কাঁঠাল পাকুক আর নাই পাকুক আজ জ্যৈষ্ঠ মাস , গরমে করি খালি হাঁসফাঁস
বাংলাদেশিদের দুর্নাম আছে চোর দুর্নীতিবাজ হিসেবে, যদিও সব দেশেই এমন আছে কিন্তু আমাদ্র নিয়ে দুর্নাম বেশি । তারপর ও মাঝে মাঝে আমরা সততার এমন কিছু ঘটনার কথা জানতে পারি ( কয়েক মাস আগেও খুব সম্ভবত নিউ ইয়র্ক এক ট্যাক্সি ক্যাব চালক লাখ ডলার এঁর হিরা/ টাকা ফেরত দ্বয়ীয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন) যেটা আমাদের গর্বিত করে, আমাদের জাতিকে সবার সামনে মাথা উঁচু করে তুলে ধরে । এবার তেমন ই একটা খবর ।
যাত্রীর ফেলে যাওয়া দুই লাখ নগদ দিরহাম এবং ১০ লাখ দিরহাম (সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা) মূল্যমানের অলঙ্কার ফেরত দিয়ে অনন্য নজির গড়েছেন দুবাইয়ে ট্যাক্সি ক্যাব চালক বাংলাদেশি আব্দুল হালিম (৩১) ।
যাত্রীর ফেলে যাওয়া নগদ অর্থ ও মূল্যবান অলঙ্কার ফেরত দিয়ে অনন্য নজির গড়েছেন দুবাইয়ে ট্যাক্সি ক্যাব চালক বাংলাদেশি আব্দুল হালিম (৩১)।
এজন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে ‘দুবাই এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে।
আব্দুল হালিম জানান, এক যাত্রী তার ট্যাক্সিতে দুই লাখ নগদ দিরহাম এবং ১০ লাখ দিরহাম (সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা) মূল্যমানের অলঙ্কার ফেলে যান। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছিল, এগুলো কারো কষ্টার্জিত অর্থ ও অলঙ্কার। এতে আমার কোনো অধিকার নেই। ”
জুমিরা লেক টাওয়ারস (জেএলটি) এলাকার আল মাস টাওয়ার থেকে দুইজন যাত্রী ওঠেন তার ট্যাক্সিতে।
এদের মধ্যে একজন মিশরের ব্যবসায়ী, তিনিই ট্যাক্সি ক্যাবে ব্যাগ দুটি ফেলে যান।
হালিম বলেন, “বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে আমি আমার ডিউটি শেষ করে ক্যাবটি পরিষ্কার শুরু করি। এ সময় আমি ট্যাক্সির ভেতর ব্যাগ দুটি দেখতে পেয়ে কৌতুহলবশত ব্যাগ দুটি খুলি এবং এগুলো দেখতে পাই। ”
হালিম গত দুই বছর ধরে দুবাই রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষের (আরটিএ) হয়ে কাজ করছেন। মূল্যবান এই জিনিসগুলো পাওয়ার পর হালিম দ্রুত নাইফ পুলিশ স্টেশনে চলে যান এবং সেখানে হস্তান্তর করেন।
হালিম বলেন, “দুবাইয়ে ট্যাক্সির নিয়ম হলো যদি আপনি গাড়িতে মূল্যবান কিছু পান তবে তা আপনার পার্শ্ববর্তী পুলিশ স্টেশনে হস্তান্তর করার। ”
জিনিসগুলো হারানোর পর ওই যাত্রী দ্রুত পুলিশ স্টেশনে যান এবং তার হারানো জিনিসগুলোর বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। হারানো অর্থ ও অলঙ্কার ফিরে পেয়ে যাত্রী খুশি হন। এতে হালিমের মন আনন্দে ভরে যায়।
হালিমের এই সততার কৃতিত্ব হিসেবে তাকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে এবং দুবাই ট্যাক্সি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও পেয়েছেন।
এছাড়া দুবাই রোড ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষর (আরটিএ) চেয়ারম্যান মাত্তার আল তায়েরও তাকে অর্থ সহায়তা দেন।
দুবাইয়ের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারাও তাকে পুরস্কৃত করেছেন। কৃতিত্ব স্বরূপ হালিমকে ‘দুবাই এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে।
দুই সন্তানের বাবা হালিম ট্যাক্সি ড্রাইভারদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছেন, “সৎ হোন, তাহলে সব ভালো আপনার সঙ্গে থাকবে। আমাকে দেখুন, ব্যাগগুলো ফিরিয়ে দিয়েছি, তাই আমি পুরস্কৃত হয়েছি।
”
দুবাই ট্যাক্সি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মারওয়ান ওসমান আব্দুল কাদের বলেন, “আমরা তার জন্য গর্বিত। ”
সবশেষে বলতে চাই আমরা যা করব তা দিয়েই আমাদের দেশের পরিচিতি হবে । যদি ভাল সততার সাথে থাকতে পারি তাহলে দেশের সুনাম ত হবেই সাথে এত দুর্নীতি থাকবেনা বেক্তিগত পর্যায়ে যেটাও দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।