আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের ফরিদ ভাই - ফরিদ bond 007 + mission impossible to be possible কিন্চিত ১৮+

বি: দ্র: (...আমার এ লেখা কাউকে বা কোন নারীকে ছোট করার জন্য নয়। একটা বিবাহিত নারী যার উসৃক্ষল জীবন যাপনে দুটো পরিবার কে কোথায় নিয়ে যার তা বোঝানো আর আমাদের সমাজে সেই সব নারির জন্য বাকি নারিরা কিভাবে বন্ধিত্ত বরন করে তা দেখানোর জন্য । যদি কারও কোন আপত্তি থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন তাহলে আমি এটা কন্টিনিউ করব না, আর এ লেখা সম্পুন্য সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা তবে চরিত্রর নাম গুলো অন্য নামে দেওয়া হয়েছে...এঘটনা এখনোও চলছে ঐ মানুষটির জীবনে এমন কি তা আদালত তক গড়িয়েছে..আর এলেখা উনার আনুমতি ক্রমে লেখা .শুধু মাত্র নাম আর কাল পাল্টানো হয়েছে..। ) ..। ফরিদ ভাইকে আমি চিনি অনেক দিন হলো।

তাও ৪-৫ বছর হবে। সবসময় হাসি খুশি থাকা মানুষটাকে আমি কোন দিন দেখিনাই যে মন খারাপ, সব সময় লোকটা হাসি খুশি থাকেন। অফিস এ প্রতিদিন সকাল ৮ টা ২৫ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে আমার রুম এর দরজার সামনে এসে দাড়াবেন। কারন আমরা দুজন ঐ সময় এক সাথে সিগারেট খাই। ভুল বললাম সিগারেট পান করি।

মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম এই ভেবে যে লোকটা সারাদিন খালি বক বক করে। বিড়ি পান করার সময় বক বক করা আমার আবার পছন্দ না। আর এছাড়া মানুষ কি করে এত বক বক করতে পারে, নিজের চাপাই তো বাথ্যা হয়ে যাবার কথা..। কিন্তু না, ইনার চাপা বাথ্যা হয় না। কারন উনি আবার এটম এর ভক্ত, এটম খাও চাপার জোর বাড়াও, বলবে কি জানিস কাল রাতে না এটা হয়েছে ওটা হয়েছে।

হুম ভালো হয়েছে - আমি বিরক্ত হয়েই বলতাম কিন্তু বুঝতে দিতাম না আমি বিরক্ত হচ্ছি। যাই হোক ভাল সম্পকর্র কারনে অনেক কিছু এরিয়ে চলা হতনা। এর মধ্যে হটাত করেই একদিন বলেন তার দেশে যেতে হবে। আমি বললাম মাত্র ৪ মাস হল ছুটি থেকে আসছেন আবার যাবেন। উনি বললেন যে তোমার মনে নেই তোমাকে আমি বলেছিলাম হুর পরির কথা, ভুলে গেছ? ও ও ও... ওই যে ঐ মেয়েটা তাইনা।

ঐযে আপনাকে থাপ্পড় মেরে ছিল ঐটা। বেচারা কে কথাটা বলে আমি নিজেই ব্যাক্কল বনে গেলাম, মনটা দেখলাম খারাপ হয়ে গেল। এর মাঝে একটা কথা বলে নেই তিনি আবার ঐ মেয়ের সাথে ফোন সেক্স করেন। আবার সেটা রেকড করে রাখতেন। বলতে পারেন আমি জানি কিভাবে? কারন ঐ একটাই।

মেমরি কাডে গান ভরার সময় দেখে শুনে বুজেছিলাম। যাই হোক খবর টা আমাকে আনন্দিত করল। তো ১ মাস পরে তিনি দেশ এ গেলেন। প্রায় ৪-৫ মাস উনার কোন খবর পাই নাই। এর মধ্যে তিনি বিয়ে করেছেন বলে খবর পেলাম তার একভাই এর মাধ্যমে।

