আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রমজীবী কর্মীর মজুরি নির্ধারণ

##### শ্রমজীবী কর্মীর মজুরি নির্ধারণ ========================= একটুখানি ভেবে বলুন তো, আমরা বুঝতে চাচ্ছি, --বিনিময়ে কত পেলে, শ্রমজীবীর মতোই আপনিও, শ্রম দিতে পেরে সন্তুষ্ট থাকবেন, সেটাই এখানে মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্যে আপনার কাছ থেকেই আমরা জানতে চাচ্ছি। আমি যখন আপনার মতোন ঐ কারখানাটার গর্বিত মালিকদের একজন, আর আপনি, এই আমার মতোই একজন শ্রমজীবী কর্মী এবং ন্যায্য মজুরী পেতে চাচ্ছেন আপনার দেওয়া শ্রমের বিনিময়ে; আপনি যদি ভাবতে পারেন, তাহলে বুঝতেও পারবেন,- আপনাকে যে-হারে মজুরি দিলে, আপনার কাজের বিনিময়ে আপনাকে আমরা ঠকাইনি ভেবে আপনি তৃপ্ত হবেন, জেনে রাখুন, আপনার মতোই শ্রম দিয়ে সম্মানিত মজুরিটুকু আমিও পেতে চাই, আমার নিবেদিত শ্রমের মজুরি হিসেবে। নিজেকে অদক্ষ দাবি ক’রে বা অযোগ্য সেজে পালানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা জানি, আপনি পারবেন, ভয় পাবেন না। একজন সাধারণ শ্রমজীবী হবার জন্যে কোনো প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা যদি আপনার না-ও থাকে, আপনাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দিয়ে গড়ে তুলবো আমরা।

প্রশিক্ষণকালে আপনি আপনার মজুরির অর্ধেক পাবেন। আপনার যে-মেধার প্রতি শ্রদ্ধাবনত থেকে আমরা আপনাকে মর্যাদা দেই, সেই মেধাটাকে খাটিয়ে যদি আপনি ভেবে দেখতে না-পারেন, আমরা পীড়াপীড়ি করবো না; বাস্তব শিক্ষাই আপনার প্রাপ্য বুঝে নিয়ে আমরা আপনাকে তা’ দেবো। আপনার পছন্দের যেকোনো কারখানায়, খুব বেশি লম্বা সময় আমরা নেবো না আপনার, কিছুকাল, -দু’বছরও হয়তোবা লাগবে না, আপনি চাইলে ছ’মাসেই শিখে নিয়ে, আমাদের মতো শ্রমজীবী কর্মী হয়ে উঠতে পারবেন, -প্রশিক্ষণের পর চার মাস, শ্রমজীবী হিসেবেই তখন পূর্ণ মজুরি পাবেন আপনি। স্বেচ্ছায় আপনি যদি তারপরও, শ্রমজীবী রূপেই চুক্তিবদ্ধ থাকতে চান, -আপনি দক্ষ থেকে দক্ষতর হয়ে উঠলে আপনার মজুরিও বৃদ্ধি পাবে দক্ষতার সাথে সাথে। বৈধভাবে গড়ে ওঠা কোনো প্রতিষ্ঠান আপনাকে কখনো ঠকাবে না।

ঠকাবে না এজন্যেই যে, মিল বা কারখানা তার শ্রমজীবী কর্মীদেরকে ঠকিয়ে এজগতে কোথাও দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, কোনো দল বা বাহিনী, কোনো ধরণের সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমজীবী কর্মীদের যেকোনো মজুরি বেঁধে দিলেই, তা’ আপনি সসম্মানে মেনে নিতে বাধ্য নন। শ্রমজীবী কর্মীরা, কোন্ ধরণের শ্রমে কত হারে মজুরি পাবে, সেটা নিজে চেয়ে নেবার জন্যে আপনার স্বার্থেই আপনাকে আমরা ডেকে এনেছি এজন্যেই যে, আপনি এবং আপনার সন্তানেরাই, কর্মসংস্থানগুলোতে কখনোবা মালিক কখনো শ্রমজীবী কর্মী হিসেবে ছিলেন এবং আগামীতেও এখানে আপনারাই থাকবেন। গণকরণিক : আখতার২৩৯ বাংলাদেশ : ০৫/০৫/২০১৩খ্রি: ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.