আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেকোন সফটওয়্যারের "পোর্টেবল ভার্সন" বানাতে চান??!! মাত্র কয়েকটা ধাপ অনুসরন করে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন যে কোন সফটওয়্যারের "পোর্টেবল ভার্সন"!!!

মাল্টি নিকধারী জারজ ও ইসলামবিরোধী রামছাগল গুলোর প্রবেশ নিষেধ...। চিন্তা করে দেখুন তো আপনি এমন এক ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন, যেটাকে ইনষ্টল বা সেটআপ দেবার কোন বাড়তি ঝামেলা নেই, উইন্ডোজের রেজিষ্ট্রিকে মিছেমিছি নোংরা করছেনা বা বাড়তি রেজিষ্টি-কী দিয়ে উইন্ডোজের রেজিষ্ট্রি কে জঙ্গলে পরিণত করছেনা, চাইলেই ঐ সফটওয়্যারকে কোন পোর্টেবল স্টোরেজ ডিভাইসের মাধ্যমে (যেমন: CD/DVD, USB Flash drive, Flash card.. ইত্যাদি) যেখানে ইচ্ছা, যে কম্পিউটারে ইচ্ছা নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে!!! হ্যাঁ.....আপনি ঠিকই ধরেছেন!! আমি "পোর্টেবল সফটওয়্যার" এর কথা বলছি। "পোর্টেবল" শব্দটা শুনলেই কেমন জানি চোখের সামনে ভেসে উঠে সহজেই বহনযোগ্য এমন কিছু, যেটাকে প্রয়োজন অনুসারে সহজেই যেখানে ইচ্ছে সেখানে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়!! পোর্টেবল সফটওয়্যার গুলো আসলে এমনই। আপনি চাইলেই এটাকে কোন স্টোরেজ ডিভাইসের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নিয়ে গিয়ে ইনষ্টল না করেই সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন। আবার কাজ শেষ হলে সেই পোর্টেবল সফটওয়্যার থাকা সেই স্টোরেজ ডিভাইসকে ঐ পিসি থেকে ডিসকানেক্ট করলেই হল!! আপনি যে কম্পিউটারে ঐ পোর্টেবল সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করেছিলেন, সেখানে থাকবেনা ঐ সফটওয়্যারের ট্রেস!!! অর্থ্যাৎ ঐ পোর্টেবল সফটওয়্যার টা উইন্ডোজে কোন ফাইল বা চিহ্ন রেখে আসবেনা!!! এখন হয়তোবা আপনি ভাবতে শুরু করলেন যে, পোর্টেবল সফটওয়্যার মনে হয় শুধু বহনযোগ্যতার সুবিধার কথা চিন্তা করেই ব্যবহার করা হয়!! আসলে এটা প্রধানত বহনযোগ্যতার সুবিধার কথা চিন্তা করেই ব্যবহার করা হলেও এটার আরো কিছু সুবিধা আছে।

যেমন: আপনার প্রতিদিনকার ব্যবহ্বত বিভিন্ন সফটওয়্যারকে আপনি পোর্টেবল বানিয়ে আপনার পিসির হার্ডডিস্কে রেখে ব্যবহার করলে উইন্ডোজ নতুন করে সেটআপ দেবার পরে সেগুলোকে আর নতুন করে ইনস্টল বা সেটআপ দেবার ঝামেলা থাকবেনা। কখনো চাইলে সেই পোর্টেবল সফটওয়্যার কে অন্য পিসিতে নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, যদি আপনার আশংকা থাকে যে অন্য পিসিতে সেই সফটওয়্যার টা নাও থাকতে পারে!! তবে এইসব পোর্টেবল সফটওয়্যার পাবেন কোথায়??!! হয় ইন্টারনেট থেকে ডাউনোড করতে হবে, নতুবা নিজে নিজেই তৈরী করে নিতে হবে। আপনার যদি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে, তারপরও আপনি নেটে আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটার পোর্টেবল ভার্সন নাও পেতে পারেন বা ব্যান্ডউইথ ও নেটের ডাউনলোড স্পিডের চক্করে পড়ে সেটাও আবার আপনার জন্য কিছুটা ঝামেলার কারন হতে পারে!! তাহলে সবচেয়ে বেটার সল্যুশন হচ্ছে নিজেই বানিয়ে নেওয়া। কিন্তু বানাবেন কিভাবে??!! সমস্যা নেই!!! সেটা শেখানোর জন্যই এই লেখা। মাত্র কয়েকটা ধাপ অনুসরন করে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের পোর্টেবল ভার্সন।

