প্রথমত আমি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি টু্রিজমের উপর কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। এ ব্যাপারে কেউ সাহায্য করলে চির কৃতার্থ থাকব। http://www.facebook.com/saintmartinbangladesh রাসুল সা. এর ইন্তেকালের সময় আমাদের বর্তমান কুরআন শরীফ কিন্তু এক জায়গায় ছিল না, কিছু চামড়ায়, কিছু অংশ খেজুর পাতায় লিখা ছিল,
আমাদের সুবিধার জন্যই পরবর্তীতে সাহাবায়ে কেরাম সেগুলোকে একত্রিত করেছেন, আসলে যদি সেদিনের মত আজও কুরআন শরীফ এমন এলোমেলো থাকত তাহলে আমরা সেটাকে ১৪০০ বছর পর্যন্ত কীভাবে সংরক্ষণ করতাম?
ঠিক তেমনিভাবে প্রথম যমানায় ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত বলে কিছু ছিল না,
এগুলো আমাদের মাযহাব সমূহের পরিভাষা, যেখানে আল্লাহ আদেশ সূচক বাক্যকে ব্যবহার করেছেন এবং দেখা গেছে যে রাসুল সা. সারাজীবন তা পালন করেছেন সেটাকেই মাযহাবে ফরজ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোন কোন সুন্নত রাসুল সা, মাঝে মাঝে পালন করেছেন মাঝে করেননি সেগুলোকে সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ বলা হয়, কুরআনে যেখানে নিষেধ বাচক শব্দ আল্লাহ ব্যবহার করেছেন তো সেটা আমাদের জন্য এরকম হারাম বা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
এবার আসুন যে, মাযহাব আমরা কেন মানব.
হাদীসের বিশুদ্ধ ছয়টি গ্রন্থের মাঝে বুখারী শরীফ সর্বাধিক বিশুদ্ধ।
এতে ছয় হাজার হাদীস রয়েছে। এই ছয় হাজার হাদীস ছয় লক্ষ হাদীস থেকে নির্বাচন করা হয়েছে। এই সবগুলোই আমাদের জীবন বিধানের সাথে জড়িত।
এখন তৎকালীন সময়ের ইমাম সাহেবরা এরকম লাখ লাখ হাদীস মুখস্থ করে গবেষণা করে সেই হাদীসগুলোর সারমর্ম বের করেছেন।
আমাদের প্রত্যেকের পক্ষে কিন্তু এরকম লক্ষ লক্ষ হাদীস জানা, গবেষণা করা সম্ভব না। সুতরাং চার মাযহাবের ইমামদের যে কোনটি আমরা ফলো করব। চার ইমাম সাহেবের মূলনীতিতে কিছু পার্থক্য ছিল তাই মাসআলাসমূহে কিছু পার্থক্য হয়েছে এই পার্থক্যগুলো মূলত কোন পার্থক্য না,
যে কোনটি অনুসরণ করলেই চলবে।
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার বুঝা যাবে। আমাদের ইসলামের মূল হল কুরআন, হাদীস, ইজমা, ক্বিয়াস,
এইসবগুলো সাধারণত সকল মানুষের পক্ষে গবেষণা করে ফলাফল বের করে অনুসরণ করা সম্ভব না।
তাই আমরা চার জন গ্রহণযোগ্য ইমামের যে কোন একজনের গবেষণাকে মানব।
যেমন পিএইচপি একটি ল্যাংগুয়েজ। এই কাজটি সহজে করতে আমরা যেন ফ্রেমওয়ার্ক ইউজ করি, কোহানা হোক, জেন্ড হোক যে কোন ফ্রেমওয়ার্ক ইউজ করেই আমরা কাজটি সহজে করতে পারি। সকল ফ্রেমওয়ার্ক আলাদা হলেও আউটপুট সেই একই, কাজেই আমরা যে কোন মাজহাব অনুসরণ করি তার ফলাফল একই। আর ইসলামের প্রারম্ভিক যুগ তো মাযহাব ছিল না যেমন পিএইচপি আবিষ্কারের সময়ে ফ্রেমওয়ার্ক ছিল না।
ফ্রেমওয়ার্ক কাজকে সহজ করার জন্যই আবিষ্কার হয়েছে সেরুপ উম্মত যেন ইসলামের বিধি বিধান সহজে মেনে চলতে পারে প্রত্যেকের যেন লক্ষ লক্ষ হাদীস শিখতে না হয় যেটা মূলত অসম্ভব তাই আমরা যে কোন একটি মাযহাবকে অনুসরণ করব। দৃশ্যত মাযহাব সমূহের মাঝে কিছু পার্থক্য দেখা গেলেও এগুলো কেবল নামে পার্থক্য, যেমন নাপা, নাপা এক্সট্রা, রিসেট এইগুলো নামে আলাদা হলেও সবগুলো ওষুধের গ্রুপ একই, প্যারাসিটামল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।