কতদিন হইয়া গেলএকটা চিঠিও দিতাছেনা। আমারতো ভালা লাগতাছে না। এদিগে বাবা প্রত্যেক দিনই আমারে পুইচ করইন
--বাদল ট্যাহা ফাটাইতাছে না যে,তোমার খাওন কইত যুটব?
আফনের সামনে কিছুতা কইন্যা তানারা। কিন্তু না থাকলে মেলা বকাবাদ্য করইন । আমার আর এইতা হুনতে ভালা লাগে না।
অত কথা বউ ঝিএরে কেমনে যে হেরা কইন এইডাই আমার মাথাত ডুহেনা। আবার তানারার ছ্যাইরানতের উনিশ বিশ হইলে তানারা শাষন করইন ঝিয়ের জামাইরারে। ছ্যাইরান হেরার জান।
কোন কথার উত্তর দেইনা ভয়ে যদি তানারা আমারে মারইন। আফনের মুখের দিহে চাইয়্যা তানারারে কিছুতা কইনা।
আফনেতো খালি আমারে আকারে ইঙ্গিতে বুঝাইন মা বাপরে হাজার অন্যায় করলেও কিছুতা কওন যাইত না। তানারা যেন কষ্ট না পায়। কিন্তু আমিতো মানুষ আমারওতো মন বলতে কিছুতা আছে। আমি কষ্ট পাইনা?আমিতো আমার কষ্টডি আফনেরে কইতাম ফারিনা। আমি আফনেরে পছন্দ করছিলাম দেইখ্যা কি সবতা আমারই ফুহাইন লাগব।
আফনে কইন খালি 'তোমারে অনেক ভালাবাসি' । মানি, বাসইন কিন্তু বাপমার ডরে একটা জামা কাপড় কিন্যা দেইন না । তারা অন্যায় করলে কিনুতা কইন না । আমার কাছ থেক্যা শুধু আদর সোহাগ চাইন। আমি হগল বেলা যেন হাসি মুখ কইরা ঘরের কাম কাজ করি তাইলে হেরা আমারে ভালা পাইব।
সবাইরে ভালা রাখার দায়িত্ব খালি আমার একলারই।
ভিতরের কথা ভিতরেই কাইন্দা মরে। নিজের বাবা মারেও কিস্তা কইতাম পারিনা। নিজের পাওতো নিজেই কুড়াল মারছি। কাউরে কইতে না পাইরে একএকবার মনে হয় যেন ফাগল অইয়া যাইবামগা।
আফনেরা আমার ভবিষ্যতটা শেষ কইরা ফালাইছইন। আমি একটু ভালবাসা চাইছিলাম ,মাথার উপরে একটু ছায়া চাইছিলাম। এর বেশী কিছুতা চাওয়ার নাই আমার।
কোন দিশা যহন না পাই তহন বইয়্যা বইয়্যা কান্দি।
বাচ্চা মাইনষের কত বড় সম্পদ,কত আরাধনার ধন।
হেই বাচ্চাডা যহন ফেডে আইল তহন একটু আদর ফাইলামনা আফনেরা কেওর কাছত। আরো শুনাইছে তানারা বেহেই
--অত তাড়াতাড়ি বাচ্চা কাচ্চা লওনের কি দরকার ছিল ?
আমি নাকি চালাকি করে এমনটা করছি। তারা যাতে ফইস্যা ফাতি ভোগ করতে না পারে সেজন্যই এমনটা করছি । তারার ফোলারে আটকাইনের ব্যাবস্থা করছি। ভিতরটা ফাইট্য কান্দন আয়ে।
আফনেরের কিছুতা কইতাম ফারি না। বাপ মা আফনের কাছে দেবতা। নিজের সন্তানের অস্থিত্বের আনন্দডাও তার জন্য কিছুইনা। আমার আনন্দ,চাওয়া পাওয়া বুঝন আফনের কাজনা । এইতা আফনের সীমানার বাইরের বিষয়।
তার পরও আফনের বউ আমি ,আমার এই ভিতরের বাইড়া উডা অস্তিত্বের অংশীদার আফনেও।
সেই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম যে দিন জীবনের বাস্তবতারে মাইন্যে আমারে ভালাবাসবেন। আর আমার এই কষ্টের কতাডি নাহয় নাই-ই জানলেন। তবুতো কিছু একটু পাইবাম। আমার সন্তানরা যেন বড় হয় বাবার সত্যিকারের ভালবাসার একটা সংসার দেইখ্যা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।