আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জন্মদিনে সবাইকে পিঠা রেসেপির দাওয়াত

একা পাখি বসে আছে, দূর নীলিমার পানে তাকিয়ে... আজ আমার জন্মদিন সরি .....জন্মরাত তাই আপনাদের সবাইকে ১৫ টা পিঠার রেসিপির দওয়াত দিলাম.... আর যখন আপনারা পিঠা বানিয়ে খাবেন আর মনে মনে ভাববেন আকাশদেখি এর পক্ষ থেকে আপনাদের খাওয়ানো হল......... ১। খেজুর রসে ভাপাপিঠা উপকরণ: ঘন খেজুরের রস আধা কাপ, পাতলা খেজুরের রস ২ কাপ, মিহি কুরানো নারকেল ১ কাপ, সেদ্ধ চালের গুঁড়া ২ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া আধা কাপ, পানি ১ কেজি, পাতলা পরিষ্কার কাপড় ২ টুকরা, ভাপাপিঠার হাঁড়ি ও বাটি ১টি করে, লবণ এক চিমটি। প্রণালি: সেদ্ধ ও আতপ চালের গুঁড়া, লবণ ও ঘন রস আস্তে আস্তে দিয়ে মাখাতে হবে, যাতে পুরো মিশ্রণ ঝরঝরে থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে চাকা না হয়ে যায়। তারপর একটা মোটা চালনিতে মিশ্রণটুকু চেলে নিতে হবে।

এই মিশ্রণে হালকা হাতে নারকেল মেশাতে হবে। হাঁড়িতে পানি ফুটে উঠলে বাটিতে হালকা হাতে চেপে পিঠা বসাতে হবে। এবার বাটি কাপড়ে মুড়িয়ে ভাপে বসিয়ে চটজলদি কাপড় একটু ফাঁক করে বাটি উঠিয়ে দিয়ে আর একটি পিঠা তৈরি করতে হবে। বাটি ওঠাতে দেরি করলে পিঠা বাটিতে আটকে যাবে। সব পিঠা বানানো হলে ঠান্ডা করে ওপরে ঠান্ডা পাতলা রসে ভিজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার শীতের রসে ভেজানো লাল ভাপাপিঠা।

২। নকশি পিঠা উপকরণ: চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি দেড় কাপ, লবণ সামান্য, ঘি ১ টেবিল চামচ। সিরার জন্য: গুড় আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, পানি ১ কাপ। সব একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে সিরা বানাতে হবে। প্রণালি: পানিতে লবণ ও ঘি দিয়ে চুলায় দিন।

ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া দিয়ে সেদ্ধ করে কাই বানাতে হবে। পুরু করে রুটি বানিয়ে পছন্দমতো আকার দিয়ে কেটে নিন। খেজুর কাঁটা দিয়ে রুটিতে পছন্দমতো নকশা করুন। এবার ডুবোতেলে ভেজে নিন। সিরায় দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে সঙ্গে সঙ্গে উঠিয়ে নিন ৩।

মুগ ডালের নকশি পিঠা উপকরণ: ব্লেন্ড করা মুগ ডাল আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, দুধ ১ কাপ, পানি আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ঘি ১ টেবিল-চামচ, তেল ২ কাপ। সিরার জন্য—১ কাপ চিনি, ১ কাপ পানি, দারচিনি ২-৩ টুকরা, এলাচ গুঁড়া অল্প, ময়লা কাটার জন্য ২ টেবিল-চামচ পাতলা দুধ, গোলাপ পানি ১ টেবিল-চামচ। প্রণালি: ডালে দুধ ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ঘুটে নিতে হবে। এবার এলাচ গুঁড়া দিয়ে ঘুটতে হবে। ফুটে এলে চালের গুঁড়া দিয়ে দুই-তিন মিনিট ঢেকে রেখে চুলার আঁচ কমিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে।

ঠান্ডা হলে হাতে ঘি নিয়ে খামির নরম করে ছেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে পানি দিয়েও ছানা যাবে। তারপর যেকোনো ছাঁচে বা হাত দিয়ে নকশি করে পিঠা বানাতে হবে। চিনি ও পানি চুলায় দিয়ে ফুটে উঠলে একটু একটু দুধ দিয়ে চিনির ময়লা কেটে সিরা পরিষ্কার করতে হবে। এলাচ ও দারচিনি দিয়ে ঘন করে রাখতে হবে।

