মমমমমম আশাকরি পাঠকগণ ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি শারীরিক ভাবে। মানসিক ভাবে দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। মানুষ যদি মান্সিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে আর বাকি থাকল কি? শারিরিক অসুস্থতার প্রকৃতি মানুষ খুব সহজেই বুঝতে পারে কিন্তু মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে সহজে সে বুঝতে পারে না। মানুষ কখন মানসিক ভাবে অসুস্থ হ্যে পড়ে? ১/ মানুষ যখন কোথাও তার অধিকার খুজে পায় না তখন সে হীনমন্যতায় ভোগে এবং এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে।
২/ আবার মানুষ যখন নিজের কাছের লোকের থেকে আঘাত পাই তখন তার মানসিক বিকৃতি ঘটতে পারে। ৩/ আবার বিভিন্ন মাদক গ্রহনের জন্য মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
আমাদের সমাজের বড় একটি অংশ তরুন। আজকের তরুন-তরুনীরাই আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই যে, আজকের তরুন সমাজেরর বৃহৎ অংশ আজ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
আর তাদের মানসিক ভাবে অসুস্থতা নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য দায়ী রাষ্ট্র, সমাজ ও আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজ।
আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে তরুন-তরুনীরা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে ? হ্যাঁ আমি আমার লেখায় সে যুক্তি তুলে ধরব। আমাদের বাংলাদেশের যুব সমাজ এর বড় অংশ মেধাবী। বিশেষ করে যারা অনেক কষ্ট করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। হ্যাঁ যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারাও মেধাবী।
আর মেধাবীদের তথা যারা কষ্ট করে পড়ালেখা করে তাদের ভবিষ্যৎ পড়ে তাদের মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছা থাকে যে পড়ালেখা শেষ করে একটা ভাল চাকরি করবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তব বড়ই কঠিন। আজ মেধাবীদের কোথাও কোন স্থান নেই, তারা সবজায়গায় বঞ্চিত। মেধাবী তরুন-তরুনীরা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে কারন তাদের কোথাও কোন অধিকার নেই। একটা দেশের উন্নতির জন্য দরকার তার বিভিন্ন জায়গায় মেধাবীদের অনুপ্রবেশ নিশ্চিত করা।
তাদেরকে দেশের কল্যানে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া । কিন্তু আমাদের সমাজে তথা দেশে চলছে ঠিক উল্টা ঘটনা। সারা বিশ্ব যেখানে মেধাবীদের সুযোগ করে দিয়ে উন্মুখ সেখানে আমাদের দেশ মেধাবীদের কেবল অবমূল্যায়ন করে চলেছে।
সরকারী চাকরিতে ৫৫% কোটা দিয়ে রেখেছে বাকি ৪৫% এর মধ্যে মামা, কাকা, মন্ত্রী, এম পি, পিএস, ঘুষ আরও কত কি। কিভাবে উন্নতি হবে এই দেশের যেখানে মেধার চেয়ে কোটার নিয়োগের পরিমান বেশী।
বিশ্বের কোন দেশে এমন নজির। এখন যদি কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা বলি তাহলে আমি হব রাজাকার। যদিও অনেকে রাজাকার বলবে তারপর ও আমি কোটা প্রথা এর বিপক্ষে। এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্মের সাথে প্রতারনা করা হচ্ছে। আজ যে সব তরুন-তরুনীর কোন কোটা নেই তাদের কে চিন্তা করতে হচ্ছে যে আমার সম্ভাবনা ৪৫%।
আর যদি কোটা প্রথা না থাকত তাহলে প্রত্যকে নিজের জন্য ১০০% সম্ভাবনা দেখত। প্রতিদিন প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে আর মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে কোটা বিহীন মেধাবীরা মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে দিনের পর দিন এই ধকল সহ্য করতে করতে এক সময় তারা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের একটা নিয়োগ দেখে খুবই হতাশ হলাম যে, তারা কেবল মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ দেবে। এটা তো রীতিমত প্রহসন।
কি করে একটা ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নেই সেতা ভাবার বিষয়। আজ স্বাধীনতার ৪০ বছর পর এসে মুক্তিযোদ্ধার নামে ৩০% কোটা কোন যুক্তি-যুক্ত বিষয় হতে পারে না। কারন এখন প্রকিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যেমন কম, তেমনি ভাবে তাদের সন্তানরাও এখন বড় হয়ে গেছে। কিন্তু ব্যাপারটাকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের জন্য নাতিনাতনিদের কোটা দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা হাস্যকর যে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিনাতনিদের ও কোটা থাকবে।
এর সাধারনের কোন কিছু থাকবে না। এটা বর্তমান প্রজন্মের সাথে প্রতাওনা ছাড়া কিছুই না। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে, যারা জাতির জন্য স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছে তাদেরকে পুরস্কৃত করা জাতির কর্তব্য। এর জন্য মুক্তি্যোদ্ধাদের বড অঙ্কের ভাতা, রেশন, আবাসন সুবিধা দেওয়া উচিত। কেন তার সন্তান সুবিধা পাবে, কেন তার নাতি পাবে।
যার জন্ম ৭১এর পরে তার ছেলে কেন সুবিধা পাবে না? এসব কারনে আমাদের সমাজের তরুন্দের একটা বড় অংশ মানসিক অশান্তিতে আছে আমাদের উচিত এই সব ফালতু কোটা প্রথার পরিবর্তনের জন্য কাজ করা তাহলে আগামী প্রজন্ম একটা সুন্দর দেশ পাবে। তা না হলে অযোগ্য লোক যেমন করে দলবাজি, ঘুষ দিয়ে আসবে তেমন ভাবে কোটা দিয়ে দেদারছে লোক এসে মেধাবীদের জায়গা নিয়ে নেবে।
আমি আজ কেবল কোটার কথা বললাম, এরকম নানা কারন আছে যার জন্য আমাদের তরুন রা মানসিক ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। আবুল মকসুদ স্যার বলছেন যে আজ সচিবালয়ে মেধাবী লোকের অভাব বলেই আজ নীতিনির্ধারণে, এত সমস্যা। আর কিছু কাল এরকম অবস্থা চললে কিছুদিন পর জেলা পর্যায়ের অফিস চালান দায় হয়ে পড়বে।
আমারা কি পারি না এই ব্যাবস্থার পরিবর্তন আনতে। পরিবর্তন না আনতে পারলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার দেবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।