা করে তা আবার বুমেরাং হয়ে তার কাছে ফিরে আসে। সবাইকে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা। ফেইস বুকে আমার পেইজ দেখতে চাইলে নিচের লিংকে যানঃ View this link আমার রিসেন্ট আর একটি লেখাঃ রমনীর বিষাক্ত নিঃশ্বাস বা যৌন দাসত্ব এবং একজন অমানুষ  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।