এখন পিঠা ভেজে গরম গরম সিরায় দিয়ে ওপরে গোলাপজল ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে মুগডালের নকশি পিঠা। ৪। পুলি পিঠা উপকরণ : চালেরগুড়া ২ কাপ, দুধ আধা কেজি, চিনি ১ কাপ, গুড় ১ কাপ, শুকনা চালের গুড়া ১ কাপ, এলাচ তেজপাতা দারুচিনি ৩টি করে, লবণ পরিমাণ মত। প্রণালী : প্রথমে চালের গুড়া সিদ্ধ করে ডো তৈরী করে নিন। এবার দুধ, চিনি, গুড়, শুকনা চালের গুড়া, গরম মসলা এক সাথে জ্বাল করতে হবে ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।

এবার সিদ্ধ করা ডো দিয়ে রুটি বেলে খিরসা দিয়ে পুলি পিঠা করে ভাবে সিদ্ধ করতে হবে। ৫। দুধ পুলি উপকরণ : চালের গুড়া ২ কাপ, নারকেল ১ ভাগের ৪ কাপ, দুধ ২ কাপ, চিনি ১ কাপ, এলাচ কয়েকটি, পানি ২ কাপ। প্রণালী : পানি ও চালের গুড়া দিয়ে শক্ত ডো তৈরী করে নি। এবার ছোট ছোট বা ২ বাই ২ রুটি বেলে ভিতরে নারকেল দিয়ে ছোট পুলি তৈরি করে নিন।

এবার চুলায় দুধ জ্বাল করে তাতে চিনি ও এলাচ দিন তারপর পুলি দিয়ে তুলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন। ৬। নারকেলের তিল পুলি উপকরণ: পুরের জন্য—কুরানো নারকেল ২ কাপ, ভাজা তিলের গুঁড়া আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, আতপ চালের গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, এক চিমটি এলাচ গুঁড়া, দারচিনি ২-৩টা। খামিরের জন্য—আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি দেড় কাপ, লবণ স্বাদমতো, ভাজার জন্য তেল দুই কাপ।

প্রণালি: কুরানো নারকেলে গুড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করতে হবে। একটু শক্ত হয়ে এলে এলাচ, তিল ও চালের গুঁড়া ছড়িয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে। তেল উঠে পুর যখন পাকানোর মতো শক্ত হবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে লম্বাভাবে সব পুর বানিয়ে রাখতে হবে। এবার চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালোভাবে চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে হবে, যাতে খামিরে কোনো চাকা না থাকে। একটু ঠান্ডা হলে পানি ছিটিয়ে ভালো করে ছেনে রুটি বানাতে হবে।

রুটির এক কিনারে পুর রেখে বাঁকানো চাঁদের মতো উল্টে পিঠে আটকে দিতে হবে। এবার টিনের পাত অথবা পুলিপিঠা কাটার চাকতি দিয়ে কেটে নিতে হবে। কিনারে মুড়ি ভেঙে ও নকশা করা যায়। গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে। এই পিঠা এয়ারটাইট পাত্রে দুই-তিন দিন রেখে খাওয়া যায়।

৭। দুধে ভেজানো হাতকুলি উপকরণ: ঘন দুধ ৫০০ গ্রাম, রান্না করা নারকেলের পুর ১ কাপ, খেজুরের গুড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে বানানো সেদ্ধ খামির ১ কাপ, কাজু অথবা পেস্তাবাদাম, কিশমিশ ও গোলাপজল পরিমাণমতো, মাওয়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য। প্রণালি: হাতে ছোট ছোট পুরির আকারে খামির নিয়ে একটু গর্ত করে তাতে পুর ভরে ভালোভাবে আটকে মুড়ি ভেঙে দিতে হবে। পিঠার মুখ ভালো করে না আটকালে দুধে ভেজালে ভেঙে যেতে পারে। এভাবে সব পিঠা বানানো হলে চুলায় গুড়-পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে।

আস্তে আস্তে ঘন দুধ দিয়ে আরও দু-তিন মিনিট রেখে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পিঠা ছড়িয়ে দিতে হবে। পিঠা হয়ে গেলে ভেসে উঠবে। সব পিঠা ভেসে উঠলে চুলা বন্ধ করে মাওয়া ও গোলাপজল দিয়ে মাখাতে হবে। এবার পরিবেশন ডিশে ঢেলে ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে। ৮।

মুগপুলি উপকরণঃ মুগপাকনের সব উপকরণ দিয়ে খামি তৈরি করে ১৬ থেকে ১৮ বা ইচ্ছেমতো ভাগ করে নারকেলের পুর ভরে পুলি পিঠার শেপ করে গরম ডুবোতেলে বাদামি রং করে ভেজে চিনির সিরার মধ্যে পাঁচ-ছয় মিনিট রেখে ওঠাতে হবে। নারকেলের পুরের উপকরণঃ কোরানো নারকেল-২ কাপ, চিনি-১ কাপ, এলাচ গুঁড়া-সামান্য। প্রণালীঃ সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে চুলায় দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে। চটচটে হলে নামাতে হবে। ৮।

