আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসঃ রুয়েট, চুয়েট, কুয়েট

দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী! বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ার তৈরির অন্যতম তিনটি প্রধান কারখানা হচ্ছে রুয়েট,চুয়েট, কুয়েট। ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শুরু করে তাদের যাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নয় বছর পূর্তিতে তাদের কে জানায় প্রানঢালা অভিনন্দন ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিধ্যালয় ) ৪৮ বছর, চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিধ্যালয় ) ৪৩ বছর এবং কুয়েট ( খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিধ্যালয়) ৩৮ বছর পার করছে। দেশের উন্নতিতে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে বের হওয়া ইঞ্জিনিয়ার সাহেবারা।

দেশে বিদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেকেই কর্মরত । এছাড়া আন্তর্জাতিক অনেক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টী মেম্বার, রিসার্চার হিসেবে রয়েছেন অনেকে। নিজ কর্মদক্ষতা ও অর্জিত জ্ঞান দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দেশের নাম উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন তারা। তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ছাত্ররা নিজেদের ক্রিয়েটিভ কর্মকান্ডের দ্বারা আলোচিত হচ্ছেন। বিশেষ করে তাদের তৈরি চমৎকার প্রজেক্ট গুলোর কথা প্রায় আসে দেশীয় মিডিয়াতে।

এই ছাড়া যন্ত্র নিয়ে সারাদিন থাকলেও সাহিত্য, শিল্প, ডিবেট এইগুলো সমান তালে দক্ষতা প্রদর্শন করে চলছে ছাত্ররা। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্ররা আন্তর্জাতিক মানের রিসার্চ পেপার পাবলিশ করে থাকেন যদিও সংখ্যায় তুলনামূলক ভাবে তা কম। আরেকটা ব্যাপার আমাদের সামু ব্লগের অনেক নামী ব্লগার এই তিন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র। তবে আক্ষেপ করে বলতে হয় কিছু কথা। সাম্প্রতিক সময়ে নানান ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো গায়ে কালো দাগ লেগেছে।

এর জন্য সম্পুর্ন ভাবে দায়ী নোংরা রাজনীতি ও প্রশাসনের মারাত্নক উদাসীনতা। বিশেষ করে ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি সাম্প্রতিক সময়ে যে কি পরিমান প্রভাব ফেলেছে এই শিক্ষাঙ্গন গুলোতে তা সংবাদপত্রের দৌলতে সবাই জানেন। কথাটি কতজন মানবেন জানি নাহ ইচ্ছা করলেই এই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে পারত। হার্ভাড এম আই টি হয়ত হওয়া সম্ভব হত নাহ কিন্তু ইন্ডিয়ার আই আই টি গুলোর সমকক্ষে পৌছানো যেত সহজেই। কারন এইখান হতে বি এস সি পাশ করা ছাত্র গুলো যখন মেধা মননশীলতার জোরে টপ ইউনিভার্সিটি গুলো শুধু জায়গা করে নেয় না নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে আসে।

এইখানকার শ্রদ্ধেয়ভাজন অনেক শিক্ষকেরাই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকদের সমতুল্য। সেখানে শুধুমাত্র আমাদের দেশের নোংরা রাজনীতি, সরকারের উদাসীনতা ও দূর্নীতির কারনে পিছিয়ে রয়েছি। এটাই সবচেয়ে বড় আফসোস। যাই হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো উত্তোরতর উন্নতি করুক, ছাত্ররা গবেষনার মাধ্যমে ভূমিকা রাখুন বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের উৎকর্ষ সাধনে এবং সর্বোপরি নিজেদের মেধা দ্বারা ভূমিকা রাখুক বাংলাদেশের উন্নয়নে এই আমাদের কামনা এবং দেশের সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। পরিশেষে বলতে চাই আমি এই অধম রুয়েটের স্টুডেন্ট।

প্রচন্ড ভালোবাসি আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে । এই তিনটার ছাত্র ছাত্রীগুলো ঠিক আমার মতই ভালবাসে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে। মোটামুটি সবাই গর্বিত এই খানে পড়তে পেরে। একটা কথা যেন আমরা সর্বদাই মনে রাখি, এই দেশের জনগনের টাকায় কিন্তু আমরা অর্জন করছি আমাদের মূল্যবান প্রকৌশল ডিগ্রীটি। তাই এই দেশের প্রতি আমাদের দায় ও কর্তব্য কিন্তু অনেক।

সেটা পূরনে যেন সবাই যথাযথ ভূমিকা রাখি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.