দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া না!
কলেজ লাইফের ঘটনা। প্রিয় টিভি চ্যানেল ছিলো স্টারমুভিজ। এইচবিও। জি স্টুডিও। প্রিয় চ্যানেল হওয়া সত্ত্বেও অন্তরঙ্গ দৃশ্য একটু বেশিই দেখাতো বলে চ্যানেলগুলা হাইড কইরা রাখা লাগতো
আব্বা-আম্মা কখনো টিভিরুমে থাকলে চ্যানেল পাল্টাইয়া গভীর মনোযোগে খেলা দেখতাম।
তাদের সামনে গলফ খেলাও জগতের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং খেলা হইয়া যাইতো আমার মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটাইয়া আব্বা আম্মা পাশের রুমে গেলেই আবার প্রিয় চ্যানেলগুলা দিয়ে দিতাম! একটা অন্তরঙ্গ দৃশ্যও মিস গেলে আমার আফসোসের সীমা থাকতো না
এমনি একদিন একটা এক্সট্রিম রোমান্টিক মুভি দেখতেছি। মিনিটে মিনিটে অন্তরঙ্গ দৃশ্য। প্রতি দৃশ্যে হাত তালি দিতে মন চায় এমন অবস্থা এতই মনোযোগে দেখতেছিলাম যে চার বছরের কাজিন যে পাশে এসে বসে পড়ছে টেরও পাই নাই।
ওকে যখন আবিস্কার করলাম মুভিতে তখন টান টান উত্তেজনা। ভাবলাম এই পিচ্চি-কি আর বুঝবে।
থাকুক। কিন্তু কিছুক্ষন পর হঠাত আমার আব্বাজানকে আবিস্কার করলাম টিভি রুমের দরজায়! বিদ্যুত গতিতে রিমোটে আঙ্গুল চালাইলাম আবার শুরু হইলো গলফ খেলা!
আব্বা পাশে এসে বসলো। এক মিনিটও নয় নাই হঠাত কাজিন চিৎকার করে উঠলো
‘‘ খেলা দেখবো না, আন্টি যে আংকেলটাকে আদর করতেছিলো ঐ চ্যানেল দেও!’’
আমি তড়িঘড়ি করে কা্র্টুন চ্যানেল দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা নিলাম। কিন্তু বদ পোলা তাতেও শান্ত হইলো না। আরো জোড়ে কান্না শুরু করলো
‘‘ এ্যা এ্যা !! এই চ্যানেল দেখবো না, আন্টি আংকেলকে চুমু দিতেছিলো সেই চ্যানেল দেও!’’
ভাইরে, আব্বার সামনে মান ইজ্জত আর কিছুই থাকলো না।
কোনোমতে কাজিনসহ রিমোটটা আব্বার হাতে ধরাইয় দিয়া টিভি রুম হইতে মাথা নিচু করিয়া প্রস্থান করিলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।