যখন কোরানের বিরোধিতা করি তখন আবার এক পক্ষ নামের( ফেসবুক নাম Fool Told) যথার্থতা খুঁজে পায়। নাস্তিকরা তখন আবার বাহবা দেন। আবার ডারউইনবাদকে নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন যেন ধর্মবিরোধিতার চেয়েও অমার্জনীয়। কোরানে সমস্ত বিজ্ঞান গিজগিজ করে। আবার ডারউইনবাদই খাঁটি ও অকৃত্রিম বিজ্ঞান।
তবে মুশকিল হলো বিজ্ঞানের কোন ডিসিপ্লিনেই কোরান পাঠ্য নয়!আবার দেখুন ঠিক একই রকম বায়োলজি বা কোন লাইফ সায়েন্স বা মেডিকেল সায়েন্সেও ডারউইনবাদ পাঠ্য নয়। তাতে কিন্তু এ শাস্ত্রগুলি মুখ থুবড়ে পড়ে নাই। ধর্মের সাথে ডারউইনের কি সুন্দর মিল নয় কি? আবার অনেকে ডারউইনবাদকে পাঠ্য করার জন্য দাবী জানান। কি হাস্যকর! নিউটনকে পাঠ্য করতে কি দাবী তুলতে হয়? নিউটন ছাড়া কি ফিজিক্স হবে? মেডিকেল সায়েন্স কি ডারউইন ছাড়া হয় নাই? যদি কোথাও দু লাইন থেকেও থাকে সেটা অবশ্যই অপরিহার্য নয়। যেমন অর্থনীতিতে জগাখিচুড়ি ইসলামী অথনীতি ঢুকানো হয়েছে-যা একটা আপদ মাত্র! এক আধ চ্যাপটার ডারউইন থাকলেও (আছে কি না নিশ্চিত নই)তা ঐ ইসলামী অর্থনীতির মতোই আপদ!এরপর এ দাবীও উঠতে পারে যে, সব ডিসিপ্লিনেই কোরানকে পাঠ্য করতে হবে-যেহেতু কোরানে সব জ্ঞান-বিজ্ঞান ফেনায়িত।
আর একটি এনালজি দেখুন! কোরানে কল্পনা বিলাসে প্রথম ম্যানুফ্যাকচারড মানুষ আদম-একজন পুরুষ!ডারউইনবাদেও একই রকম কল্পনাশ্রিত বিবর্তনবাদের যে চিত্রটি পেইন্টিং-স্কেচিং-ইমেজিং-ফটোশপের কল্যানে আমাদেরকে দেখতে হয়, সেখানে চুড়ান্ত পর্যায়ে হোমো সেপিয়েন্সের যে গর্বিত অবয়বটি আমাদেরকে মুগ্ধ করে সেটিও কিন্তু পুরুষ!ধর্মের সাথে কি অপূর্ব সাদৃশ্য!ধর্মের সৃষ্টিকর্তা পুরুষ; ডারউইনবাদের স্রষ্টাও পুরুষ-নারী সেখানে কল্পনাতীত!যদিও নারীর শরীর থেকেই প্রাণীকে নির্গত হতে হয়-ধর্মে পুরুষের শ্রেষ্ঠত্বের মহড়ায় আদমের শরীর থেকে, যা হোক, নারীকে বের করা হলো। কিন্তু ডারউইন সাহেব নারীর ব্যাপারে একেবারে চুপ!নতুন সাইকেল চালানো শিখতে যেয়ে যতই খাদ থেকে বাঁচতে চায় অবচেতন মনে ঘুরে ফিরে খাদেই পড়তে হয়। সেই রকমই ধর্মকে অস্বীকার করতে যেয়ে ডারউইনবাদ অবচেতন মনে ধর্মের খাদেই পা হড়কে পতিত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।