আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মীয় সহনশীলতা, শুধুমাত্র কোরানের প্রেক্ষিতে



প্রথমেই কিছু ডিসক্লেইমার, আমি মনে করি বর্তমান পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মগুলোর মাঝে ইসলাম সবচেয়ে আধুনিক। শুধুমাত্র এই কারণে অন্য ধর্ম নিয়ে কথা না বলে ইসলাম নিয়েই কথা বলছি। দ্বিতীয়ত, কোরান বাদে প্রায় সব ইসলামী রেফারেন্স কম বেশি বিতর্কিত, তাই আলোচনা কেবল কোরানকে প্রামাণ্য গ্রন্থ ধরেই করছি। বস্তুত এখনকার পৃথিবীতে ধর্মীয় সহনশীলতা একটা অন্যতম কষ্টিপাথর যে কোন মতবাদকে যাচাই করবার জন্য, যেই মাপকাঠিতে ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা দেশও অধুনা বিতর্কিত। ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষের ব্যক্তিবর্গ শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন যে, ইসলাম সহনশীলতার ধর্ম।

তার পক্ষে তারা কোরানের নির্বাচিত অংশও হরহামেশাই উদ্ধৃত করে থাকেন। কিন্তু কোরানের অংশ বিশেষ অন্য ধর্মের প্রতি খুবই কঠোর আচরণের শিক্ষা দেয়। আমি বলছিনা, তা কোরানকে ছোট করে। কিন্তু ইসলামকে সহনশীল বলবার আগে এই অংশগুলোর বিকল্প ব্যাখ্যা দরকার, নইলে তা সত্য গোপনের পর্যায়ে পড়ে। কোরানে বিধর্মীদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, তাদের প্রতি আচরণের বিধিমালার দৃষ্টিভংগী অনুসারে।

প্রথম ভাগে আছে, ইহুদী, ক্রিশ্চিয়ান ইত্যাদী পিপল অব দ্য বুক। এদের ধর্মান্তরকরণ বাধ্যতামূলক নয় ইসলামী রাষ্ট্রে। কিন্তু এদের বিশেষ কর দিতে হবে আনুগত্যের প্রকাশ হিসেবে। এই প্রসঙ্গে কোরানের নবম অধ্যায়ের ২৯ আয়াত দ্রষ্টব্য। ঐ আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবেই উক্ত করের উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ইসলামী সহনশীলতার প্রকাশ হিসেবে প্রায়শঃই ইসলামী শাসনে ইহুদী আর ক্রিশ্চিয়ানদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়। কিন্তু এই করই রাষ্ট্রে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকত্ব(বা ৩য়, নারীদের পরে) দেখিয়ে দেয়। অন্য ভাগে আছে পৌত্তলিকরা, যাদের ধর্মান্তরকরণ বাধ্যতামূলক। কোরানের নবম অধ্যায়ে এদের হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যদি না তারা ইসলামে বিশ্বাস আনে। (আয়াত ৫ দ্রষ্টব্য) পৌত্তলিকদের নোংরা বলা হয়েছে (আয়াত ২৮)।

মোহাম্মদ নিজেও পুতুল ভেঙ্গেছেন কাবা শরীফে। ইসলামী রাষ্ট্রে পুতুল পূজারীদের কোন স্থান নেই। এইসব ইস্যু ব্যাখ্যা না করে কিছু নির্বাচিত মাক্কি আয়াত উদ্ধৃত করে ইসলামী সহনশীলতা প্রমাণের কোন সুযোগ নেই, তা কেবল এই ব্যাপারে কোরানের দৃশ্যমান বৈপরীত্যকেই ঢাকার চেষ্টা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.