তার কয়েকদিন পর বিদেশ আসলেন। আবার আগের মত কাজ করতে লাগলেন, খুবি খুশি ছিলেন। এদিকে উনার বউ আবার চরম সুন্দরি। উনি মোটামোটি গবর্র্ করেন বলেই মনে হয়। এবার কিন্তু আমি উনার থেকে দুরে সরে গেলাম।

একদম দুরে তা নয় কারন উনি সবসময় মোবাইলে ব্যাস্ত থাকতেন। কাজে মনযোগ একদমই ছিলনা। মোবাইলে ব্যাস্ত থাকার কারনে আমার সাথে সময় কম দিতেন। আর রাত হলেই স্কাইপ। সারারাত ভিডিও চ্যাট।

কি করতেন তা তো বুজতেই পারছেন। এই তো এভাবেই উনার দিন চলছিল ভালোই । কিন্তু দিন কে দিন উনি পাল্টে যাচ্ছিলেন যা আমি বুঝতে পারছিলাম। কিছুদিন পর বুজতে পারলাম উনি ভাল নেই, কিমন জান হয়ে গেছেন। আমাদের আগের সেই ফরিদ ভাই নেই।

এখন আর আগের মত কথা বলেন না। কাউকে কৌতুক বলে হাসান না। নিজেও হাসেন না। এ যেন এক অন্য ফরিদ ভাই। সব সময় একটা চিন্তিত ভাব তার চোখে মুখে।

মনমরা হয়ে থাকতেন সব সময় আর মোবাইল তো কানের সাথে আছেই। এভাবেই দু বছর কেটে যায় আর এর মধ্য মোটমাট ৩ বার উনি দেশে যান। শেষ বার উনি যখন আসলেন খবর পেলাম উনার ছোট ভাই কে বাসা থেকে বের করে দিছেন। একটা কথা বলে রাখি উনার বয়স ছিল ২৯ বছর আর উনার বউ ছিলেন ২১ কি ২২ বা ২৩ বছর বয়সি। প্রেম করে বিয়ে, মেয়ের বাড়ি যদিও মেনে নিয়ে ছিল কিন্তু তার পরেও অনেক প্রবলেম ছিল দুই পরিবার এর মধ্যে।

যাই হোক ভালই চলছিল কিন্তু ছোট ভাই কে বাসা থেকে বের করে দেবার পর থেকে কেমন যেন বেশি পাল্টে গেলেন তিনি। খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করেন না। মোবাইলে বউ এর সাথে রাগারাগি যেন প্রতিদিনের বিষয়। আগের মত মোবাইল ও ঠিক মত ব্যাবহার করেন না। একদম একা থাকতেন।

এভাবে আরও এক বছর কেটে গেল। একদিন ভোর বেলা সম্ভবত শুক্রবার খুব চেচামেচি শুনে চোখ কচলাতে কচলাতে বারান্দা তে গিয়ে শুনতে পেলাম তার বউ নাকি রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেছেন। তিনি ঐ রাতেই ইমারজেন্সি দেশে গেলেন। তো এভাবেই দিন চলছিল। প্রায় ১ মাস পর দেশ থেকে ফিরলেন, কিন্তু এবার ফরিদ ভাই আরো বেশি কনজরভেটিভ আচরন করছিলেন।

অবশেষে আসল সেই ২৮ মাচর্র ২০১৩। রোজকার দিনের মত সকালবেলা অফিস এ যাবার জন্য রেডি হয়ে দরজায় দাড়ি্য়ে তালা লাগাচ্ছি এমন সময় ফোন টা হটাৎ করেই বেজে উঠল, বিরক্তি সাথে নিয়েই রিসিভ করলাম, খবর পেলাম যে বাংলাদেশী ফরিদভাই খুবই অসুস্থ্য, কোম্পানির ক্লিনিক এ নিয়ে গেছে কারা জানো, অবস্থ্যা খুবি খারাপ, তারাতারি ভাল হাসপাতালে নেওয়া লাগবে। দৌড় দিয়ে গেলাম, ওখান থেকে আহলিয়া হাসপাতাল, তারপর পুলিশ, তারপর এটা, তারপর সেটা, কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না যে কিভাবে কি হল। একটা এত হাসি খুসি মানুষ কিভাবে নিজেকে হত্যা করার জন্য এসব করতে পারে। কিভাবে সম্ভব এসব তার জন্য, কিভাবে মানুষ তার নিজের জিবন কে এত ছোট করে শেষ করে দিতে দিধাবোধ করেনা।

