এদেশে যারা অন্যায়ের রাজা হাতে তাদের রাজদন্ড; আমরা হবো সত্য, হাতে ন্যায়দন্ড। রাজার পক্ষে নিযুক্ত রাজবেতনভোগী রাজকর্মচারী। আমাদের পক্ষে সকল রাজার রাজা, সকল বিচারকের বিচারক, আদি অন্তকাল ধরে সত্য – জাগ্রত আল্লাহ... ব্লগে মাযহাব নিয়ে অনেক পোস্টই চোখে পড়ে । মুসলমানদের জন্য বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সন্দেহ নেই। কারণ শুধুমাত্র মাযহাব মানা নামানা নিয়েই মুসলমানদের মাঝে কয়েকটি ফেরকার উদ্ভব হয়ে গেছে।
এ বিষয়টি সত্যই আলোচনার দাবীদার। কিন্ত স্বভাবতই দেখা যাচ্ছে অনেকেই শান্তিপূর্ণ আলোচনায় যেতে চান না। এক মতাদর্শী অন্য মতের বিশ্বাসীকে সুযোগ পেলেই ভেজে ফেলতে চান। এতে সমস্যার সুরাহা তো হচ্ছেইনা বরং তিলেতিলে অবক্ষয়ের পথেই হেটে চলেছি এই পথের সবাই। কারণ শরীয়তের গভীর তত্ত্ব-জ্ঞান নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা, গবেষণা করা যতটা গুরুত্ত্বপূর্ণ তার চেয়ে নিঃসন্দেহে অনেক বেশি গুরুত্ত্বের ব্যপার হলো নিজেদের মাঝে ঐক্য, সংহতি এবং ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
কিন্ত বরাবরই আমাদের আলোচনা শান্তিপূর্ণ থাকছেনা। আমরা সাধারণত মনে করি, আমার মতটাই সঠিক বাকিরা ফালতু ! বাস্তবে এমন ধ্যন-ধারণা ইসলামে নেই। ভিন্ন ধর্মালম্বীদের প্রতি কটাক্ষ করায় কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে এমন ঘটনাও অনেক ঘটেছে। তাহলে এবার চিন্তা করে দেখুন, মুসলমানদের মধ্যে যারা শরিয়তের কয়েকটি জটিল ব্যপার নিয়ে মতপার্থক্যে গেছেন, কিন্ত সকলেই তারা মনেপ্রাণে মুসলিম, তাদের প্রতি কটাক্ষ করা আমাদের জন্য বৈধ কিনা ?
এই বিষয়ে মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য লেখাটি লিখছি।
প্রথমে ইজতিহাদ বিষয়ে আলোচনা করতে চাই: ইজতিহাদ বা নিজস্ব বিচার বিবেচনা শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
যারা মুজতাহিদ আলেমগণদের অর্থাৎ মাযহাব বা ইমাম মানেন না বরং কুআন সুন্নাহ ঘেঁটে নিজেরা মাসআলা জানার চেষ্টা করেন তারাও মূলত 'ইজতিহাদ'ই করে চলেছেন। শরিয়তের আহকাম জানার জন্য নিজস্ব বিচার বিবেচনা খাটানো'র এই পক্রিয়াই মূলত ইজতিহাদ। সুতরাং ইজতিহাদ অস্বিকার করার উপায় নেই। এটা একটা নির্ভুল বাস্তব যে, ইজতিহাদ ছাড়া শরিয়তের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আহকামই পালন করা সম্ভব নয়। এর দলিল সাবরুপ উল্লেখ করা যায় মুআয ইবনে জাবাল রা. এর সুপ্রসিদ্ধ হাদীস।
ইয়ামানের গভর্ণর করে তাকে পাঠানোর সময় তার সাথে রাসূল স. এর কথোকপথন (সংক্ষেপে) নিম্নরুপ, সেখানে উদ্ভাবিত নতুন নতুন সমস্যা'র সমাধান তুমি কীভাবে করবে? মুআযঃ কুরআন ও হাদিসের আলোকে। আল্লাহর রাসূল (স): সেখানে যদি না পাও ? মুআযঃ তাহলে আমি ইজতিহাদ করবো। তার এই জবাবে তিনি অত্যান্ত খুশি হন। এবং তার জন্য কল্যাণের দু'আ করে দেন।
(এই আলোচনা চলতে থাকবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।