আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ ধোকাবাজি: জাতীয় নারী সংহতি হবে নাকি বিএনপি-জামাতি নারী সংহতি হবে ?

আমার আগের নিক হ্যাক হয়েছে কিনতু দ্বাবি একটাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই। ___________________ @সুলতান মির্জা মূল আলোচনা যাওয়ার আগে একটা বিষয় উল্লেখ করছি, আমার এইটুকু জীবনে এই প্রথম দেখলাম, যে নারীদের নিয়ে কোনও সংগঠনের পুরুষ প্রধান আলোচনা। তবে এই ক্ষেত্রে একটা বিষয় উল্লেখ করতে পারি, যে রাষ্টের কোনও মন্ত্রী বা উর্দ্ধতন কোনও কর্মকর্তা যদি হয় তাহলে সমালোচনা করার কোনও বিষয় থাকে না। খবরটা ছিল: পুলিশের হাতে গ্রেফতার জামাতের ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২০ কর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দাবি করেছে জাতীয় নারী সংহতি। এটা যেহেতু গণতান্ত্রিক দেশ তাই যেকোনো মানুষ যেকোনো কারা ভোগের আসামির মুক্তি দ্বাবি করতেই পারে।

তাতে সমস্যা দেখছি না। তবে একটা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, যে ৫০/৫০ অর্থ্যাত সমান সমান নারী পুরুষের একটা ব্যানার কে কিভাবে জাতীয় নারী জাতীয় নারী সংহতি বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে ? তাও কিছু গণমাধ্যমে। কারা ছিল নেতা-নেত্রী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিয়া সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী সু্প্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবদীন সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফি পাপিয়া সংসদ সদস্য শাম্মি আক্তার অ্যাডভাকেট সাদিকুর নাহার মুন্নি সেই সভায় তাদের দেওয়া বক্তব্য গুলো ছিল, মনিরুজ্জামান মিয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গ্রেফতার হওয়া মেয়েদের রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদ জানান এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি দাবি করেন। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেন তিনি। সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফি পাপিয়া বলেন, “মেয়েটির গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হত্যা মামলার আসামি করা হবে।

“রিমান্ডের নামে নারীদের চুলের খোঁপা ধরে টানাহেঁচড়া করা হচ্ছে। প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তার নামে মানুষকে নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে। ডিবির লোকেরা চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যস্ত আছে। শাম্মি আক্তার বলেন, “এ ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের সেই বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। এখন সেই সকল তথাকথিত নারী আন্দোলনের কর্মীরা কোথায়? কেন তারা আজকে চুপ।

কেন তারা এর প্রতিবাদ করে না। এ দৃশ্য দেখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। প্রতিক্রিয়া: কী বলার দরকার, আর কী বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তা দেখলে অবাক হয়ে যাই। এইগুলো আবার কোনও ভদ্র সমাজের ভাষা হয় কী করে ? আমি তো বুঝতেছি, যারা অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের চেয়েও নিকৃষ্ট এখন যারা এইসব নারী সংস্থার জংগীবাহিনী দের মুক্তি চাচ্ছে। আর সবার কথা, বাদ দিলাম, কিন্তু মনিরুজ্জামান মিয়া উনি কী অধ্যাপক নাকি ? জংগীবাদীদের সর্দার ? মূলে যাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ পক্ষ পাতিত্ত্ব পুজি করে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে দিয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারা করছে তাও পরিস্কার। তবে বিশেষ ভাবে একটা কথা গতকালকের নারী সংহতির ব্যানারে আন্দোলন কারীদের মনে রাখা প্রয়োজন ছিল, নারী হলেই যে তাদের সবকিছু পবিত্র হয়ে যাবে এটা ভাবা মোটেই ঠিক না। আমরা অনেকেই খুব ভাল করে জানি যে, উল্লেখিত নারী ব্যানারের অনেকেই তিনজন মহিলা রয়েছে, তাদের ব্যক্তিগত নৈতিকতার কথা। হলেই মুখের উর্বরতার কথা।

হলেই কেমন করে কী কী বলতে পারে সেইসব কথা। পরিশেষে, একটা কথা না বলে পারছি না ছাত্র শিবিরের অনেকেই নেতাকর্মী দের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমি মনে করি তাদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আপাতত বড় ধরনের নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, আমাদের দেশ। তদ্রুপ, ছাত্রী সংস্থার যেসকল নারী কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, হলেই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়েও ভাল একটা মেসেজ জাতির সামনে এসেছে। অনেকেই জামাত-সামনে সামনে ঘটানোর জন্য কেমন তত্পর হয়ে উঠেছে। আর এইসব ঘৃণিত কর্মীদের মুক্তির জন্য আন্দোলনকারিরা অনেকেই ব্যানারেই আন্দোলন করুক না কেন, তাদের উচিত আগে নিজের দেশ প্রেম এর পরীক্ষা দেওয়া।

দ্যান আন্দোলন। @সুলতান মির্জা।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।