মানুষের উপকার কম করলাম না,পরিনামে খেলাম শুধু বাঁশ। তবু হাল ছাড়ি নাই....উপকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ কথা কারও বিশ্বাসযোগ্য নয়, তবে গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যারা কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের বিভিন্ন জীবাণু এবং রোগ বালাইয়ে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। নতুনভাবে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত কম্পিউটারের মাউস টয়লেটের বসার স্থান থেকেও তিনগুণ বেশি নোংরা বা জীবাণুযুক্ত।
অফিসে ব্যবহৃত ১৫৮টি বিভিন্ন সামগ্রির ওপর এই গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়। সেখানে কম্পিউটার কী-বোর্ড ও মাউসকে সবচেয়ে বেশি জীবাণুযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অফিসগুলোতে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। অফিসে সকালে কিংবা দুপুরে খাওয়ার সময়ও তারা ইন্টারনেট ব্রাউজ করছে। আর এ কারণেই টয়লেটের চেয়ে ক্ষতিকর এবং তিনগুণ বেশি জীবাণু কম্পিউটারের মাউসে কিংবা কী-বোর্ডে থাকছে।
ওয়ার্কস্টেশনে বসে খাওয়া-দাওয়া করলে এবং সেই সঙ্গে কাজ করলে খাদ্য টুকরাগুলো কম্পিউটারের কী-বোর্ডের মধ্যে ঢুকে যায়। এসব চর্বিযুক্ত এবং রুটিসহ বিভিন্ন খাদ্য কণা ঢুকে ছারপোকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জীবনচক্রে সহায়তা করে।
বিশেষ করে দেখা যায়, এক মাসেও কম্পিউটারটি ভালোভাবে পরিস্কার করা হচ্ছে না। এজন্য জীবাণুগুলোও বংশবিস্তারে নিশ্চিত থাকে।
ফলে কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটারে কাজ করার সময় খাওয়া-দাওয়া করলে জীবাণুগুলো মাউস থেকে খাদ্যের সঙ্গে মুখের মধ্যে চলে আসে।
ক্ষতিকারক কিছু ব্যাকটেরিয়া গলায় বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।
এই সার্ভেতে দেখা যায় যে, কম্পিউটার মাউসের সবচেয়ে কাছে থাকে কী-বোর্ড। এজন্য নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যবহৃত কি-বোর্ড ও মাউসটিকে সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।