আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনসুলিন নিয়ে এই খেলা খেলছে কে??

ও পথ মাড়িও না যে পথ তুমি চেননাকো----

প্রায় দেড় বছর হতে চলল বাজারে আসা নভো নরডিস্কের ইনসুলিন যা বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে এসকেএফের তত্বাবধানে ( সাদা প্যাকেট) একটা অপ্রাপ্তির সঙ্কট সৃষ্টি হল বাজারে । যারা মধ্যবিত্ত তারা খুব খুশী ছিলেন মাত্র ৩৮০/৩৮৫ টাকায় পৃথিবী বিখ্যাত কোম্পানির মানসন্মত ইনসুলিন পাওয়া যাচ্ছে । আগে এই ইনসুলিন আমদানি হয়ে আসত ( নীল বর্ডার প্যাকেট) যা প্রায় ১৭০/১৮০ টাকা বেশী দিয়ে কিনতে হতো, মুল দাম ৫৭০/৫৮০ । নভো নরডিস্ক ও এসকেএফ যৌথ ভাবে বাংলাদেশে ইনসুলিনের মুল্য কম ও সহজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তায় পৃথিবীর মোট চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগ চাহিদা মেটানোর লক্ষে উৎপাদন শুরু করে । মান একই অথচ দাম কম, নভোর সব ইনসুলিন ব্যাবহারকারিদের বেশ স্বস্তিতে রেখেছিল ।

হটাত উৎপাদনে জটিলতা দেখিয়ে দোকানিরা পুরনো আমদানিকৃত ইনসুলিন বিক্রি করতে লাগলো । উপায়হীন ক্রেতারা তাই ই মেনে নিলাম সরল বিশ্বাসে । কিছুদিন পর আবার হাজির দেশে তৈরি ইনসুলিনের । এবং আবারো ক্রাইসিস । এবার সন্দেহের তীর ছুটল ব্যাবসায়ীদের দিকে।

নিশ্চয় কিছু গড়বড় হচ্ছে । এভাবে এযাবত তিন দফা এই কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে ডায়াবেটিক রোগীদের জিম্মি করে ফেলছে ঔষধ ব্যাবসায়ীরা । আমাকে বাজার মূল্য থেকে বেশী দিয়ে দেশী সাদা প্যাকেট কিনতে হয়েছে , কারন দেখিয়েছে বাজারে মাল নেই । বাজারে মাল নেই তো তার জন্য মাছ আর পেয়াজের সঙ্গে ইনসুলিন জুড়ে দিলেন ? দোকানী হাসে । একজন ডায়াবেটিক রোগীর জীবনে খরচের মাত্রা বাড়তে থাকে ক্রমশ নানা নতুন উপসর্গে ।

হার্টের ওষুধের দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ । স্বাস্থ্যখাত এখন একটি চরম লাভজনক বিষয় । ওষুধের দোকান বাড়ছে আর বাড়ছে ক্লিনিকের সংখ্যা । একজন ডায়াবেটিক চিকিৎসক রোগীকে ইনসুলিন ধরিয়ে দিতে পারলেই নতুন স্ত্রী বাদে আর সব জিনিস মিলে যাচ্ছে তাও হোম ডেলিভারিতে । কাজের লোকেরা স্যারের বাসায় কি কি নেই তার তথ্য মেডিকাল রিপ্রেজেনটেন্টিভ কে সরবরাহ করে ।

ওষুধ দোকানীর মুখে রামের হাসি । গোপীগণ (মেডিকাল রিপ্রেজেনটেন্টিভ ) সর্বদা তাহাদের দিকে পুস্প ও রং নিক্ষেপ করিতেছে যাহা তাহাদের জীবনে কল্যান বহিয়া আনিতেছে আর রোগীর অবস্থা কাতরে পরিপূর্ণ করিতেছে ।
মনে হয় এটি একটি ফন্দি । প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দুদকে দৌড়াদৌড়ি দেখে আমরা খুব সহজে বুঝে নিতে পারি এই ইনসুলিন সংকটের পিছনের কাহিনী । ইনসুলিন পাল্টানো যায় কিন্তু নতুন একটি ইনসুলিন মাত্রা ঠিক করে তার মনিটরিং বেশ ঝামেলাকর ।

একজন এনডোক্রাইন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া তা ঝুঁকিপূর্ণ । মোটকথা এখন সব ধরনের রোগীরাই ঔষধ প্রস্তুতকারি আর ফার্মাসির টার্গেট ।
কাউকেই অনুরোধ নেই কিছু করার , শুধু সহানুভুতি দেখালেই চলবে ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।