আফ্রিকার ওকাভাঙ্গো জলাভূমি কিছু প্রানির গল্প এটি। যেখানে, মানুষের বিলাসিতার কারনে ধংশের মুখে পড়ে, তাদের স্বাভাবিক জীবন। শেষ পর্যন্ত, নিজেদের সব দ্বন্দ্ব ভুলে এ হয়ে আন্দোলনে নামে সেই প্রাণীরা।
এ্যনিমেটেড মুভি হলেও, ভালো লাগবে, ছোট-বড় সবার।
.......
বিতৃর্ণ সবুজ প্রান্তর, মাঝদিয়ে নীল জলের ধারা।
এরসাথে আফ্রিকার সব ধরনের প্রানীর স্বাভাবিক জীবন জাবন। এমন একটা দৃশ্য দিয়ে শুরু ছবি। জানা না থাকলে প্রথমে দেখে কেউ বিশ্বাস করতে না মুভিটা অ্যানিমেটেড।
প্রতি বছর আফ্রিকার এই ওকাভাঙ্গো ডেল্টাতে, গ্রীষ্ম শেষে বর্ষায়, পাহাড়ি ঢল নামে। বন্যার পানিতে ডুবে যায়, ওকাভাঙ্গোর ৮০ শতাংশ জমি।
কিন্তু, এই বন্যর পানি, আফ্রিকার চরমভাবাপন্ন জলবাযুতে, শ্যামল আবহাওয়া নিয়ে আসে। অধিকাংশ প্রানীরা এই সময়েই জুটি বাধে। পরবর্তী প্রজন্মকে জন্ম দিতে। কিন্তু, এবছর আর বন্যর পানী আসে না। জলার শেষ বিন্দু পানির জন্য যুদ্ধ হয় প্রতেকের মধ্যে।
সিনেমাটির প্রধান চরিত্র বিলি নামের একটি মিরক্যাট। তার সাথে আছে, আফ্রিকার সিংহ সক্রেটিস। শেষ পর্যন্ত বিলি পানির খোজে যায়, বহুদুর ডেথ ভ্যালিতে..সেখানে তার সাথে দেখা হয়, একটি মেরু ভাল্লুকের সাথে যে, গ্লোবাল ওয়ার্মিয়ের কারনে উত্তর মেরু থেকে ছিটতে পড়েছে। আর আছে, আস্ট্রেলিয়ার ক্যাংগারু যে, মানুষের সৃষ্ট দাবানলে কারনে নিজভুমি, ছাড়তে বাধ্র হয়েছে। এভাবে, মানুষের সাগর দূষণের কারনে গ্যালাপাগস দ্বীপের এক জোড়া দুস্প্রাপ্য কচ্ছপ, ফরাসি মোরগ, তাসমানিয়ান ডেভিলও আসে আফ্রিকায়।
শেষ পর্যন্ত বিলির প্রচেষ্টায়, সবাই জানতে পারে একটি রিসের্টের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সুসিশ্চিত করতে, জলাভূমির উৎসে বাধদিয়া হয়েছে। মাত্র গুটি কয় মানুষে অর্থের লোভ আর বিলাসিতার কারনে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রান-প্রাচুয়েৃ ভরা, ওকাভাঙ্গো জলাভূমি হারিয়ে যাচ্ছে।
এভাবে, পরিচালক সুন্দর ভাবে মানুষের অত্যাচের কিভারে পৃথিবীর প্রানীরা হারিয়ে যাচ্ছে তা বুঝিয়েছেন এই ছবিতে।
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি মূলত, জামার্ন । পরে ইংরেজিতে ডাবিং করা হয়েছে।
পরিচালক দুই জামার্ন, রেইনহার্ট ক্লোস ও হোলগার টাপি।
১৯৪৯ সালে এরিক কারসনারের অ্যনিমেল ইউনাইটেড উপন্যাস নিয়ে করা হয়েছে ছবিটি।
ছবির নায়ক বিলি আর তারবন্ধুদের স্বাভাবি জীবন যাপনেরে মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে, আমরা কতটা নির্মমভাবে, এই পৃথিবী এবং এর প্রাণ-বিচিত্র নষ্ট করছি আমাদের উদাসিনতা কিংবা বিলাসিতার কারনে।
যদি ছবিটি দেখেন, এই প্রানী এই পৃথিবীর কথা কিছুটা হলে ভেবে দেখেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।