তরল মৃত্যু পান করে সক্রেটিস যে'দিন অমর হলেন, সে'দিন থেকে আমি দার্শনিক ! বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে 'ইন্ডিয়া আউটলুক'পত্রিকার ধৃষ্টতাপূর্ণ প্রচ্ছদ
ভারতে প্রথম বেড়াতে যাই ২০০৮ সালে । তখন দাদাদের কিপ্টেমির নানা গল্প আমার জানা ছিল, এই যেমন 'দাদা খেয়ে এসেছেন নাকি যেয়ে খাবেন','গোটা একখানা রসগোল্লা দিয়েচি। পুরোটাই খেতে হেব কিন্তু' এইসব। গাঁজাখুরি হোক কিংবা আর যা'ই হোক, গপগুলো বিশ্বাস করতে ভাল লাগত। আরো ভালো লাগতো ভারতীয়দের ভ্রাতৃসমভাবে দেখতে।
এটা ভাবতে ভাল লাগতো যে আমরা আসলে ভাই ভাই, ব্রিটিশদের চক্রান্তে এক রসুইতে হাঁড়ি চড়ে না বটে, কিন্তু মনের টান আত্মার টান আগের মতই আছে। এমন ভাবনা নিয়েই ভারতে আমার প্রথম সফর ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় আমি আমার ভুল বুঝতে পারি। (ঘটনাগুলো পরে অন্য কোন পোস্টে বলব)। ফেরার আগে একটা ব্যপারে নিশ্চিত হই- পুরনো প্রজন্মের বেশীরভাগ মানুষ হয়তো আমাদের ভাই ভাই মনে করে, কিন্তু নতুন প্রজন্ম একেবারে অ্যান্টি বাংলাদেশী প্রজন্ম।
তাদের মধ্যে যারা সবচে' উদারমনস্ক তাদের উদারতা এটুকুই- বাংলাদেশ সম্পর্কে তারা কোন কটুক্তি করে না, নির্লিপ্ত বা ঊদার একটা ভাব দেখায়।
অথচ এই দাদাদের জন্য আমরা জান সঁপে দিতে প্রস্তুত। অন্তত আমাদের কর্মকান্ড তাই প্রমাণ করে। প্রায় বিনামূল্যে নৌ ট্রানজিটের নামে তারা আমাদের ভূমি ব্যবহার করছে। টিপাইমুখ নিয়েও আমাদের খুব উচ্চবাচ্চ্য নেই, তাদের আশ্বাসেই আমরা সন্তুষ্ট।
বলতে গেলে এমন আরো অনেক ঘটনারই জের টানতে হয়, সেসব লিখে লেখাটা ভারী করলাম না। তবে দায়টা একলা আওয়ামী সরকারের নয় । বিএনপিও কিন্তু দাদাবাবুদের পায়ে তেল মাখাতে কম ব্যস্ত ছিল না। তাদের আমলে গ্যস মজুদ নিয়ে মিথ্যাচার করে সব গ্যস পাচার করে দিতে চেয়েছিল দাদাবাবুদের কাছে। এরশাদ চাচাতো এই সে'দিন মনমোহন দাদুর পদধুলি নিয়ে এলেন।
জামা্যাতের বাচ্ছু রাজাকাররাও নাকি প্রয়োজনে ভারতকেই গা ঢাকা দেয়ার নিরাপদ জায়গা মনে করেন। তাদের কোনো খোঁজ ভারত সরকার দিতে পারেনা। অথচ তাদের অনুপ চেটিয়াদের বিনা প্রশ্নে আমরা তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
বাচ্ছু রাজাকার
ভারতীয়দের দৃষ্টি ভংগীর প্রমাণ তাদের পত্রপত্রিকার ভাব দেখলেই পাওয়া যায়। ক'দিন আগে বাংলাদেশের গুনী সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুতে তাদের দু'কলম লিখতে দেখা যায়নি।
অথচ সম্প্রতি বাংলাদেশকে নিয়ে সেদেশের পত্রিকা গোটা একটা সংখ্যাই করে ফেলেছে। কী? খুশি হয়ে ভাবছেন বন্ধুত্বের নিদর্শন পাওয়া গেল শেষমেষ? ভুল! সময় করে পড়ে দেখুন OUTLOOK INDIA । বুঝতে পারবেন বাংলাদেশকে বাংলাদেশকে ভারতীয়রা কী চোখে দেখে। এই নির্মম সত্যি যত তাড়াতাড়ি আমরা উপলব্ধি করব ততই আমাদের মংগল।
আরো দেখুন Times of India