পোর্টেবল সফটওয়্যার বানাতে অনেকেই অনেক ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। তবে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ হচ্ছে ---- VMware ThinApp. যাদের কাছে এই সফটওয়্যারটা নেই, তারা এখানে টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে তা আনকমপ্রেস করে ইনষ্টল করে নিন। ইনস্টল করার প্রসেসটা খুবই সহজ। তারপরও আশা করছি সেই সহজ প্রসেসটা সংক্ষিপ্ত ভাবে দেখিয়ে দিব। যাদের টরেন্ট ডাউনলোড করতে সমস্যা, তারা এখান থেকে সফটওয়্যারটা ডাউনলোড করে নিন এবং ইনষ্টল করার সময় লাইসেন্স-কী হিসেবে নীচে দেওয়া যে কোন একটা সিরিয়াল-কী ব্যবহার করুন।

GU7XA-FTY5L-078GQ-WEPEC-P78E2 CC5NH-6XF1P-M702Y-FZXXT-PLAY4 ZV7XK-6HY97-H78YZ-KYM7X-PLRY8 VF110-6QZ8H-M7D9P-CEXZG-W22G2 AY3W8-0ZG1M-0796Y-LEWGT-WP2C6 YV1N2-24W15-470QY-EWWGV-W30GF GV7MH-0TW04-H74XP-UNQZC-XP2Y0 VG5W2-DDF96-4750P-QQYGX-N30Y6 FZ3X2-0DEEM-47E4Q-L5XZX-ZL8YF YV3TR-04W1P-07DYY-5YM7Z-Z20FF UY7XK-84D8K-H74LZ-HGN59-WG8AA ZF7HU-DFDEP-470KQ-RFWZT-QUAAD GF782-0PZ04-H7D8Z-5FQQG-NU0YF ZF7X0-AKF15-H75YY-J7NXE-NZ8RD VA19H-DHW4P-078AQ-M5YZC-MYKG4 তবে যারা টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করবেন তারা সফটওয়্যারের সাথে সিরিয়াল-কী যুক্ত একটা নোটপ্যাড ফাইল পাবেন। তবে চাইলে উপরোক্ত সিরিয়াল-কী গুলোও ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করছি, VMware ThinApp সফটওয়ারটা ডাউনলোড করেছেন। এবার আসুন ইনস্টল করার ধাপগুলো দেখে নিই (শুধুমাত্র এমেচার পিসি ইউজাররা এই প্রক্রিয়াটি দেখতে পারেন).... ধাপ: ১ ধাপ: ২ ধাপ: ৩ ধাপ: ৪ ধাপ: ৫ আশা করছি আপনারা VMware ThinApp টা সঠিক ভাবে ইনষ্টল করেছেন। এবার হচ্ছে VMware ThinApp ব্যবহার বরে পোর্টেবল সফটওয়্যার বানানো শেখার পালা!!! এটাও কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরন করে বানানো যায়।

তাহলে আসুন দেখে নিই ধাপগুলো: ধাপ: ১ স্টার্ট মেনুস্থ প্রোগ্রাম মেনু থেকে VMware ThinApp সফটওয়ারটা চালু করে নিন। ধাপ: ২ সফটওয়্যারটা চালু করলে নীচের মত দেখবেন। "Next" এ ক্লিক করে পরে স্টেপে চলে যান। ধাপ: ৩ এখান থেকে "Prescan" এ ক্লিক করুন। ধাপ: ৪ এখানে অটোমেটিক্যালী কিছু প্রসেস চালু হবে, তাই কিছুটা সময় লাগতে পারে এখানে।

একটু অপেক্ষা করুন। ধাপ: ৫ এই স্টেপে যে বক্স আসবে, সেটাকে মিনিমাইজ করে নিন এবং আপনি যে সফটওয়্যারটাকে পোর্টেবল বানাতে চান সেটাকে সেটআপ দিন। (আমি "Yahoo Messenger" কে পোর্টেবল বানিয়েছি, তাই এই স্টেপে "Yahoo Messenger" ইনষ্টল করেছি। ) সফটওয়্যারটার ইনষ্টলেশন প্রসেস শেষ হলে এই উইন্ডোর "Postscan" এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান। ধাপ: ৬ এখানে অটোমেটিক্যালী কিছু প্রসেস চালু হবে।

কিছুটা সময় লাগতে পারে এখানে। তাই অপেক্ষা করুন। ধাপ: ৭ আপনি যে সফটওয়ারটাকে পোর্টেবল বানাতে চান, তার নাম দেখাবে। "Next" এ ক্লিক করে পরের স্টেপে যান। ধাপ: ৮ আবারো "Next" এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান।

