গরিব ঘরের মেয়ে কৈশর অতিক্রম করতে শুরু করলেই অনেক সময় সে তার মাতা-পিতা ও অভিভাবকক’লের দুঃচিন্তা ও মর্মযাতনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নামুরিরহাটের ফজল প্রামাণিকের জীবনে এরূপ ঘটনাই ঘটেছিল। ভিটে বাড়িসহ পাঁচ বিঘা জমি ছিল তার সম্বল। জীবিকার প্রয়োজনে তাকে অন্যের জমিতে কাজ করতে হতো , তার স্ত্রীকেও কাজ করতে হতো জোতদারের বাড়িতে। অভাবের সংসারে ফুটফুটে মেয়ে জো¯œা নিজ সৌন্দর্যে ঘর আলোকিত করলেও ফজল দম্পতির দুঃচিন্তার অন্ত ছিল না।
বাড়ন্ত বয়সী জোৎস্নার দিকে কু-দৃষ্টি দেবার লোকের অভাব হয়নি। তাই এই দুঃচিন্তা ও মর্মযাতনা। সে কারণেই কৈশর পেরোনোর সাথে সাথেই জোৎস্নাকে পাত্রস্থ করা হলো। বর আয়নাল শেক স্থানীয় মাদ্রাসায় পিওন। জোৎস্নার দুই ভাই একই মাদ্রাসার শিক্ষক।
সাংসারিক জীবন শুরু করলেও আয়নালের চাহিদার অন্ত ছিল না। তার সকল আর্থিক ও বৈষয়িক চাহিদা পূরণের সামর্থ জোৎস্নার বাবা ও ভাইদের ছিল না। এর কোন কিছুই আয়নাল বুঝতে নারাজ। জোৎস্নাকে তার পৈতৃক বাড়িতেই ফিরে আসতে হয়। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ফয়সালা হবার কোন সম্ভাবনা কোন আশাই আর আলো দেখাতে পারলো না।
দারিদ্র , নিজের রূপ লাবণ্য ও স্বামীর এই অবহেলা জোৎসার জীবনকে করে তোলে দুর্বিসহ। প্রতিকারের প্রার্থনায় সে মামলা দায়ের করে পারিবারিক আদালতে। ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই আইন মোতাবেক প্রতিটি উপজেলায় গঠন করা হয় ‘পারিবারিক আদালত' ।
প্রতি উপজেলায় কর্মরত ‘মুনসেফ’ ( বর্তমান পদবী ‘সহকারী জজ’ ) পদাধিকার বলে এই আদালতের বিচারকের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন ।
তিনি যখন এই দায়িত্ব পালন করবেন তখন তিনি উক্ত আদালতের ‘জজ’ বলে অভিহিত হবেন। এই আদালত ক) বিবাহ বিচ্ছেদ , খ) দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার , গ) মোহরানা , ঘ) ভরণ পোষণ ও ঙ) সন্তান সন্ততিগণের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাধান সংন্ত্রান্ত বিরোধ সম্পর্কিত বিষয়ে যে কোন মামলা গ্রহণ বিচার ও নিষ্পত্তি করবেন। এটা করতে গিয়ে আদালত মূলত পক্ষগণের মধ্যে আপোষ নিষ্পত্তি বা পূনর্মিলনের চেষ্টা করবেন। তা না হলে আইন অনুসারে রায় ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করবেন। স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্য মোহরানা ও খোরপোষের দাবীতে জোৎ¯œা কর্তৃক দায়েরকৃত মামল আদিতমারী উপজেলা পারিবারিক আদালতে গৃহীত হলো।
বিবাদী আয়নাল সমন পেয়ে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত জবার দাখিল করলো। আইন অনুয়ায়ী আপোষ নিষ্পত্তি বা পূনর্মিলনের প্রাথমিক চেষ্টা সফল হয় নাই। বিজ্ঞ জজ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করলেন। সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে বিজ্ঞ জজ অনুধাবন করলেন গরিবের ঘরে জন্ম গ্রহণ করাই জোৎস্নার ভাগ্য বিপর্যয়ের কারণ । কোন অবস্থাপন্ন ঘরে তার জন্ম হলে নিজ রূপ ও গুণের কারণেই সে প্রতিষ্ঠিত মর্যাদাবান ও স্বচ্ছল যে কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার স্ত্রী হতে পারতো।
