আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ
হে কলমওয়ালা ! তুমি তোমার দেশের পীর ব্রাদারগণকে বল। হে আল্লার নূর সংযোগের ঠিকাদারগণ ! যখন তোমরা একেক জন এক ঘরমে দো পীর যাও বাছা সো রাঁহো মনোভাব অন্তরে লালন কর- তখন নিজেরা কিভাবে বিশ্বাস করছো যে, তোমরা আল্লার নূরেতে অবগাহন করছো ! এটা তোমাদের বৃথা কল্পনামাত্র। ইহা এক প্রকার মতিভ্রম !
তুমি ডিক্লেয়ার দাও যে, তোমরা যারা আল্লার নূরের আবেশ লাভের দাবিদার তাদের অধিকাংশই নেহাত মরীচিকার আলেয়াতে বিভ্রান্ত। আল্লাপাক বলছেন- তাহার নূরের আবেশ পেতে হলে সর্বপ্রথম দিলপ্রাণ থেকে হিংসাকে কতল করতে হবে। বল।
তোমরা কি বাস্তবিকই হিংসার গ্লাণি দুর করতে পেরেছো ? তোমরা যে এক পীর সম্প্রদায় আর এক পীর সম্প্রদায় হতে তফাতে অবস্থান করছো- এই লক্ষণই ধরিয়ে দিচ্ছে যে, তোমরা মনের কি'না দুর করতে পারো নি। বল। আল্লার নূরের রওশন পেতে হলে সকল রুহানি শিক্ষকদের মাঝে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সিলসিলা চালু করতে হবে। বল।
আল্লা বন্ধুত্বের শিরোমণি।
হে কথা কয় যে পাখী তার নামধারী ! যে সকল আদমসন্তান আদমের সৃষ্টি কর্তার সাথে হট লাইন করতে চায়। তাদেরকে পরামর্শ দাও। বল। কলবের মাঝেই আয়না আছে।
সে আয়নারই উপর আছে ছয়টা কলো রিপুর চাদর। সেই চাদরের ঢলাঢলি মনা রুখতে পারাই আয়না গড়া। অবুঝে গতর ঝুঁকায়ে আর গলা কাঁপানো জিকির হাঁকিয়ে পাবে নাকো আয়নার দেখা। কলবের মাঝেই আছে মনা তাজাল্লি আর নূরের রওশন। সেই আয়নারই রুপের ছটায় কত মন পাগল দিশে হারায়।
মনা নিয়ত আর আমলই যে কলবের ভেতর আয়না বসাই- এ কথাটা নতুন করে নাইবা বলি। আসল কথা তবে বলি শোন হে কলবের কান্ডারি ! বিবেক চলে নিজ পথে আর মানুষ চলে মতলবে। তাই চলো মনা বিবেকেরই ঝাঁওয়া দিয়া করি রিপুর চাদর ঘষামাঁজা। পাইলেও পাইতে পারি বড় সাধের আয়নার দেখা। যদি গোপন মনে উচাটনে আয়না দেখার ভাব জমে- তবে চলো সবে ধাক্কামারি লোভ মোহ আর হিংসাকে।
অথচ তোমরা পীরবাবাগণ একেকজন কুরশীওয়ালা হয়ে যেমন আল্লর কুরশীকে কেন্দ্র করে ফেরেশতাগণ পাক খায় ঠিক তেমনি ভাবে তোমরাও মুরীদানদের খেলাচ্ছো। তোমাদের অন্তরে যে কি মতলব তা আল্লার বোঝা সারা !
হে গণহারে সালামকারী ! তুমি বলে দাও যে, তোমরা যারা রুহানি শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছো তারা বলে থাক যে- তাসাউফ পদে উত্তীর্ণ হয়ে অনেক ধরনের অলৌকিক ঘটনার অবতারণা করতে পারি। এটা একেবারেই তোমাদের মনগড়া কথা। তোমাদের স্মরণ নাই কোরানের ঐ সংলাপটির কথা যখন তোমাদের রসুল হিজরতের প্রায় সন্নিকটে খুবই সংকটময় মূহুর্তে মনে মনে কামনা করছিল আল্লার তরফ থেকে কোন প্রকার অলৌকিক সাহায্য নাযিল হোক। তখন আল্লাপাক ধমকের সুরে ভৎসনা করে বলেছিল যে- হে রাসুল তোমার আক্ষেপ হলে যদি তুমি পার তবে সুরঙ্গ করে ভূ-পৃষ্ঠের নীচে নেমে যাও অথবা সিঁড়ি বানিয়ে আকাশে উঠে যাও কিংবা কোন নিদর্শন থাকলে নিজে নিজে নিয়ে এসো।
" বল, স্বয়ং রাসুলকে যখন এমনতর কথা বলা হয়েছে, সেখানে তোমরা উম্মতরা কিভাবে বলছ যে, আমরা রুহানি শিক্ষকগণ অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বা তাদের অনুসারীগণ বলছ যে- আমাদের পীরসাহেবান কেরামতসম্পন্ন ব্যক্তি। বল। সমস্ত নিদর্শন মুযিজা কেরামতি অলৌকিকতা আল্লার তত্ত্বাবধানে !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।