কেন ? কিই বা তার কারন। কেন? এমন হাজারটা প্রশ্ন এসে ভির করে মনের মাঝে, কোনটারই উত্তর পাই না বা আমার তা জানা নেই, কারন আমি তো আর ফরিদ ভাই এর প্রেক্ষ্যাপটে দাড়িয়ে নেই যে তা আমি উপলব্দি করতে পারব। এই তো মাত্র ১২ ঘন্টা আগে তার সাথে আমার শেষ দেখা, তখন তো ভালই দেখেছিলাম, কিন্তু এই ১২ ঘন্টার মধ্যে এমন কি ঘটল যে আত্তহত্যার মত চরম সিধ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা আবার এই বিদেশ বিভুইয়ে। কতটা কষ্ট পেলে মানুষ এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কতটা নিচু হলে মানুষ এই ভাবে মরার চেষ্টা করতে পারে? কতটা, সেটা কতটা, বা কিসের কষ্ট বা তা কেনই বা অথবা এইভাবে কেন? এভাবেই কেটে গেল সেই অসম্ভব দিন টা বা দিন গুলো, প্রায় ১ মাসের মত হাসপাতালে ছিল,অনেক কষ্টে আমরা আর সবাই বাংলাদেশী মিলে তার চাকরীটা বাচিয়েছিলাম। আস্তে আস্তে আমাদের ফরিদ ভাই সুষ্থ্য হয়ে উঠলেন।

ধীরে ধীরে জানতে চাইতাম সেই সব কারন গুলা যা আমার মনের ভিতর আমাকেই অসুস্ত্য করে তুলছে। একে একে জানলাম তার জিবনে ঘটে যাওয়া আবিশ্বাসিত ঘটনাগুলো। যা আমার বিশ্বাষ করতেও কষ্ট হয়। তার বউএর নাম লিজা, বিয়ের পর থেকেই নানা আমিল্যতায় তার জিবন চলছিল, ফরিদ ভাই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আর এছাড়া উনি খুবই ভালবাসতেন ভাবি কে, ভাবিকে বলবনা তিনি খারাপ ছিলেন। বলব এটা কপালের দোষ, যেকোনো ভাবে ভাবির সাথে ফরিদ ভাই এর ছোট ভাই এর সাথে সেক্স হয়ে যায় বিয়ের পর।

কিন্তু ফরিদ ভাই তা জানতেন না এবং তিনি এসব চিন্তাও করতেন না। স্রেফ সাধারন মানুষ যে ভাবে জীবন জাপন করতে হয় ফরিদ ভাই তেমনি মানুষ ছিলেন। যাই হোক বাপারটা ভাবি লুকিয়ে রাখেন প্রায় ২ মাস কিন্তু কি করে ভাবি ভাই কে বলে দেন যে যদি কোন দিন এমন হয় যে তুমি যদি কোন দিন শুন আমি অন্য কারু সাথে সেক্স করেছি সেটা কি তোমার মাথা ব্যাথা হয়ে দারাবে, এই বলে কাদতে শুরু করেন আর আসল ঘটনা টা বলে দেন ভাই এর কাছে। কিন্তু যেভাবে বলেন তার ঠিক উল্টোটা ঘটেছিল যা ফরিদ ভাই পরে জানতে পারেন। ভাবি ফরিদ ভাই এর ছোট ভাইয়ের দোষদিয়ে ঘটনা সাজান।

