আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিষ্টাচার বিবর্জিত রাজনৈতিক বক্তব্য -



আমাদের দেশের রাজনীতিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অধিকাংশই অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত। বড় দুই দলের শীর্ষ পদে আসীন দুই নেত্রী বংশানুক্রমে আগত। এদেব শিক্ষা-দীক্ষা, আচার আচরণ, চিন্তা ভাবনা ও হীনমন্যতা দেখে দেশের মানুষ রীতিমত শঙ্কিত। এসব রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির রীতিনীতি সম্পর্কে সম্যক ধারনা নেই। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া দলের নেতৃত্বে বসেই এরা ধরাকে সরা বলে ভাবতে শুরু করেন এবং এর ফলে তাদের পক্ষে রাজনীতির কলা কৌশল, রাজনীতির নিয়ম কানুন এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার ইত্যাদি বিষয় জানা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তিতে দুই দশকেরও বেশী সময় তারা পালা বদল করে দেশ শাসনের নামে ক্ষমতা দখল করে দেশ ও দেশের জনগণকে শোষন করেছে। তারা নিজেরা এবং নিজ দলের নেতা কর্মীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এত দীর্ঘ সময় রাজনীতিতে থেকেও দুই দলের দুই নেত্রী রাজনীতির ময়দান হতে কোন সুশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি। পারেননি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এর কারণ, তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করে দেশকে আরও বেশী শোষন করা এবং আত্মনির্ভরশীলতার পরিবর্তে দেশকে পরনির্ভরশীল করা।

তাদের অযোগ্যতা, অদক্ষতা এবং মারমুখী মনোভাবের জন্য মাশুল গুণতে হচ্ছে এ দেশের ১৫/১৬ কোটি মানুষকে। দুই দলের দুই নেত্রীর অদুরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গী, পারস্পরিক অসহযোগিতা ও পরম অসহিষ্ণুতা দেশকে স্পষ্টতঃ দুইভাগে বিভক্ত করেছে। দেশ আজ গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। তাদের অশালীন ও শিষ্টাচার বহির্ভুত বক্তব্য শুনে আমরা আজ লজ্জিত। এ ভেবে আমরা শঙ্কিত, আমরা কি আমাদের গৌরবোজ্জল অতীতকে আবার ফিরে পাবো? আমরা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছি এবং এখনও দেখি, আদৌ কোনদিন আমাদের সকলের প্রিয় সে দেশ তেমনটি হবে কি?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.