ডিমের ঝাল পোয়া পিঠা উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ১ কাপ, সেদ্ধ চালের গুঁড়া ১ কাপ, ময়দা আধা কাপ, ডিম ২টি, পেঁয়াজ মিহি কুচি সিকি কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ। লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চা চামচ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য। প্রণালি: আতপ চাল ও সেদ্ধ চালের গুঁড়া, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি একসঙ্গে খুব ভালো করে মিলিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, লবণ একসঙ্গে ভালো করে চটকিয়ে ডিম দিয়ে মাখিয়ে ময়দার মিশ্রণে মেলাতে হবে। প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে।

গোলা করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গোলা যেন খুব পাতলা না হয়ে যায়। তেল গরম করে সিকি কাপ পরিমাণ গোলা ছাড়তে হবে। পিঠা ফুলে উঠলে উল্টিয়ে দিয়ে কাঠি দিয়ে পিঠার মাঝখানে ছিদ্র করে ভেতরের বাতাস বের করে দিতে হবে। পিঠা ভাজা হলে চুলা থেকে নামিয়ে টমেটো সস অথবা গ্রিন চিলি সসের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

৯। দুধ চিতই যা লাগবে: আতপ চালের গুড়া তিন কাপ,খেজুরের গুড় ১ কেজি,দুধ ২ লিটার,পানি ১ লিটার,পরিমান মতো লবন,এলাচ ৪/৫ টুকরা। যেভাবে বানাবেন: পাত্রে পানি ও গুড় জাল দিন। দুধ মিশিয়ে আরও ৩০ মিনিট আগুনে রাখুন। এবার পরিমানমতো পানি চালের গুড়া ও সামান্য লবন মিশিয়ে মাঝারি ঘনত্বের গোলা বানিয়ে নিন।

পিঠা গুলো তৈরি করবার জন্য মাটির খোলা বা লোহার কড়াই ব্যবহার করুন। কড়াইটি তেল দিয়ে মুছে মুছে চালের গুড়োর গোলা ঢেলে গোল গোল পিঠা তৈরি করে নিন। এবার আগের তৈরি করা গুড়ের সিরায় পিঠাগুলো দিয়ে একবার বলক এলেই চামচ দিয়ে সাবধানে নেড়ে দিন। চুলা থেকে নামিয়ে সারা রাত এভাবেই ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পরিবেশন করুন। ১০।

দুধে ভেজানো হাতকুলি উপকরণ: ঘন দুধ ৫০০ গ্রাম, রান্না করা নারকেলের পুর ১ কাপ, খেজুরের গুড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি আধা কাপ, আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে বানানো সেদ্ধ খামির ১ কাপ, কাজু অথবা পেস্তাবাদাম, কিশমিশ ও গোলাপজল পরিমাণমতো, মাওয়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য। প্রণালি: হাতে ছোট ছোট পুরির আকারে খামির নিয়ে একটু গর্ত করে তাতে পুর ভরে ভালোভাবে আটকে মুড়ি ভেঙে দিতে হবে। পিঠার মুখ ভালো করে না আটকালে দুধে ভেজালে ভেঙে যেতে পারে। এভাবে সব পিঠা বানানো হলে চুলায় গুড়-পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। আস্তে আস্তে ঘন দুধ দিয়ে আরও দু-তিন মিনিট রেখে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পিঠা ছড়িয়ে দিতে হবে।

পিঠা হয়ে গেলে ভেসে উঠবে। সব পিঠা ভেসে উঠলে চুলা বন্ধ করে মাওয়া ও গোলাপজল দিয়ে মাখাতে হবে। এবার পরিবেশন ডিশে ঢেলে ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে। ১১। লাল পুয়াপিঠা উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, মিহি করে বাটা নারকেল আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, খেজুরের গুঁড় মিষ্টি অনুযায়ী, পানি পরিমাণমতো, ডিম ২টি, এক চিমটি লবণ।

প্রণালি: তেল ছাড়া সবকিছু মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার তেল গরম হলে গোল চামচে গোলা নিয়ে একটা একটা করে ভেজে তুলতে হবে। এই পিঠা গুড়ের বদলে চিনি দিয়েও করা যায়। চিনি দিয়ে পিঠা বানালে পিঠা দেখতে সাদা হবে। ১২।