কিন্তু দোষ সম্পুনভাবে ভাবির ছিল যা ফরিদ ভাই অনেক ছলে বলে কৌশলে জানতে পারেন। যাই হোক প্রথমদিন ভাবির কথা বিশ্বাষ করে ভাবি কে শান্তনাদেন আর বলেন যে আমি কিছু মনে করিনাই, তুমি আমাকে খুলে বল বাপারটা, প্রয়োজন হলে আমি ব্যবস্তা নিব। ভাবি নাকে কান্না কেদে কেদে বলতে শুরু করেন- আর মেয়ে মানুষের কোনটা মিথ্যা আর কোনটা সঠিক তা নাকি খোদাও ঠিক করে বলতে পারেন না। যাই হোক ভাবির বক্তব্য অনেকটা এরকম - " আমি মেয়ে মানুষ, আমার অনেক কিছুতেই কন্ট্রোল নেই, সেদিন আমি বাসায় একা ছিলাম, সালাম কলেজ থেকে এলে ভাত খেতে দেই, আমিও ওর সাথে বসে ভাত খাই, বয়স প্রায় সমসাময়িক হবার কারনে আমি ওর সাথে যঠেষ্ট্য ফ্রি ছিলাম, আমি ভাত খেতে খেতে ওর সাথে গল্প করছিলাম, একটা সময় ভিডিও সিডি নিয়ে কথা উঠে। আইরন মান নিয়ে এসেছে আজকে, আমাকে ওর সাথে বসে দেখার প্রষ্তাব দেয়, আমি মনে করি এ এমন কি, দেখব।

সেদিন ওর সাথে ছিনেমা দেখছিলাম হটাৎ করে ওর ফোন এল আর পিসি টা আমাকে দিয়ে দেখতে বলে ও বাইরে চলে যায়। আমি সিনামা দেখতে দেখতে ওর পিসির অন্য ড্রাইভ দেখত শুরু করি আর বিশাল সেক্স ভিডিওর সম্ভার পাই। কেবল দু একটা ওপেন করে দেখতে শুরু করেছি মাত্র তখনই মনে হল সালাম চলে গেছে যাই দরজা লাগিয়ে এসে বসে আরাম করে দেখব। সবে চেয়ার থেকে উঠেছি যে দরজা লাগাবো এমন সময় পেছোনে দেখি যে ছালাম দাড়িয়ে আছে ঠিক দরজার পাশে যেন এই মাত্র ঢুকেছে আর আমি পিছন ফিরে বসে ছিলাম তাই বুজতে পারিনি। সেদিন থেকেই শুরু তার পর মাঝে মাঝেই ওর কাছ থেকে আমি ডিভিডি নিতাম, তার পর এই কদিন আগে আমাকে বাসায় একা পেয়ে যাপটে ধরে চুমু খেতে থাকে, আর আমি, বল একটা বিবাহিত মেয়ে ৪ টা মাস একা স্বামী ছাড়া, এমনিতেই আগুন হয়ে ছিলাম, কি করেছি তা বুজতে পারিনাই, যখন হুশ এল আমাকে পেলাম বিছানার উপর আমার ব্রা র পান্টি পরিহিত অবষ্থ্যায়।

বিশ্বাস কর আমাকে তখণই আমি ছাড়িএ নিয়ে ছিলাম, শুধু চুমু ছাড়া আর কিছু হয়নাই। " এই বলে ভাবি চুপ হয়ে যায়, ফরিদ ভাই ও বোধহয় চুপ ছিল তখন, চুপথাকাটাই সাভাবিক। আমি দেখলাম আমাকে কথা গুলো বলে ফরিদ ভাই কে অনেক টা ইতস্তত বোধ করতে, আসলে আমি তার মাঝে একটা অসহায়ত্ব দেখতে পেলাম যা এই মধ্যপ্রােচ্য যারা আছে তাদের অনেকের মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। একটা বিষয় কি সেদিন bangladesh Embas- Bangladesh Emmbassy, Abu Dhabi -তে গিয়েছিলাম সেইম একটা বাপার যা আরেক জন বন্ধুর জন্য, যার বউ তারি এক বন্ধুর সাথে ভেগে গিয়েছে। সাথে এই ৫ বছরে যে কটা টাকা যা প্রায় ২০ লাখ টাকার কাছাকাছি সব কিছু নিয়ে ভেগে গিয়ে আমার বন্ধুকেই ডিভোস লেটার পাঠিয়ে দিছে।

