আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোমাঞ্চকর লাফ।

একজন মানূষ (স্কাই ডাইভার) কতটা উপর থেকে প্যারাসূট নিয়ে শূণ্যে লাফ দিতে পারে? শারীরিক কসরত দেখানোর জন্য স্কাই ডাইভাররা দলবেধে বিমান থেকে যেই লাফ দেয় তার উচ্চতা সাধারনত ৫ থেকে ১০ হাজার ফুট হয়। যুদ্ধের সময় ছত্রীসেনারা প্যারাসূট নিয়ে শত্রু এলাকায় আক্রমনের জন্য লাফ দেয় তাও খুব বেশী উচ্চতা দিয়ে নয়। আমি এখন যার কথা বলছি সে এমন এক উচ্চতা থেকে লাফ দিয়েছে যা এর আগে এত উচ্চতা থেকে কেউ লাফ দেয়নি। ফেলিক্স বমগার্টনার (Felix’ Baumgartner)নামের ৪৩ বছর বয়সী এক অস্ট্রিয়ান স্কাইডাইভার। এই ব্যাক্তিটি আগের সব রেকর্ড ভেংগে দিয়ে পৃথিবী পৃস্ট থেকে ১২৮,০০০ ফিট ৩৯,০০০ মিটার উপর থেকে তিনিএই লাফ দেন।

এর আগের রেকর্ডটির মালিক ছিলেন কিটিংগার তিনি ১৯৬০ সালে ৩১ হাজার ৩০০ মিটার উচ্চতা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। রবিবার ১৪ ই অক্টোবর ২০১২ তিনি হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি একটি বেলুনের নীচে বিশেষ ধরনের ক্যাপসুলে করে (সাধারনত নভোচারীরা যে ধরনের ক্যাপসুলে করে পৃথিবী পৃস্টে নামে) নভোচারীরা যেই ধরনের পোশাক পড়ে সেই রকম পোশাক পড়ে নিউ মেক্সিকোর আকাশে ঠিক এত খানি উচ্চতা উঠে তিনি লাফ দিলেন। এবং সাথে সাথে তিনি ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে ফেলেন,এবং তা দুটি কারনে এক এর আগে এত উপর থেকে কেউ লাফ দেয়নি দুই তিনি প্রথম ব্যাক্তি যে কিনা কোন ধরনের যান্ত্রিক বাহন ছাড়া শব্দের গতি অতিক্রম করেন। ফেলিক্স যে উচ্চতা থেকে লাফ দেন তা ভূ-পৃস্ট থেকে ১০-৬০ কিঃমিঃ মধ্যবর্তী স্থান থেকে যার নাম স্ট্র্যাটস্ফিয়ার। এই জন্য এই মিশনের নাম করন করা হয় “স্ট্র্যাটস” লাফ দেবার এক পর্যায়ে (৪৩ সেকেন্ড) ফেলিক্সের গতি উঠে প্রতি ঘন্টায় ৮৩৩ মাইল (১,৩৪২.৮ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টায়) (ম্যাক ১.২৪) মাইল যা শব্দের গতিকেও অতিক্রম করে করে।

করে। (সাধারনত স্কাই ডাইভারদের ফ্রিফলের গতি হয় ৩২০ কিঃমিঃ মত)। এ ছাড়াও ফেলিক্সের এই রেকর্ড গতির একটি কারন হলো বায়ূমন্ডলের যত উপরে উঠে লাফ দেয়া যাবে ততই গতি বাড়বে। কারন উপরের দিকে বায়ূমন্ডলের ঘনত্ত অনেক কম এর ফলে বায়ূর ঘর্ষনজনিত গতিরোধও কম। তবে সে আর একটি রেকর্ড সেদিন করতে পারেনি তা হলো দীর্ঘতম ফ্রিফল (প্যারাসূট বন্ধ থাকা অবস্থায় কতখানি নীচে নামা যায়)।

এই রেকর্ডটিও তার হতে পারতো না হবার পিছনের কারন ছিল তার মাথায় বসানো বিশেষ ধরনের হেলমেটের (ভাইজর) কাচ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল যার কারনে চার মিনিট ২০ সেকেন্ডের সময় তিনি তার প্যারাসূট খুল দেন। তার ফ্রিফল স্থায়ী হয় চার মিনিট ২০ সেকেন্ড। এবং লাফ দেয়ার ২০ মিনিট পড়ে তিনি নিরাপদে নিউ মেক্সিকোর মরূভূমির বালু স্পর্শ করেন। এই লাফ দেয়ার জন্য তিনি পাচ বছর ধরে পরিকল্পনা করে এবং প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষন নিতেন। যদিও তিনি অস্ট্রিয়ান সেনাবাহীনিতে চাকুরী করার সময়ই তিনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন।

তার এই লাফের সব খরচ বহন করে “রেড বুল” এবং এই মিশনের নাম দেয়া হয় “রেড বুল স্ট্র্যাটস” আর এই লাফ দেয়ার সার্বিক দিক দেখাশুনা করেন এর আগের রেকর্ডধারী ব্যাক্তি কিটিংগার। এই লাফ দেয়ার দৃশ্য ৮০ লক্ষ মানূষ সরাসরি দেখছে। মাটিতে নামার পড়ে ফেলিক্স বলেন আপনি যে কত ক্ষুদ্র তা অনুভব করার জন্য আপনাকে কখনো কখনো অনেক উচুতে উঠে আসা উচিৎ। ছবি গুগল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.