আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুটি অন্যরম সংবাদঃ একই বৃন্তে দুই ভুবনের দুই বাসিন্দার রোজনামচা

বিলেতের প্রথম বাংলাদেশী মহিলা স্বপ্নারা খাতুন রাণী কর্তৃক সার্কিট জাজ হিসেবে নিয়োগ পেলেন

অনারেবল এমপি ক্রিস গ্রেলিংগ-লর্ড চ্যান্সেলরের সুপারিশের ভিত্তিতে মহামান্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্যারিস্টার স্বপ্নারা খাতুনকে সার্কিট জাজ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। রাণীর আদেশে বলা হয়েছে, স্বপ্নারা`র এ নিয়োগ গত ১০ই মার্চ ২০১৪ সাল থেকে কার্যকর হবে।
নিয়োগ আদেশে বলা হয়েছে, স্বপ্নারা খাতুন সাউথ ইস্টার্ন সার্কিট বেইসড এর লন্ডন ফ্যামিলি কোর্টে জাজ হিসেবে কাজ করবেন।

জুডিশিয়ারি অব ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস এবং ট্র্যাইব্যুনালস জুডিশিয়ারির ওয়েব সাইটে এডিটরদের জন্যে প্রদত্ত নোটে বলা হয়েছে, ৪৬ বছরের স্বপ্নারা খাতুন এর অনার হবে একজন জাজ স্বপ্নারা। এতে আরো বলা হয়েছে, স্বপ্নারা খাতুন প্রথম ১৯৯০ সালে বার-এ কল করা হয় এবং ২০০৭ সাল থেকে বারে তার নিয়োগের রেকর্ড নিবন্ধিত রয়েছে।



স্বপ্নারা খাতুনের পরিচয়:

সিলেটের বিয়ানীবাজারের আদি নিবাস স্বপ্নারা খাতুন পেশায় একজন ব্যারিস্টার। তার বাবার নাম মিম্বর আলী তিনি প্রয়াত। ফ্যামিলি ল, ডোমেস্টিক ভায়োল্যান্স ল বিষয়ে এক্সপার্ট স্বপ্নারা লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকস থেকে এলএলবি পাশ করেন। এর পর ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইনের উপর প্রফেশনাল ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল থেকে লর্ড চ্যান্সেলর কর্তৃক স্বপ্নারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে একজন ফ্যামিলি এক্সপার্ট হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের জাস্টিস ডিপার্টম্যান্টকে পরামর্শ দান করেছেন।

২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি ফ্যামিলি বার এসোসিয়েশনের কমিটি মেম্বার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফ্যামিলি জাস্টিস কাউন্সিল ছাড়াও ফোর্স ম্যারিজের উপর একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। লন্ডনের বিখ্যাত বার কোরাম চেম্বারের একজন নিয়মিত ব্যারিস্টার স্বপ্নারা খাতুন “রিপ্রেজেন্টিং এশিয়ান ফ্যামিলিজ ইন দ্য ফ্যামিলি কোর্ট” শিরোনামে বই লিখেছেন।

এর আগে তিনি পার্ট টাইম জাজ হিসেবেও কাজ করেছেন। উল্লেখ্য সার্কিট জাজ পদবী ব্রিটেনে ডিস্ট্রিক্ট জাজ এর উপরে এবং পরবর্তী পদোন্নতিতে তিনি হাই কোর্টের জাজ হতে পারেন।



২০১২ সালের ৯ এপ্রিল ব্রিটেনের গার্ডিয়ানে আশিয়ানা নেটওয়ার্কের একজন চেয়ার হিসেবে আয়শা গিল এর সাথে যৌথভাবে ফোর্স ম্যারিজ নিয়ে তার লিখিত উপস্থাপনা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিখ্যাত ব্লাক লেটার ল পেপারে স্বপ্নারা সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি সাউথ এশিয়ান ছাড়াও ইরানীয়ান ও তার্কিশ মহিলাদের উপর ফোর্স ম্যারেজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। ২০১২ সালে ব্রিটিশ পাওয়ার ১০০ এর একজন প্রভাবশালীর ব্রিটিশ বাংলাদেশের তালিকায় স্থান করে নেন। (13th March 2014,London).