এই ব্যাটা আমাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন যেন আমি তার হয়ে কথা বলি। কিন্তূ বিধিবাম, কাজের কাজ কিছু করতে পারলাম না। কারন তাদের ব্যবহার ছিল এরকম যে এটাই স্বাভাবিক। যেন বউ ভেগে যেতেই পারে এটা কোন ব্যাপারি না। কোন কিছু করার মধ্যে একটা লেটার ধরিয়ে দিল যা অত্র এলাকার ডিসি বরাবর।

এখন ডিসি সাহেবের যদি দয়া হয় তাহলে হয়ত একটা উপকার পাওয়া যাবে। আর যদি তা না হয় তাহলে না। হায় ভাগ্য, যে মানুষ গুলা বিদেশ এ থেকে বছরের পর বছর ধরে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অথ ৈনতিক চাকা সচল রাখছেন আজ তারা যদি কোন বিপদে পরে তাদের সাহাযাথের্ কাউকে পাওয়া যাবেনা, এটাই ভাগ্য। তো সেটা যখন মেনে নিয়ে শেষ চেষ্টা হিসেবে কাউন্সিলর এর কাছে গেলাম তখন তার কাছ থেকে যা বুঝলাম তা অনেক টা নিচের পারাগ্রাফট এর মত লাগলো...পড়েই দেখুন না একটু । We do not able to attested your legal paper cause of this is family matter. What do you know about this matter – . Everyday do you know how many people come here with same cases like you. Just before 15 minute one man sits here and Crying same like you. What do you think. If we are started to approve like this from here to give you permission to make case against your wife than our Court will be fulfill by the this type of cases.there will be no more place to deal with other cases I suggest you to go back your country and solve it by family conversation. যাই হোক এটা একটা সারসংক্ষেপ ছিল, মানে হল ব্যাপার টা এখন কমন ব্যাপার যা বাংলাদেশে অহরহ ঘটছে।

আমি যতক্ষন ওখানে ছিলাম তারমধ্যে অন্তত ৭ জন কে পেয়েছি যারা একি প্রবলেম এর জন্য এসেছেন। সাবজেক্ট আলাদা, যেমন কেউ ডিভোস, কেউ বউ এর বিরুদ্ধে মামলা করবে। কিন্তু সবার জন্য একটাই সমাধান শুধু মাত্র একটা লেটার ...। অবশ্য এই নিয়ম আগে ছিল না, যে কোন পেপারি সত্যয়েত করা যেত কিন্তু বছর খানেক হল শুধু লেটার ছাড়া আর কিছু করতে পারবেনা এমব্যাসি ফামিলি মাট্যার যদি হয়। যখন ওখান থেকে বের হয়ে আসছিলাম তখন কেউ একজন বলল - "If you want to stop this type of crimes kindly propose to stop Star Plas & Star Zolsha in every home in Bangladesh, than maybe you will able to do" হুম হুম বলে বের হয়ে আসলাম।

কিন্তু কথাটা ঠিক। কারণ এই সব চানেলে এমন সব সিরিয়াল দেখায় যা পরকিয়া সম্পকে মানুষ কে বলতে গেলে উৎসাহিত করে। আর মানুষ তো এমনি অনুকরনশীল প্রানী। যে সব ওখানে দেখায় তা কোন না কোন ভাবে আমাদের বাঙালী নারীদের আকৃস্ট করে আর তার ভিতর কিছু কিছু মেয়েরা তা আবার হুবহু ফলো করে..বা ফলো করার চেষ্টা করে....... আর এই ভাবেই আমাদের সমাজটা নষ্ট হচ্ছে। এই তো কদিন আগেও আমাদের সমাজে ডিভোস এতটা ছিল না।

আর এখন - চোখ খুলে দেখুন তো। আমাকে বলতে হবেনা উত্তরটা আপনি নিজেই পাবেন বলেই বিশ্বাস করি। যাই হোক আগের কথায় ফেরত আসি। তো ফরিদ ভাই একটু এখন ভালোর দিকে দেখলাম। না ডিউটি এখনো শুরু করেননি তবে দেশ যাবার কথা শুনলে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যান।

