আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাইনোসর বিলুপ্তির অজানা রহস্য......

সূত্র: পরথমআলু- নীল তিমিরা ডাইনোসরের চাইতেও বড় মূল রহস্য: যতদুর জানা যায় ডাইনোসরের পূর্বপুরুষরা কেবলমাত্র বনের লতাপাতা খেয়ে বেঁচে থাকত। তারা সবাই ছিল নিরামীষ ভোজী। কিন্তু তাদের সাইজ অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়ার পরিমানটাও ছিল বেশি। যার ফলে খুবদ্রুত বন উজাড় হতে লাগল। এই নিয়ে পরিবেশ সচেতন ডাইনোসররা গভীর চিন্তায় পড়লেন।

তারা অনেক চিন্তাভাবনা করে ঠিক করলেন এখন খেকে গাছপালার পাশাপাশি বনের পশুপাখিও শিকার করবে। আর এভাবে তারা আমীষ খাওয়া শুরু করল। বেশ ভালই দিন কাটতে লাগল। চলে গেল অনেক মিলিয়ন বছর। কিন্তু এভাবে আর কত দিন তাদের ঐ অফুরন্ত ক্ষুধার কারনে বনের সাথে সাথে পশুপাখিও দ্রুত হ্রাস পেতে লাগল।

সব পশুপাখিদের মধ্যে ডাইনোসর প্যানিক ছড়িয়ে গেল। যা তাদের বংশ বিস্তারের গতি আরও কমিয়ে দিল। কারণ সবাই তখন নিজের জীবন বাচতে ব্যাস্ত। এরকম টেনশনে কি আর প্রেম ভালোবাসা হয় ? এতেকরে ডাইনোসরদের খাবার প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসল। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করল এবং একপ্রজাতির ডাইনোসর অন্য প্রজাতির ধরে খেতে শুরু করলেন।

তখন বিজ্ঞ ডাইনোসর গণ বিকল্প খাবার ব্যবস্থা করার জন্য জরুরী সভা আহবান করল। বিকল্প ব্যাবস্থার সন্ধান দাতার জন্য বিশেষ পুরষ্কারের ব্যাবস্থা করা হল। সবাই ঝাপিয়ে পড়ল বিকল্প ব্যাবস্থার সন্ধানে। এমনি ভাবেই একদল ডাইনোসর সমুদ্রের পানিতে বিচরনরত কিছু ক্ষুদ্র প্রানী দেখতে পেল। কয়েকটা খেয়ে দেখল বেশ টেষ্টি খাদ্য।

এই খবর পাওয়া মাত্র সব ডাইনোসর গন ঝাপিয়ে পড়ল সমুদ্রে। ধীরে ধীরে তারা সমুদ্রের গভীরে যেতে শুরু করল আর বড়বড় মাছ পেতে থাকল। তাদের আনন্দ আর দেখে কে। এক সময় দেখাগেল মাটিতে আর কোন ডাইনোসর নেই। সবাই সমুদ্রে নেমে মাছ শিকার শুরু করেছে।

মাছ খেয়ে আর সাঁতার কেটে তাদের জীবন চালাতে লাগল। কিন্তু এখানেই ঘটল বিপত্তি। সমুদ্রে ডাইনোসরের এই আগ্রাসনের ফলে গভীর সমুদ্রে তিমিদের খাদ্যাভাব দেখা দিল। তাদের গুপ্তচর শার্ক এই চাঞ্চল্যকর খবর তিমিদের স্পেশাল ব্রাঞ্চ নীল তিমিদের দপ্তরে পৌছে দিল। ব্যাস, নীল তিমিরা এক ভয়ানক নীল নকশা তৈরী করে ফেলল।

তারা ডাইনোসরদেরকে প্রলুব্ধ করে আরও গভীর সমুদ্রে আনতে, সুইসাইড স্কোয়াডের হৃষ্টপুষ্ট শার্কদের পাঠাল। এরা ডাইনোসরদের দেখা দিয়ে দ্রুত গভীর সমুদ্রে চলে আসত এবং ধরাদিত। এইভাবে বড়বড় শার্কখেয়ে যেসব ডাইনোসর ফিরেযেত তাদের কাছ থেকে গল্প শুনে অন্য ডাইনোসররাও আরও গভীর সমুদ্রে যাওয়ার সুযোগ খুজতে লাগল। কিন্তু এটা যে একটা মৃত্যু ফাঁদ সেটা ডাইনোসরের ইন্টেলিজেস্ন টিম ধরতে ব্যর্থ হল। এরপর আসল সেই ভয়ঙ্কর দিন, যে দিন হাজার হাজার মাইকেল ফেলপস্ শার্ক ডাইনোসরদের লোভ দেখিয়ে দ্রুত পূর্ব পরিকল্পিত স্থানে নিয়ে গেল।

ডাইনোসররা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা চারিদিক থেকে নীল তিমিরা আক্রমন করল এবং ইতিহাসের এক বর্বোরচিত হামলার মাধ্যমে ডাইনোসরের বংশ ধংস করে দিল। তারা ডাইনোসর গুলোকে খেয়ে কাটাগুলো মাটির দিকে ছুড়ে মারতে লাগল যা এখন বিভিন্ন সময় আমাদের গবেষকরা মাটির নিচ থেকে খুজে পান। আর এভাবেই প্রায় "১৬৫ মিলিয়ন বছর" ধরে রাজত্ব করা ডাইনোসরের বিলুপ্তি হল। ****** ইহা একটি সম্পূর্ন কাল্পনিক গবেষনা। জীবিত বা মৃত কোন গবেষনার সাথে কোনধরনের মিল পাওয়া গেলে তাহা কাকতালিয় মাত্র ******  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.