সরসিজ আলীম_এর কবিতা
রামধনুতে পত্রখানি
০১
রামধনুতে পত্রখানি যাহা টাঙ্গাইয়া দিয়াছিলে পূর্বাকাশে
বর্ষণ রজনী তুমি, এক অপরাহ্নে তেশরা দিবস ভাদ্রমাসে।
উহার কী যে রঙের কারুকার্য_ Ñ বুঝিবে তাহা জীবনানন্দ দাশ,
উহাতে উড়িলো সোনালী ডানার চিল, হৃদয়ের রঙে আঁকা ঘাস।
ঘাস শাদা শাদা ফুল ফোটাইলো, ফোটাইলো ঘাসফড়িঙের নাচ,
নাচ হলুদ বরন ঘুঙুর পরাইলো লাল পায়_ কিশোরী সাজ।
সাজ ভ্রু আঁকিলো, ভ্রু বরন চক্ষু আঁকিলো, ভ্রমর কৃষ্ণ গুনগুন,
ভ্রমর উড়িলো মেলার মাঠে, নানান বরন পুষ্প মাঠে আগুন।
০২
আগুন লিখিলো বেদনার বরন বস্ত্রশিল্প শ্রমিকের পরাণে,
পরাণ হইতে রক্তারক্তি ঘর্ম গড়াইলো ক্লেদ বরন বাথানে।
বাথানে ঢুকিলো লাল মোরগ, বাহির হইলো বাদাম চক্ষু পেঁচা,
পেঁচার ঝাঁক গগন তলে গৃহহীন, খালি হাতে ঘর্ম কেনাবেচা
করো, করো উদরে উদরে ক্ষুধা রচনা ওগো শ্রমিক ভাইবোন,
ক্ষুধা উড়াও কালো কুন্ডলী ধুম্র, ধুম্র রচিলো পত্রখানি তখন।
তখন পত্রখানি গগণতলে গৃহহীন, রচনা করিবে নীল,
নীল সন্তরণ করে সমুদ্র গর্জনে, সন্তরণ দৌড়াইলো ঢিল।
ঢিল গেলো রোদ্রে, বৃষ্টিতে ভিজিলো, জড়ো হইলো সর্বরঙ শ্রমিক,
হাতের পরিমান কার্য চাহিলো, চাহিদার বরন পারিশ্রমিক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।