জানিনা কেন তবে এখন তিনি দেশ এ যেতে চান না। উনার যে অবষ্থ্যা তাতে দেশে যাওয়া অত্যাবশ্বক। কিন্তু কি যেন আতংকে উনি আর গেলেন না। আর যাবেই কার কাছে ওই মেয়ে যা ঘটি্য়েছে তা শুনলে এমনি গা আতকে উঠে। চলুন শুনি ফরিদ ভাই এর মুখ থেকে আবার - (কোন এক রাতের বেলা ফরিদ ভাই এর একদম পাশ থেকে - সি বীচ এ আমি আমার গিটার আর তিনি একসাথে বসে তারা ভরা রাতে গানটা গাবার পর আবার শুড়ু করলেন তিনি ) আমি ওই বাপারটা মানতে না পারলেও লিজাকে কিছু বললাম না।

এভাবেই শুরু করলেন তিনি। আসলে ব্যাপারটা এমনি যা মানা সম্ভবনা। কিন্তু নিজের বউ কিছু বলাও যাবে না,কারন সে তো তার দোষ প্রকাশ করেনাই আর এত দুর থেকে ছোট ভাই কেও কিছু বলা যাবে না, সাবধানে থাকা ছারা আর কোন উপায় নাই এই জানিয়ে সেদিন ফোন কেটে দেন ভাইয়া। দিন চলতে থাকে বুকের মাঝে ব্যাথা নিয়েই সংসার চলতে থাকে। এ যেন একটা একটা করে দিন যায় আর কি, কোন ভালবাসা নেই।

কিছু দিন পর বিষয়টা নিয়ে ভাইয়া আবার প্রশ্ন করলে বাপার টা অন্যদিকে মোড় নেয়, কারন হল সেদিন ভাবি ব্যাপারটা যেভাবে বলেছিলেন আজকের বরননাটা তা থেকে আলাদা লাগে ভাইয়ার, কিছুটা আলাদা। আর এতেই মোড় নেই পুরা ঘটনাটা নতুন করে। আস্তে আস্তে বের হয়ে আসে থলের কাল বিড়াল। ব্যাপার টা এতটাই অবিশ্বাষ্য যে আমারি বিশ্বাস করতে কস্ট হয়। আমার মুখ হা হয়ে যায়।

মানুষ নাকি অন্য কিছু,ছি:। সেদিন কথায় ঘাপলা আছে মনে হলে আর এক বিন্দু লেট না করে ঔ রাতের ফ্লাইটে ঢাকা রওনাদেন তিনি বাংলাদেশে কাউকে কিছু না জানিয়ে। ঢাকাতে উঠেন এক বন্ধুর বাসায় আর তাও গোপোন রাখেন সবার কাছে। তখন অবশ্য ভাবির সাথে ঝগড়া চলছিল বিধায় ভাবিও ব্যাপার টা বুঝতে পারেননি, আর স্কাইপ থাকায় বোঝার কথাও ছিল না। বন্ধুর বাসায় উঠে পুরো প্লান বানালেন ফরিদ ভাই।

যাই হোক হাতে নাতে ধরা চাই। আর শুধু তাই না সাথে প্রমান ও চাই। একটু আট সাট বেধে নেমে পরলেন কাজে। এখন প্রথম টারগেট বউএর সাথে ভাল সম্পকর্র। যেটা বউ এর চাওয়া পাওয়াটাকে বুঝত সাহায্য করবে।

রাতের বেলা স্কাইপ এ কথা বলতে বলতে একদিন ফরিল ভাই বল্লেন কাল তুমি মারকেটে যাবে, বাংলা লায়ন এর ওয়াই মাক্স কিনার জন্য, ভাবি বল্লেন আমি একা যেয়ে ওসব কিনতে পারবনা, যদি তুমি অনুমতি দাও তো ছালাম কে নিয়ে যেতে পারি। ভাবি এরকম ভাবে আনেক বারি ছালামের কথা বলতেন যলি কোথাও যাবার প্র্য়োজন হত। কিন্তু এ বার বিষয় তা অন্য ভাবে নিলেন ফরিদ ভাই। তাদের যাবার অনুমতি দি্য়ে তাদের ফলো করতে সময় মত উপষ্তিৎ হলেন যায়গা মত আর সাথে সাহায্য করার জন্য তার বনধুকেও সাথে নিলেন। ভাবি কে বোলে দিলেন যে যেন তিনি রিকশা্য় না যান সিএনজি বা ট্যাক্সি নিয়ে যান।