রাণীর নিয়োগ আদেশের লিঙ্কঃ-
Appointment of a Circuit Judge: Sapnara
The Queen has appointed Khatun Sapnara to be a Circuit Judge on the advice of the Lord Chancellor, the Right Honourable Chris Grayling MP.
The Right Honourable The Lord Thomas of Cwmgiedd, Lord Chief Justice of England and Wales, has deployed her to the South Eastern Circuit, based at East London Family Court with effect from 10 March 2014.

Notes to editors
Khatun Sapnara, aged 46, will be known as Her Honour Judge Sapnara. She was called to the Bar (M) in 1990. She was appointed as a Recorder in 2007.

ক্রোম ফ্যামিলি লয়ারের অভিনন্দন টুইট বার্তা-৪ঠা মার্চ ২০১৪;
Congratulations to Khatun Sapnara @CoramFamilyLaw on her appointment as a Circuit Judge.

http://www.judiciary.gov.uk/media/judicial-appointments-and-retirements/judicial-appointments/2014/appt-of-a-circuit-judge-sapnara

ব্লেয়ার আমার বন্ধু নন, আমাদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে-ডেভিড ক্যামেরুন


ব্রিটেনের দুই প্রাইম মিনিস্টার জেরুজালেমে শান্তি আলোচনায় এক টেবিলে মিলিত হলেন। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, অন্যজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

দুজনেই দুজনের শাসনকালিন সময়ে বেশ আলোচিত ও সমালোচিত। একজন সমালোচিত-আলোচিত ইরাক, আফগানিস্তান ইনভেনশনের জন্যে, অপরজন আলোচিত অর্থনীতিতে কৃচ্ছ্রতা নীতি অবলম্বন করতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত হারে কাট নীতির কারণে দেশের ভিতরে বেনিফিট সহ অন্যান্য সংস্কার ও হ্রাসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে নানা প্রশ্নের ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।

ইয়েস বলছিলাম, এই দুই রাষ্ট্রনায়ক সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের জেরুজালেমের মাটিতে এক টেবিলে আলোচনায় বসেছিলেন।

ডেভিড ক্যামেরুন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনায় জেরুজালেমে গত সপ্তাহে যখন ছিলেন তখন এমন মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বক্তব্যও দিয়েছেন।

টনি ব্লেয়ার বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শান্তি আলোচনার জাতি সংঘ এনভয়। তাই ডেভিড ক্যামেরুনের বক্তব্যের ও রাষ্ট্রনায়কদের সাথে আলোচনার আগে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সার্বিক উদ্যোগ ব্রিফ করছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। প্রায় একঘণ্টা ব্লেয়ার ক্যামেরুনকে ব্রিফ করেন।

ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকেরা ডেভিড ক্যামেরুনকে ঘিরে ধরেন। নানা প্রশ্নের পর জানতে চান টনি ব্লেয়ার কি তার বন্ধু নাকি কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ।

এমন প্রশ্নে স্মিত হাস্যে দৃঢ়তার সাথে জবাব দেন ক্যামেরুন এবং বলেন, ব্লেয়ার আমার বন্ধু নন। রাজনীতি খেলার মাঠ নয়।

স্কাই নিউজকে ক্যামেরুন বলেন, আমি তাকে আমার বন্ধু বলতে চাইনা। কেননা, আমাদের দুজনের মধ্যে দুটি মতের বিস্তর ব্যবধান, আমরা দুজন দুই পার্টি করি, দুই ভিন্ন মতের অনুসারী। তিনি বলেন, আমি এখনো মনে করছি, ব্লেয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রত্যেক বুধবারে প্রাইম মিনিস্টার কুয়েশ্চান টাইমে নানা প্রশ্নের ফেইস করতে হয়েছিলো।



ডেভিড ক্যামেরুন আরো বলেন, আমরা দুজন দুটি রাজনৈতিক প্ল্যাট ফর্ম থেকে উঠে এসেছি, আমাদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। দুজনে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করার ক্ষেত্রে দুটি ষ্টেট রাষ্ট্রের সলিউশনের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।

ক্যামেরুন আরো যোগ করেন, আমি অবশ্যই ব্লেয়ারের পরামর্শ শুনবো, যেমন করে আরো অন্যান্য সকলেই আমাকে পরামর্শ দিলে আমি শুনে থাকি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ক্যামেরুন হেসে বলেন, আমি তাকে ডাউনিং ষ্ট্রীটে সেভাবেই দেখি, যেমন করে আমি এখন ডাউনিং ষ্ট্রীটে আছি একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।

Salim932@googlemail.com
14th March 2014.।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।