------
পবিত্র? এই শব্দটা কী বুঝায়?
নরকের ভাষা কিছুই বল না
নিষ্প্রভ, যেন মােটা, নির্বােধ কিম্ভূত জন্তুর
তিন মাথা, তিন জিহবার মতাে বােবা,
যে কি না দুয়ারে শ্বাস টানে ঘর্ঘর।
অথচ পারে না, চেটেপুটে নিতে
হাড় থেকে যত মাংশতন্তু পারে না মুছতে পাপ।
দাহ্য কান্না
নেভানা মােমের
মােচনাযােগ্য ঘ্রাণ!
আহা ভালবাসা, হায় প্রেম, হায়... হাল্কা ধোঁয়ার কুণ্ডলী ওঠে
আইসাডােরার১ স্কার্ফের মতাে, আমার ভেতর থেকে
ভয়ে ভয়ে আছি, একটা রোমাল ধরব এবং
নােঙর করবে চলন্ত ঘূর্ণিতে।
এমন হলুদ বিষণ্ন ধোঁয়া গড়ে তােলে তার স্বতন্দ্র ইঙ্গিত।
তারা জাগবে না, অথচ ঘুরবে গ্রহটার চারদিকে-
নম্র এবং বয়ষ্কদের শ্বাসরােধ ক’রে,
দুর্বল আর স্পর্শকাতর
শিশুটির গলা চেপে ধ’রে তার ঘর-দয়া শয্যায়,
কুৎসিত অর্কিড
বাতাস দালায় ঝুল উদ্যান,
শয়তান চিতাবাঘ!
তজ®িয়তা শাদা ক’র দিল,
এক ঘণ্টায় হত্যা করল তাক।
ব্যভিচারীদর হাত-পা-শরীর
হিরাশিমা-হন ভস্মর মতা পিছল-পিছল গলাধঃকরণ
বড় পাপ। বড় পাপ।
প্রিয়তম, সারারাত
আমি, সারারাত দাদুল্যমান, নিভছি জ্বলছি নিভছি জ্বলছি।
চাদর ক্রমশ ভারী হলা যন কামুকর চুম্বন।
তিনদিন।
তিন রাত।
লবু-গালা জল, মুরগির ছানা-থঁৎলানা জল
উকি তুল-আনা জল।
এত খাঁটি আমি, তামার, অথবা য-কারও জন্য।
তামার শরীর আমাক আঘাত কর
যমন পথিবী ঘাই-মার ঈশ্বর।
আমি এক লণ্ঠন
আমার মাথাটা জাপানী কাগুজ চাঁদ, ত্বক সানা-মাজা,
অতি কমনীয়, অতীব মূল্যবান।
আমার তাপ কি ¯ব্ধ, বিমূঢ় কর না তামাক? এবং আমার আলা?
আমার সবটা নিয় আমি এক সুবিশাল ক্যামলিয়া
আরক্ত হই, ফুটি, ঝ’র যাই, ফর জাগ রক্তাভা।
মন হয় আমি ফুরিয় যািছ
মন হয় হব পুনরায় উত্থান
তপ্ত ধাতব পুঁতিগুলা ওড়, আর আমি,
হায় ভালবাসা,
আমি বিশুদ্ধ এসিটিলিনর অক্ষতযানি ময়,
গালাপ আপ্যায়িত,
দবদূত কতর্
ক, চুম্বন শিহরিত,
এ-গালাপি-রঙ যা-কিছু বাঝায়, তার সব দিয় আমিই মূল্যায়িত।
না-তুমি, অথবা না-স।
না তার নিকট, না তাহার করণায়,
আমার সত্তা মিল যায়, যন স্বয়ংবশ্যা অর্বাস
স্বর্গর আঙিনায়।
------------------
সিলভিয়া প্লাথর কবিতা
১০৩০ জ্বর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।