... সূর্য যেভাবে অস্তাচলে, আমাদের সংলাপ
আবহা, ১৭ এপ্রিল/২০১৩
১
(সিংহরাজের সভাকক্ষ)
শিয়াল উঠিল কহি, 'সিংহরাজ,
কি যে ভাল লাগছে আজ –
আপনার রাজত্বে, বীরত্বের রব উঠে
মহারাজ, মহারাজ, মহারাজ। '
হাতি শুধায়, 'জনাব,
আপনার তরে করিব প্রাণপাত
যদি নেতৃত্ব দেন যোগ্যভাবে
চিতাও সঙ্গে রবে। '
সিংহ আহ্লাদিত কণ্ঠে -
'বটে, বটে, বটে
থাকবেনা দুঃখ এ তল্লাটে
হরিণ শাবক আছে নাকি আরো?
আমার ডেরায় পাঠাতে পার।
আজ তবে সভাভঙ্গ,
আমি এখন একটু ঘুমাব।
২
(৩ মাস পর।
জঙ্গলে খাবার খুঁজতে খুঁজতে ...)
চিতা তখন রাগান্বিত স্বরে-
'আমাদের এলাকার খাবার
পাশের রাজ্য নিচ্ছে কেড়ে
মহারাজের কোন দায়িত্ব নাই?
খায় দায় আর ঘুমায়।
চল, মহারাজকে শুধাই-'
(সিংহের গুহায়)
শিয়াল বলে মহারাজ-
খাদ্যের অভাব চারিদিকে আজ
সিংহ হুংকার ছাড়ে- চুপ বেয়াদপ,
আমার খাদ্যের অভাব নাই
তোদের এর বেশী কি চাই । ।
৩
(৬ মাস পর। সিংহরাজের অন্ধকার গুহার সামনে)
-কে যায়?
আমি শিয়াল, হুজুর
-খেঁক শিয়ালের বাচ্চা, নেমকহারাম সাচ্চা
তুই এদিকে আয়।
(সিংহরাজ আনমনে)
কতদিন তাজা মাংস খাই না,
পোকামাকড়, ব্যাঙ খেতে খেতে মুখ বিস্বাদ
তোকে খেয়ে আজ কাটাব রাত।
(শিয়াল সিংহের মনোভাব বুঝতে পেরে)
'আমার আছে তাড়া, তিনদিন খাবার ছাড়া
এভাবে কি চলে? মহারাজ যদি থাকেন বসে ঘরে।
পাশের রাজ্যর রাজা
দুষ্ট এক ইদুর ছানা, কুটবুদ্ধি সব জানা
তার কাছেই কিনা নাকটা যাচ্ছে কাটা?
রক্ষা করুন মহারাজ, ঘোর বিপদ আজ। '
সিংহ হুঙ্কার ছাড়ে,
'ভাবিস না, ঘার মটকে নেব। কঠিন প্যাদানি দেব
এখন একটু ঘুমিয়ে নেই, আজ ছুটির দিন
রাখিনি কোন কাজ।
'
শিয়াল মুখ আমসি করে-
'যদি বলেন, চিতা-হাতি রাজি
পাশের রাজ্য আক্রমণ করি। '
সিংহ-
'আমার বুক ধরফর করে, আছে গিটে বাত
আজ নাহয় থাক,
আহা, মরি মরি-'
শিয়াল বক্র দৃষ্টি হেনে- 'তাহলে গর্তের ভেতরেই থাক তুমি
ব্যাঙ খাও ধরি, ধরি। '
ছবি-ইন্টারনেট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।