কিন্তু ভাবি বাসা থেকে বের হয়ে ছেলিমের সাথে রিকশায় উঠে বসলেন। ফামগেট যেতে হলে মিরপুর থেকে সি এন জি হলে ভাল, কিনতু মানা করার পরেও ভাবিই নি্জে থেকে রিকশা নিলেন তা পরিস্কার বোঝা গেল কারণ সালাম প্রখমে রিকশা না নিয়ে সি এন জি নিয়ে ছিল, বরং ভাবিই নাকি ওটা বাদ দিয়ে রিকশা নিতে বাধ্য করেছিলেন ছালাম কে। এদিকে তো ফরিদ ভাই দুর থেকে দারিয়ে সব দেখছিলেন। তাদের ফলো করল পুরা রাস্তা সাইকেল নিয়ে ফরিদ ভাই এর ঐ বন্ধুটা। কিনতু তারা ফামগেট না গিয়ে আগার গাও গিয়ে বা দিকে মোর নিয়ে নিউমারকেট গেল।

যাই হোক আসল পরিক্ষ্যা ছিল রাতের বেলায়। স্কাইপে কথা বলার সময় ফরিদ ভাই প্রশ্ন করলেন কোথা থেকে কিনেছে কিভাবে গিয়েছে । উত্তর যথাযত পেলেন তিনি এরকম যে ট্যাক্সি নিয়ে গেছিল আর ফামপেট যা পুরা ডাহা মিথ্যা। কিনতু ফরিদ ভাই তো সবকিছু জানেন। তারপরেও না জানার ভান করলেন আর কথা চালিয়ে গেলেন।

কারন উনার প্রথম উদ্দেশ্যটা হল ভাবি কি মিথ্যা কথা বলেন কিনা তা জানা। কিছুটা বুঝত পারলেন। এরকম আরো দু একটা পরিক্ষ্যা নিলেন পুরা দু দিন ধরে স্কাইপ এ কথা বলে। দু;খের কথা হলা এই দু দিনে মোটমাট ৪ বার পরিক্ষ্যা নিলেন তিনি যার চার টাই ডাহা ডাহা মিথ্যের প্রমান পেলেন। যেমন ছেলিম কখন বাসা্য থাকে।

এটার উত্তর ছিল এমন যে সব ঠিক ঠাক বলেছিল ভাবি কিন্তু যখন বাসা পুরা খালি থাকার কথা বা ছিল সেই সব সময়ে ভাবির বক্তব্য যে সেলিম সে সময় গুলাতে বাসায় ছিল না। কিনতু সে দিন দুপুর আর সনধা বেলায় বাসা খালি ছিল আর তার মাঝে দুপর থেকেই সেলিম বাড়িতে ছিল। তার মানে লিজা কিছু একটা লুকাছ্ছে। সেই রাতে ফরিদ ভাই বেশি কিছু বললেন না। কম কথা বলে রেখে দিলেন।

কারণ হাতে নাতে ধরতে হবে। দোষ দু জনেরি আছে কিনতু বুঝতে হবে যে আসল পাখিটা কে? পরদিন ফরিদ ভাই প্লান করে তার বাবা মাকে ফোন দি্য়ে সাভার খালার বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। উদ্দেশ্য একটাই ওদের একটা সুজোগ করে দে্য়া যাতে ঐ মুহুতেই বাসাতে তিনি উপস্থিত হয়ে হাতে নাতে ধরবেন। চলবে .....। ( সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা তবে চরিত্রর নাম গুলো অন্য নামে দেওয়া হয়েছে..........।

) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.