স্বামীর সাথে এই বিরোধ ও দূরত্ব জোৎসার জীবনকে কলংকিত করবে , জীবনের অন্ধকার গলির হাতছানি তাকে বিপথগামী করবে। এই উপলব্ধি থেকে বিজ্ঞ জজ শেষ বার জোৎ¯œার বিষয়ে আপোষ নিষ্পত্তি বা পূণর্মিলনের চেষ্টায় ব্রতী হলেন। উক্ত আইনে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিভৃত কক্ষে বিচারের বিধান রয়েছে। বিজ্ঞ জজ তাঁর খাস কামরায় জোৎ¯œা ও আয়নালকে ডেকে নিলেন। জোৎস্না ও আয়নালের দাম্পত্য জীবনে কোন অতৃপ্তি নাই জোৎস্না জানালো আয়নারের আবদার যথাসাধ্য পূরন করা হয়েচে , বিশ্ব এস্তেমায় যাবার জন্য একটি চাদরাও জোৎস্না তার ভাইদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে আয়নালকে কিনে দিয়েছে।
উক্ত সময়ে আয়নালের পরিদেয় পোষাকাদিও জোৎ¯œার কিনে দেওয়া। আয়নাল অকপটেই সব স্বীকার করলো। তারপরও আয়নাল তার স্ত্রী জোৎস্নাকে নিতে গরিমসী করছে। মোহরানা ও খোরপোষের টাকা দিতেও তার অনীহা। এরই মধ্যে আয়নাল বিবাহ করেছে তিন সন্তানের জননী এক তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে।
বিজ্ঞ জজ আলোচনার শুরুতে খাস কামরার দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিবাদমান দম্পতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন কক্ষে তারা চারজন আছেন। কথার মর্ম বুদ্ধিমতী জোৎস্না বুঝতে পারলেও আয়নাল চতুর্থ জনকে খুজতে লাগলো। আয়নালের প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞ জজ জানালেন যে বিবাদমান দম্পতিকে নিয়ে নিভৃতের এই বিচার কক্ষে তারা তিন জন ছাড়াও সকল বিচারকের বিচারক আল্লাহ উপস্থিত আছেন এবং তিনি সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করছেন। তাই বিবাদমান দম্পতিকে এই বিচার কক্ষে নৈতিক সততা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিজ্ঞ বিচারক। উভয়ের কথা শুনে বিজ্ঞ জজ নিজে সমঝোতায় পৌছার জন্য পক্ষগণকে জীবন যাত্রার বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করলেন।
জোৎস্না সবশুনে বললো এই মুহূর্তে সে তার স্বামীর সাথে যেতে রাজি আছে , তবে সমস্যা হচ্ছে আয়নালের দ্বিতীয় বিবাহ। জোৎস্না শর্ত দিলো দ্বিতীয় স্ত্রী আয়নাল ত্যাগ করলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এবার আয়নালের আবদার মোহরানা ও খোরপোষ পরিশোধের দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলে সে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিবে। এখতিযার সম্মত নয় তাই এরূপ আদেশ দিতে বিজ্ঞ জজ অপারগতা প্রকাশ করলেন এবং জানিয়ে দিলেন উভয় স্ত্রীকেই মোহরানা ও খোরপোষের টাকা অবশ্যই আয়নালকে পরিশোধ করতে হবে। আয়নাল এবার জোৎস্নার মোহরানার টাকার পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললো কয়েকটি খেজুরই একজন মুসলমান মেয়ের মোহরানা কিন্তু নিকাহনামায় বেশী লেখা হয়েছে।