এখানে কোন অপশন পরিবর্তন করার দরকার নেই। ধাপ: ৯ আবারো "Next" করে পরের ধাপে চলে যান। এখানে কোন অপশন পরিবর্তন করার দরকার নেই। ধাপ: ১০ যেহেতু আমি পোর্টেবল সফটওয়্যারটা তৈরী করার পরে আপাতত পিসির হার্ডডিস্কেই সেভ করে রাখব, তাই এখানে কোন অপশন পরিবর্তন করার দরকার নেই। "Next" এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান।

ধাপ: ১১ চিত্রে দেখানো ভাবে অপশন পরিবর্তন করে "Next" এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান। ধাপ: ১২ এখানে চাইলে আপনি পোর্টেবল সফটওয়্যারটার সেভিং লোকেশন পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তবে আমি ডিফল্ট লোকেশন রেখেছি। তাই "Next" এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান। ধাপ: ১৩ সব অপশন ডিফল্ট রেখে "Save" এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান।

ধাপ: ১৪ কিছু অটো প্রসেসিং শুরু হবে। একটু অপেক্ষা করুন। ধাপ: ১৫ "Next" এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যান। ধাপ: ১৬ ধৈর্য্য ধরে একটু অপেক্ষা করুন। পোর্টেবল সফটওয়্যার তৈরীর মূল প্রসেস শুরু হবে।

ধাপ: ১৭ পোর্টেবল সফটওয়্যার তৈরী শেষ!!! "Finish" এ ক্লিক করলে একটা উইন্ডো খুলে যাবে। ধাপ: ১৮ আপনার তৈরীকৃত পোর্টেবল সফটওয়্যার হার্ডডিস্কের যে লোকেশনে সেভ হয়েছে, সেটার উইন্ডো খুলে যাবে। যেহেতু আমি "Yahoo Messenger" পোর্টেবল বানিয়েছি এবং সেভিং এর জন্য ডিফল্ট লোকেশন হিসেবে C: ড্রাইভ কে নির্ধারন করেছি, তাই আমার সফটওয়্যারটা সেভিং এর লোকেশন ছিল "C:\Program Files (x86)\VMware\VMware ThinApp\Captures........\bin. অর্থ্যাৎ আপনি ঐ লোকেশন অনুসারে যাওয়ার পরে আপনার সফটওয়্যারের নামযুক্ত ফোল্ডারের মধ্যে "bin" নাম ফোল্ডারে আপনার তৈরীকৃত পোর্টেবল সফওয়্যারটা খুজে পাবেন। চাইলে ঐ তৈরী হওয়া সফটওয়্যারকে অন্য কোন ড্রাইভে কপি/কাট করে নিয়ে যেতে পারেন বা পোর্টেবল স্টোরেজ ডিভাইসের মাধ্যমে অন্যত্র নিয়ে গিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন এবং এই পোর্টেবল সফটওয়্যারটা ইনষ্টল করার ঝামেলা নেই। জাষ্ট "Click n Run" অর্থ্যাৎ ক্লিক করেই সফটওয়্যারটা চালাতে পারবেন।

যেহেতু আমি "Yahoo Messenger" এর পোর্টেবল ভার্সন বানিয়েছি, তাই ঐ সফটওয়্যারের আইকনে ক্লিক করে "Yahoo Messenger" চালু করলাম। এভাবে আপনারা আপনাদের পছন্দমত যেকোন সফটওয়্যারের পোর্টেবল ভার্সন খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন!!! ******************************************************************** পরিশিষ্ট: আমি চেষ্টা করেছি বেশ সহজবোধ্য ভাষায় এই লেখাটা লেখার জন্য, যাতে এমেচার পিসি ইউজাররাও এটা থেকে উপকৃত হতে পারেন এবং এই লেখায় কিছু ভুলত্রুটি থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়!! আর যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তো আশা করছি আপনারা শুধরিয়ে দিবেন এবং কোন সমস্যা হলে জানাবেন!! পরিশেষে, যারা ধৈর্য্য সহকারে এই লেখাটা পড়লেন, তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবাই। ---------------------------------------------------------------------------------- পোষ্ট উৎসর্গ: ব্লগার "নিওফাইটের রাজ্যে" কে। যিনি নিজের "Easy কাজে Busy" ভাবটাকে একটু বাদ দিলেই, ব্লগে আমরা একজন ডেডিকেটেড টেকি ব্লগার পেতে পারি!!! এবং যার কাছ থেকে স্কিনশট এডিটিং এর ব্যাপারে শেখা বিদ্যা প্রথমবারের মত এই পোষ্টে এপ্লাই করেছি!! অসংখ্য ধন্যবাদ "নিওফাইটের রাজ্যে" কে!!!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.