ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ এবং উপদেষ্টাগণের বক্তব্য শুনে মনে হয় তারা যেন ভারতের নাগরিক। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটও ট্রানজিটের পক্ষে, তবে শর্তসাপেক্ষে। কিন্তু বাংলাদেশের রাস্তাঘাট-সেতু কি ভারতীয় যানবাহন পরিবহনে সক্ষম? আপনারা সকলেই জানেন সক্ষম না। আর সক্ষম করতে হলে বাংলাদেশকে ঋণ করতে হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার। যার বাৎসরিক সুদ ১৭,২২৫.৫ (সতের হাজার দুইশত পঁচিশ দশমিক পাঁচ) কোটি টাকা।
আর আওয়ামী অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের মতে ভারত, নেপাল ও ভূটানের কাছ থেকে বাৎসরিক মোট আয় হবে ৩০০ কোটি টাকা মাত্র। তাহলে মূল বিনিয়োগের ক্ষতিসহ সুদ বাবদ আমরা প্রতি বৎসর ক্ষতিগ্রস্ত হব প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।
তাছাড়া ট্রানজিটের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে বিদেশী গাড়ী রাস্তায় ওঠা মাত্র রাস্তার মালিক সেই রাষ্ট্র হওয়ায় ওই মুহূর্তে বাংলাদেশী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এক কথায় বাংলাদেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়বে। তার সঙ্গে যুক্ত হবে পতিতালয়, মাদক চোরাচালান, স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক সংকট।
তাই আসুন সর্বনাশা ট্রানজিট, করিডোর ও এশিয়ান হাইওয়ের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করি। দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হই দেশরক্ষার সংগ্রামে।
আমরা মনে করি, সীমিত আকারে অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগ ছাড়াই আমাদের যানবাহনে স্থানীয় পরিবহন সংস্থার মাধ্যমে এবং জাতীয় নিয়ন্ত্রনে উক্ত তিন দেশে পণ্য পরিবহন করা যেতে পারে। এতে আমাদের পরিবহন শিল্পে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ এই শিল্পের বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ট্রানজিট-করিডোর প্রতিরোধের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।