বিজ্ঞ জজ দ্বিমত পোষণ করলেন আয়নালের সাথে এবং প্রচলিত আইনের ব্যাখ্যা তাদেরকে দিলেন। বিজ্ঞ জজের টেবিলে মুসলিম আইন ও পারিবারিক আইন সম্পর্কিত বইগুলো রক্ষিত ছিল। ধর্মীয় পোষাক পড়েই আয়নাল আদালতে এসেছিল এবার সে কন্ঠে উষ্ণতা ও দৃঢ়তা নিয়ে বিজ্ঞ জজকে উদ্দেশ্য করে বললো ,‘ আমি মুক্ত আকাশের নীচে মুক্ত মানুষ । আমি আল্লাহর বান্দা । আল্লাহর আইন মানি।
আপনি মানুষ হয়ে মানুষের তৈরী আইন দিয়ে মানুষের বিচার করছেন । আমি এ আইন মানি না । ’ তড়িতে বিজ্ঞ জজের সারা দেহে কাঁপুনি দিয়ে চরম ক্রোধ ছড়িয়ে পড়লো। কিন্তু বিচার করতে গেলে , সমঝোতা আপোষ বা পূণর্মিলন করতে হলে ক্রোধের মতো রিপুকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। বিজ্ঞ জজ ক্রোধ সামলে নিলেন।
দৃঢ় কন্ঠে আয়নালকে উঠে দাড়াতে বললেন এবং আলমারীর সব চাইতে উপরের তাকে রক্ষিত একটি বই দেখিয়ে তাকে তা নিয়ে আসতে বললেন। বিজ্ঞ জজের দৃঢ়তায় সম্মোহিত হয়ে যায় আয়নাল। নির্দেশ মোতাবেক বইটি আনতে গিয়ে আয়নাল বলে , ‘স্যার এটা তো কোর-আন শরীফ’।
বিজ্ঞ জজ বললেন সেটাই তাকে আনতে বলা হয়েছে। এবার আয়নালের গরিমসীর পালা।
সে তার ওজু নাই বলে কোর-আন শরীফ ধরতে অপরগতা প্রকাশ করে। বিজ্ঞ জজ তার নিজস্ব গোসলখানায় ওজু করার অনুমতি দিলেন। এবার আয়নাল স্বীকার করলো যে এই কোর-আন শরীফই হচ্ছে আল্লাহর আইন। তাকে ‘সুরা নেছা’ পড়ে শুনানো হলো। এবার আয়নাল স্বীকার করলো উভয় স্ত্রীকেই নির্ধারিত মোহরানা পরিশোধ করতে হবে।
সে জানালো এই সামর্থ্য তার নাই। তাই জোৎস্না সম্মত হলে সে জোৎস্নাকে নিয়ে যাবে এবং শরিয়ত মোতাবেক উভয় স্ত্রীর সাথে সম-আচরণ করবে। নিজ বাড়িতে আয়নালের একটি মাত্র ঘর , তাই সেখানে দুই স্ত্রীকে সম মর্যাদা দিয়ে সম-আচরন করে বাস করা সম্ভব নয়। আয়নাল জানালো সে পারবে তা করতে । এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সে উদ্ভট অবাস্তব আজগুবি এবং বিকৃত মানসিকতা ও রুচির পরিচয় জ্ঞাপক পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলে।
যা শুনে হাসিও আসে আবার রাগও হয়। জোৎস্না এসব শুনে তার গ্রাম্য স্বভাব সুলভ ভাষায় বলে ‘ও স্যার তাকি হয়!’।
আয়নালকে ,বিজ্ঞ জজ বললেন , হয় দ্বিতীয় স্ত্রীর পাওনা পরিশোধ করে তালাক দিয়ে জোৎস্নাকে নিয়ে যাবে , না হয় জোৎস্নার সমুদয় পাওনা পরিশোধ করবে। এরপর বিজ্ঞ জজ ঊভয়কে চিন্তা ভাবনা ও স্বজনদের সাথে পরামর্শ করার জন্য দুই ঘন্টা সময় দিলেন। তারা উভয়েই খাস কামড়া থেকে বের হয়ে গেল।
আদালতের কর্ম ঘন্টা শেষ হতে চললো , জোৎস্না ও আয়নাল কোন সমঝোতায় পৌছুতে পারলো না । শেষ মুহূর্তে তারা উভয়েই একে একে এসে বিজ্ঞ জজকে এই কথাটাই জানিয়ে গেলো। বিজ্ঞ জজ রায়ের তারিখ ঘোষণা করলেন। নির্ধারিত দিনে রায় ঘোষিত হলো। জোৎ¯œার প্রাপ্য মোহরনা ও খোরপোষ পরিশোধের জন্য আয়নালকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
