আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোজেজা এবং কেরামত।



ছি ছি ছি, মুমিন মুসলিমরা এইসব কি বিশ্বাস করে?তাদের রাসুল নাকি হাত দিয়ে চাদ দুই টুকরা করে ফেলেছিলেন,তাদের রাসুল নাকি বোরাক নামের খচ্চরের পিঠে চড়ে সাত আসমান পাড়ি দিয়েছেন????????????ধর্মান্ধতা মানুষকে কত নিচে নামাতে পারে যে আজকের এই আধুনিক পৃথিবীতেও মুমিন মুসলিমরা এইসব হাস্যকর,অবৈজ্ঞানিক কথা বিশ্বাস করে।

এইরকম কথায় আমরা সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারি। আসলেই কুরানে উল্লেখিত অনেক ঘটনাই আছে যার বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা হয় না। অবশ্য তাতে করে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে অথবা মনে নেগেটিভ কোন ধারনার উদ্রেক শুরু হওয়ার আগেই কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত।

ইসলাম আসার পর রাসুল(স) তা প্রচার করা শুরু করেন।

আল্লাহ তাআলা ঐসময় থেকেই তার মাঝে কিছু কিছু অলৌকিক শক্তি দিয়েছিলেন। যার নাম "মোজেজা" বা অলৌকিক শক্তি। রাসুল(স) এর সমবে কাবা শরীফে ৩৬০ টা দেবতা ছিল। তার মানে এটলিস্ট ৩৬০টা ধর্ম ছিল। সব ধর্মই ছিল কোন না কোনভাবে মানুষের সৃষ্টি।

নিজের ধর্মকে প্রচার করার একটা প্রবনতা সবার মাঝেই ছিল। কিন্তু বাকিদের মাঝে এই মোজেজার গুনটি ছিলনা। তাই এটা মানুষের কাছে সহজেই অনুমেয় ছিল যে রাসুল(স) হচ্ছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্ররিত নবী। অবিশ্বাসীরা যাতে আল্লাহর উপর ইমান আনে সেই কারনে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুল(স) এবং সকল নবী রাসুলকে এইসব মোজেজার গুন দিয়েছিলেন। যেহেতু এগুলো অলৌকিক কাহিনী সেহেতু সেগুলোতে বিজ্ঞান খুজতে যাওয়া অবান্তর।

প্রকৃতঅর্থে মানুষ যেন আল্লাহর প্রেরিত দুতদেরকে নবী বলে বিশ্বাস করে সেজন্যই মোজেজা দেয়া হয়েছিল। যেমন মুসা(আ) এর লাঠি,ইসা(আ)এর মৃত মানুষকে জীবিত করে তুলা এইসবই মোজেজা।

কুরান শরীফে বর্নিত সকল মোজেজা আমরা মুসলিমরা মানতে বাধ্য বাট অনেক পীর-ওলি আউলিয়াদের মারিফতি কেরামত আছে শোনা যায় সেগুলো আমরা বিশ্বাস করতে বাধ্য নই। আমি কোন হাদিসে এইসব কেরামতের কথা শুনি নাই পাশাপাশি আব্দুল কাদির জিলাণী(রহঃ) সহ অনেক ওলি আউলিয়াদের কেরামতের কথা বাল্যকালে শুনেছি যা এখন ভুল হিসেবেই বুঝতে পারছি। যাই হোক,নবী রাসুলদের মোজেজার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই এবং এর বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যাও নাই।

সুতরাং এইসব মোজেজার ব্যাপরে বিজ্ঞান ঘাটতে যাওয়া পুরোপুরিই অর্থহীন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।