আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাধীন বাঙলাদেশের লুটপাট চালিয়েছে কথিত ভূঁইয়া-চৌধুরীরা

ফার্মার আগে যখন খালে, বিলে, নদীতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম হতো প্রচুর মাছের, তখন কেউ মাছ চাষ করতোনা! করার প্রয়োজনও ছিলোনা!লাভজনকও ছিলোনা। আর প্রাকৃতিকভাবে মাছ ধরা ও বেচাকেনার সাথে সাথে জড়িত ছিলো চরম দারিদ্র মানুষগুলো! তখনকার দিনে মাছ ধরা বা মাছ ব্যবসার সাথে জড়িতদের নানানভাবে অপদস্থ করা হতো, হেয়প্রতিপন্ন করে তাদের ডাকা হতো জেলে, মাত্‍স্য ইত্যাদি বলে! কিন্তু দিনে দিনে মাছ চাষ যখন বৃহত্তর শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন সাহেব, কুতুব, ভুঁইয়া, চৌধুরীরাও টাকার লোভে এই পেশায় ঢুকেছে !যেই কারনে অতীতে তারা জেলেদেরকে অবজ্ঞা করেছে, কালের বিবর্তনে লজ্জা-শরম বাদ দিয়ে চরম বেহায়া-বেত্তুমিজের মতো মত্‍স্য ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়েছে! থুথুনি ফুলিয়ে নিজেদেরকে মত্‍স্য চাষী পরিচয় দেয়! কিন্তু হায়, শ্রেণী তোষামোদকারী নিলজ্জ বাঙালিও চৌধুরী-ভুঁইয়াদের এই পেশাকে মেনে নিয়েছে! কেউ তাদেরকে জেলে বলে অবজ্ঞা করেনা! অথচ, সেসময়ের জেলেদের দিন এখনো পাল্টায়নি! তারা এখনো চরমভাবে অবহেলিত, পাড়ায়-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে, শহর-নগরে, রাজনীতিতে, সভা-সমাবেশে, কোর্ট-কাচারিতে, রাষ্ট্রে ও রাষ্ট্রের সংবিদানে কোথাও তাদের মূল্য বাড়েনি দু-পয়সা! তারা বাঁচলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের কিছু যায় আসেনা, মরলেও না। আর তাই দুই হাজারের অধিক জেলে গত বাহাত্তর ঘন্টা নিখোঁজ থাকলেও এই রাষ্ট্রের কোথাও কোন রকম চাঞ্চল্য নেই! নেই গণমানুষের মধ্যেও কোন পীড়া। কেননা, রাষ্ট্রযন্ত্র আগে থেকেই খবর পেয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে চৌধুরী-ভূঁইয়ারা নাই! বরং তারা সকলেই প্রলেত, অথচ ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে,ব্রিটিশদের পা চেটেছে ভূইয়া-চৌধুরীরা! পাকিস্থানিদের পা চেটেছে ভূঁইয়া-চোধুরীরা। দেশের সাথে বেঈমানী করে পাকিস্থানিদের পক্ষে রাজাকারি করেছে ভূঁইয়া-চৌধুরীরা! যুগে যুগে এদেশের মানুষের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়েছে,ভূঁইয়া-চৌধুরীরা ! স্বাধীন বাঙলাদেশের সম্পদেও লুটপাট চালিয়েছে কথিত ভূঁইয়া-চৌধুরীরা। মূর্খ কৃষকের ভাবনা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.