ZEE NEWS
।
বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে 'ইন্ডিয়া আউটলুক'এর ধৃষ্টতাপূর্ণ প্রচ্ছদ
ভারতে প্রথম বেড়াতে যাই ২০০৮ সালে । তখন দাদাদের কিপ্টেমির নানা গল্প আমার জানা ছিল, এই যেমন 'দাদা খেয়ে এসেছেন নাকি যেয়ে খাবেন','গোটা একখানা রসগোল্লা দিয়েচি। পুরোটাই খেতে হেব কিন্তু' এইসব। গাঁজাখুরি হোক কিংবা আর যা'ই হোক, গপগুলো বিশ্বাস করতে ভাল লাগত। আরো ভালো লাগতো ভারতীয়দের ভ্রাতৃসমভাবে দেখতে।
এটা ভাবতে ভাল লাগতো যে আমরা আসলে ভাই ভাই, ব্রিটিশদের চক্রান্তে এক রসুইতে হাঁড়ি চড়ে না বটে, কিন্তু মনের টান আত্মার টান আগের মতই আছে। এমন ভাবনা নিয়েই ভারতে আমার প্রথম সফর ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় আমি আমার ভুল বুঝতে পারি। (ঘটনাগুলো পরে অন্য কোন পোস্টে বলব)। ফেরার আগে একটা ব্যপারে নিশ্চিত হই- পুরনো প্রজন্মের বেশীরভাগ মানুষ হয়তো আমাদের ভাই ভাই মনে করে, কিন্তু নতুন প্রজন্ম একেবারে অ্যান্টি বাংলাদেশী প্রজন্ম।
তাদের মধ্যে যারা সবচে' উদারমনস্ক তাদের উদারতা এটুকুই- বাংলাদেশ সম্পর্কে তারা কোন কটুক্তি করে না, নির্লিপ্ত বা ঊদার একটা ভাব দেখায়।
অথচ এই দাদাদের জন্য আমরা জান সঁপে দিতে প্রস্তুত। অন্তত আমাদের কর্মকান্ড তাই প্রমাণ করে। প্রায় বিনামূল্যে নৌ ট্রানজিটের নামে তারা আমাদের ভূমি ব্যবহার করছে। টিপাইমুখ নিয়েও আমাদের খুব উচ্চবাচ্চ্য নেই, তাদের আশ্বাসেই আমরা সন্তুষ্ট।
বলতে গেলে এমন আরো অনেক ঘটনারই জের টানতে হয়, সেসব লিখে লেখাটা ভারী করলাম না। তবে দায়টা একলা আওয়ামী সরকারের নয় । বিএনপিও কিন্তু দাদাবাবুদের পায়ে তেল মাখাতে কম ব্যস্ত ছিল না। তাদের আমলে গ্যস মজুদ নিয়ে মিথ্যাচার করে সব গ্যস পাচার করে দিতে চেয়েছিল দাদাবাবুদের কাছে। এরশাদ চাচাতো এই সে'দিন মনমোহন দাদুর পদধুলি নিয়ে এলেন।
জামা্যাতের বাচ্ছু রাজাকাররাও নাকি প্রয়োজনে ভারতকেই গা ঢাকা দেয়ার নিরাপদ জায়গা মনে করেন। তাদের কোনো খোঁজ ভারত সরকার দিতে পারেনা। অথচ তাদের অনুপ চেটিয়াদের বিনা প্রশ্নে আমরা তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
বাচ্ছু রাজাকার
ভারতীয়দের দৃষ্টি ভংগীর প্রমাণ তাদের পত্রপত্রিকার ভাব দেখলেই পাওয়া যায়। ক'দিন আগে বাংলাদেশের গুনী সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুতে তাদের দু'কলম লিখতে দেখা যায়নি।
অথচ সম্প্রতি বাংলাদেশকে নিয়ে সেদেশের পত্রিকা গোটা একটা সংখ্যাই করে ফেলেছে। কী? খুশি হয়ে ভাবছেন বন্ধুত্বের নিদর্শন পাওয়া গেল শেষমেষ? ভুল! সময় করে পড়ে দেখুন OUTLOOK INDIA । বুঝতে পারবেন বাংলাদেশকে বাংলাদেশকে ভারতীয়রা কী চোখে দেখে। এই নির্মম সত্যি যত তাড়াতাড়ি আমরা উপলব্ধি করব ততই আমাদের মংগল।
আরো দেখুন Times of India
ZEE NEWS
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।