দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
বিশ্বের অসংখ্য প্রাণীর মধ্যে প্রাগৈতিহাসিককালের ডাইনোসরের কামড়ই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিলো বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে। বিজ্ঞানীরা টাইরানোসারস তথা টিরেক্স প্রজাতির ডাইনোসরের কামড়ে জোর সবচেয়ে বেশি থাকার প্রমাণ পেয়েছেন। বায়োলজি লেটারস সাময়িকীতে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।
টিরেক্সের মাথার খুলির লেজার স্ক্যানের ভিত্তিতে করা এ গবেষণায় বলা হয়, এর কামড় ছিল প্রায় তিন টন, যা একটি হাতির ওজনের সমান। লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োক্যামেস্ট্রি ল্যাবরেটরির ড. কার্ল বেটস এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।
গবেষণার জন্য তিনি ও তার সহকর্মী ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির পিটার ফোরকিঙ্গহাম ম্যানচেস্টার জাদুঘরে প্রদর্শিত টিরেক্স ডাইনোসরের কঙ্কালের কপি ব্যবহার করেন।
ড. বেটস বলেন, লেজার স্ক্যানার দিয়ে কঙ্কালের খুলিটি ডিজিটালাইজ করি আমরা। এতে আমাদের কম্পিউটারে মাথার খুলির থ্রিডি মডেল পেয়ে যাই। এরপর আমরা খুলির পেশীগুলোর একটা চিত্র তৈরি করতে সক্ষম হই। এরপর পেশীগুলোকে সক্রিয় করে বিজ্ঞানীরা কম্পিউটারের মাধ্যমে পুরোমাত্রায় ডাইনোসরের কামড়ের শক্তিমত্তা নির্ণয় করতে সক্ষম হন।
মূল গবেষক বলেন, জীবিত অবস্থায় এ পেশীগুলো চোয়ালের কাছাকাছি ছিল এবং একটা দাঁত যখন আরেকটা দাঁতকে আঘাত করে তখন সেই শক্তিটা আমরা পরিমাপ করে ফেলি। পেছনের সারির দাঁতেই আমরা সবচেয়ে বেশি শক্তি লক্ষ্য করি, যা ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার নিউটনের মধ্যে। আর এটা হলো মাঝারি আকারের একটা হাতির ওজনের সমান। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে এই প্রজাতির ডাইনোসরের কামড়ের শক্তি পরিবর্তিত হয় তাও এ গবেষণায় দেখা হয়।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল ক্যাপাবিলিটিস অব লিভিং অ্যান্ড এক্সটিংক্ট অ্যানিমেলস বিভাগের ড. বিল সেলারস বলেন, আমি মনে করি টিরেক্সের কামড় দেয়ায় শক্তি যে অনেক বেশি, সেটাই সবাই আশা করবে।
তবে আমরা যতটা ধারণা করেছিলাম, এর শক্তি তারচেয়েও অনেক বেশি। আর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এর শক্তিটাও বাড়ে। এটাই হলো বিস্ময়কর বিষয়।
এর আগে গবেষণার ভিত্তিতে দাবি করা হয়েছিল, এ জাতীয় ডাইনোসরের কামড়ের শক্তি ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার নিউটন। সূত্র : বিবিসি।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।