লবঙ্গ লতিকা উপকরণঃ খামিরঃ ময়দা বড় ২ কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, লবঙ্গ ১৫-২০টি, তেল ভাজার জন্য, পানি প্রয়োজনমতো। ময়দা, তেল ও লবণ দিয়ে শক্ত খামির তৈরি করতে হবে। পুর তৈরি করতে লাগবেঃ ২ কাপ নারকেল কুরানো। গুড়/চিনি ১ কাপ, একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করতে হবে। সিরাঃ চিনি ৪০০ গ্রাম, পানি ১ কাপ জ্বাল দিয়ে ঘন সিরা তৈরি করতে হবে।

প্রণালীঃ এবার খামির নিয়ে পাতলা রুটি বেলে তার মাঝখানে পুর দিয়ে চারকোনা পরোটার মতো ভাঁজ করে মাঝখানে একটি করে লবঙ্গ দিয়ে পিঠার মুখ আটকিয়ে দিতে হবে। এবার ডুবো তেলে ভেজে চিনির সিরায় চুবিয়ে উঠিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার লবঙ্গ লতিকা। ১৩। ফুলন দলা যা যা লাগবে : চালের গুঁড়া ৩ কাপ,চিনি ১ কাপ,ক্ষিরসা ১ কাপ,তেল আধা লিটার। তৈরির পদ্ধতিঃ মাইক্রোওভেনে দুধ ঘন করে নিন।

চিনি দুধের সঙ্গে মিলিয়ে ঘন ১ কাপ করে নিন। চালের গুঁড়া দুধ দিয়ে চেলে নিন। এবার বিভিন্ন সাইজ করে কেটে ডুবো তেলে ভেজে নিন। ক্ষিরসা নিয়ে তার মাঝে পিঠা ভিজিয়ে পরিবেশন করুন। ১৪।

মিক্স ভাপা পিঠা যা যা লাগবে : চালের গুঁড়া ৫০০ গ্রাম,গুড় ১ কাপ,নারিকেল ১ কাপ,দুধের রিসা ১ কাপ। তৈরির পদ্ধতি: চালের গুঁড়া পানি দিয়ে মেখে একটু ভেজা ভেজা করে নিন। ভাপা পিঠা বানানোর পদ্ধতিতে এবার প্রথমে চালের গুঁড়া তারপর গুড়, আবার চালের গুঁড়া তারপর নারকেল, ফের চালের গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিন। এবার মাইক্রোওভেনে ৩ মিনিট স্টিম করুন। হয়ে গেলে নামিয়ে আনুন।

১৫। ক্ষীরের পাটিসাপটা যা যা লাগবে : গরুর দুধ ৩ লিটার,চিনি ৯ টেবিল চামচ,চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ,এলাচ গুঁড়ো সামান্য। যেভাবে বানাবেন : দুধ চুলাতে ফুটাতে হবে। ভালোভাবে ফুটে উঠলে আধা কাপ দুধ তুলে রেখে অল্প অল্প করে চিনি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। ঘন হয়ে আসলে আধা কাপ দুধ দিতে হবে।

ঘন ঘন নাড়তে হবে। একটু নরম থাকতে হবে। ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত মাঝে মধ্যে নাড়তে হবে আর ঢেকে রাখতে হবে। গোলার জন্য যা যা লাগবে : পোলাওর চাল বা আতপ চালের গুঁড়ো ৬ কাপ, ময়দা ২ কাপ, গুড় বা চিনি ৩ পোয়া। যেভাবে বানাবেন : গুড় ভেঙে ২ কাপ পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে।

চালের গুঁড়ো, ময়দা, গুড়, সামান্য লবণ দিয়ে গোলা করতে হবে। গোলা এমন আন্দাজ করে করতে হবে যেন খুব ঘন না হয়ে যায় বা খুব পাতলা না হয়। ননস্টিক বা অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের ফ্রাইপ্যানে গরম করে সামান্য তেল লাগিয়ে আধা কাপ গোলা ফ্রাইপ্যানে দিয়ে ফ্রাইপ্যানে ঘুরিয়ে গোলা ছড়িয়ে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১ মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে পিঠার উপরের দিকে শুকিয়ে গেলে এবং পিঠার তলা প্যান থেকে আলাদা হয়ে আসলে ২ টেবিল চামচ ক্ষীর একপাশে রেখে পিঠা মুড়িয়ে দিতে হবে। চামচ দিয়ে পিঠা চ্যাপটা করে দিতে হবে।

এইভাবে বাকি পিঠা করতে হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।