আয়নাল ‘শালিশী পরিষদে’র অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিবাহ করেছে , এ বিষয়েও জোৎস্না ‘পারিবারিক আদালতে’ প্রতিকার প্রার্থনা করেছিল। আয়নাল দাবী করেছিল সে শালিশী পরিষদের অনুমতি নিয়েছে। এর সমর্থনে সে পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিভ’তি ভ’ষণ ভট্টাচার্যের দস্তখতযুক্ত অনুমতিপত্র দাখিল করে। ১৯৬১ সনের ‘মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে’র ২বি(৫) ধারা অনুসারে কোন অমুসলিম চেয়ারম্যান এইরূপ শালিশী পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান / মেয়র / সেনানিবাস এলাকায় এতদুদ্দেশ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি অ-মুসলমান হন তাহলে তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলার/ সেনানিবাস এলাকায় অনুরূপ দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য একজন মুসলমানকে নির্বাচিত করবেন।
সেক্ষেত্রে উক্ত নির্বাচিত ব্যক্তিই শালিশী পরিষদের ‘চেয়ারম্যানে’র দায়িত্ব পালন করবেন। আয়নালের ক্ষেত্রে ‘পলাশী ইউনিয়ন পরিষদ’ এই নিয়ম অনুসরন করে নাই। বিধায় বিভ’তি বাবুর দেওয়া অনুমতিপত্র বৈধ নয়। বিজ্ঞ জজ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেও এ জন্য আয়নালকে কোন সাজা দিলেন না , এই বিষয়টা বিচারের এখতিয়ার তাঁর নাই। উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আয়নালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত অধ্যাদেশের ৬(৫)(বি) ধারা অনুসারে আয়নালকে দোষী সাব্যস্তপূর্বক জরিমানাসহ কারাদন্ডে দন্ডিত করলেন।
এখানে বলে রাখা ভালো যে শালিশী পরিষদের অনুমতি ব্যতীত কেহ তার স্ত্রীর জীবদ্দশায় পরবর্তী বিবাহ সম্পাদন করলে তাকে তাকে সর্বোচ্চ এক বৎসরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে বা সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত করা যাবে। এবার আয়নাল দায়রা জজ আদালতে আপিল দায়ের করলো। পারিবারিক আপিল না-মঞ্জুর হলে তার বেধোদয় হলো। জোৎ¯œার সাথে আপেষের শর্ত সে মেনে নিলো। এই বিষয়টা বিবেচনা করে বিজ্ঞ দায়রা জজ ফৌজদারী আপিলের রায়ে আসামী আয়নালের প্রতি আরোপিত কারাদন্ডের মেয়াদ কমিয়ে দিলেও বিজ্ঞ উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে উক্ত আসামী কে দোষী সাব্যস্তকরণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন।
আয়নাল সাজা খেটে ও জরিমানা পরিশোধ করে মুক্তিলাভ করলো এবং জোৎ¯œার সাথে নতুন করে দাম্পত্যজীবন শুরু করলো। আয়নাল এভাবেই উপলব্ধি করলো যে তার দাম্পত্য কলহে সমঝোতার পথে যারা তাকে নিরুৎসাহিত করে উপদেশ দিয়েছিল তারা কেহই তার প্রকৃত বন্ধু নয়।
আইনে দাম্পত্য কলহ নিষ্পত্তিতে আপোষ মিমাংসা বা পূণর্মিলনকেই উৎসাহিত করা হয়েছে। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। যথাযথ পরামর্শের অভাবে এই সব বিরোধ পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে মিমাংসিত না হয়ে গুরুতর বিরোদে রূপ নেয়।
যা বিবাদমান পক্ষকে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। রাজনৈতিক বিভাজন ও গ্রাম্য দলাদলিই এরূপ বিরোথকে উস্কে দেয়। এসব বাধা প্রাজ্ঞতার সাথে অতিক্রম করে শালিশী পরিষদকেই দাম্পত্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে মুখ্য ভ’মিকা পালন করতে হবে।
লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।