আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুরস্কে দাঙ্গার নিন্দায় এরদোয়ান, ১ জন নিহত

উত্তর আফ্রিকা সফরে সোমবার মরক্কোর রাজধানী রাবাতে পৌঁছে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আবদেল্লাহ বিনকিরেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরদোয়ান বলেন, “এসব বিক্ষোভ চরমপন্থীদের কাজ। যারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তাদের জন্য কোনো ছাড় নেই। ” এদিকে, সোমবার দিনের শেষভাগে সিরীয় সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তাকিয়ায় সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয় থেকে এ খবর জানানো হয়।
আবদুল্লাহ কমের্ত নামে ২২ বছর বয়সী ওই আন্দোলনকারী দেশটির প্রধান বিরোধীদল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) যুব শাখার সদস্য।
তবে আন্তাকিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ওপর কে গুলি ছুঁড়েছে তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত চারদিন ধরে তুরস্কে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চললেও প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ানের বক্তব্যে নমনীয়তার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য বিক্ষোভ দমনে সরকারের কঠোর অবস্থানকেই তুলে ধরেছে।

গত শুক্রবার থেকে চলা বিক্ষোভে এ পর্যন্ত পুলিশসহ কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছে। ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ার সংলগ্ন অটোমান আমলের একটি সামরিক ছাউনি, যা পার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তা ভেঙে বিপণীবিতান করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পুলিশ চড়াও হওয়ার পর তা সহিংস রূপ নেয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভটি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়ে টানা চলতে থাকে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশি হস্তক্ষেপকে এরদোয়ানের কর্তৃত্ববাদী শাসনের নমুনা হিসেবে বর্ণনা করেছে বিরোধী দল।

সোমবার প্রতিবাদকারীরা আবারও তাকসিম স্কয়ারে ফিরে আসে। বিক্ষোভের মাত্রা এদিনও তীব্র রূপ পায়। বসফরাস প্রণালীর পাড়ের এই এলাকাটির প্রবেশ পথগুলোতে সড়ক অবরোধ বসায় প্রতিবাদকারীরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বামপন্থী গোষ্ঠীগুলো লাল ও কালো পতাকা উড়িয়ে এবং ব্যানার প্রদর্শন করে এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি করে।

‘যা কিছু ঘটুক’, তারা ফিরে যাবে না বলে ঘোষণা করে। ওদিকে, রাজধানী আঙ্কারায় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া এসব বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই তরুণ বয়সী। তারা কিজিলে সরকারি আবাসিক এলাকায় প্রবেশ পথে বিভিন্ন প্রতিরোধক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং রাস্তায় আগুন ধরায়। এ সময় এলাকাটির ওপর দিয়ে একটি হেলিকপ্টারকে চক্কর দিতে দেখা যায়।

প্রতিবাদটিকে ধর্মনিরপেক্ষ শত্রুদের কাজ বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রত্যা্খ্যান করেন মরক্কো সফররত তুর্কি প্রধানমন্ত্রী। কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশি দমননীতির প্রতিবাদে তুরস্কের বামপন্থী পাবলিক ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কনফেডারেশন (কেইএসকে) মঙ্গলবার থেকে দুইদিনের “হুঁশিয়ারি ধমর্ঘট” করবে বলে জানিয়েছে। সংগঠনটির ২ লাখ ৪০ হাজার সদস্য রয়েছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.