অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।
উকালতি একটি পেশা। আপরাধী যেই হোক বা অপরাধ যত বড়ই হোক না কেন বিচার চাওয়ার এবং পাওয়ার অধিকার সবার সমান। সেই জন্য উকিল তো লাগবেই। কোন উকিল যদি অপরাধীর পক্ষে না থাকে তাহলে বিচার একতরফা হয়ে যায়, একতরফা বিচারের গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু? যে উকিল আপরাধীর পক্ষে কেস লড়ে তাকে আপরাধের সাথে মিলিয়ে ফেলা মোটেও যৌক্তিক নয়।
বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ নিয়ে কারো কোন সন্দেহ, আত্মস্বীকৃত এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যদি তাদের পক্ষে কোন উকিল না থাকতো তাহলে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হতো না কি? যদিও এটাও জানা যে, তাদের উকিল রায় এই কেস লড়ছে কিন্তু সেটা ভিন্ন তর্ক।
মাহফুজুর রহমান একটা কেস করেছেন সে জন্য তিনি একজন উকিল নিয়োগ দিয়েছেন। যদি কোন উকিল এই কেস নিতে না চাই তাহলে বিচারের আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেল না। বিচারের ফলাফল ভিন্নওতো হতে পারে। ব্যারিস্টার রফিকুল হক এর মতো উকিলদের সময় এবং ট্যালেন্টের দাম নিশ্চয় আছে আর এই দাম যারা দিতে পারবেন তারাই তাকে হায়ার করবেন।
মাহফুজুর রহমান সে রকম পয়সা আছে বলেই
ব্যারিস্টার রফিকুল হক কে হায়ার করেছেন। যোগ্য পারিশ্রমিক পেয়ে ব্যারিস্টার রফিকুল হক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন।
একজন ডাক্তারের দায়িত্ব জীবন রক্ষা করা, সেই মানুষ গুলিবিদ্দ ডাকাতও হতে পারে। তেমনি একজন উকিলের পেশা বিচার প্রাথীর কেস পরিচালনা করা।
আজকে র্যাব এর ক্রস ফায়ারকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড কেন বলা হচ্ছে ? তারা অপরাধীকে বিচারের সম্মূখীন করছেন না বলেই তো, কিন্তু যদি এ সব অপরাধীদের বিচার হয় আর তার পক্ষে কোন উকিল না দাড়ায় অপরাধী তার আত্ম পক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পায় তাহলে কি সুবিচার হয়?
ব্যারিস্টার রফিকুল হক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র।
তার নৈতিক স্খলন হয়েছে বা তিনি লালসার স্বীকার এরকম ভাবার কোন কারন নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।