আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তরিকত কি ও কেমন পীরের কাছে যাব? ( পর্ব-৩ )

[ তরিকত কি ও কেন পীরের কাছে যাব? ( পর্ব-১ ) তরিকত কি ও কেমন পীরের কাছে যাব? ( পর্ব-২ ) হাদিছ শরীফে এরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহব্বত করলো, সে ব্যক্তি আমাকেই মুহব্বত করলো”। আপনি যে পীরের হাতে বাইয়াত হবেন, সেই পীরের আকিদা আহ্লে সুন্নত ওয়াল জমাতের আকিদা মোতাবেক ও আমল সম্পূর্ণ ভাবে শরীয়ত অনুযায়ী হতে হবে এবং তাঁর সিলসিলা হুজুরপাক(সঃ)পর্যন্ত একই সুতাই বাঁধা তাকতে হবে। তবেই তিনি খাঁটি পীর বা অলি। আর যদি পীর হয়ে শরীয়ত খেলাফ করেন,নাজায়েজ ও হারাম কাজে লিপ্ত থাকেন তাহলে তিনি খাঁটি পীরের দাবিদার কিছুতেই হতে পারবেন না। মওলানা রুমী(রহঃ) বলেছেন “অনেক সময় শয়তান মানুষের আক্বতীতে বুজুর্গ সেজে প্রকাশিত হয়।

সুতারাং যাচাই বাছাই না করে কারো হাতে হাত দিতে নেই”। তবে এটাও টিক যে, হুজুরপাক(সঃ)বলেন, “নিশ্চিয়ই আল্লাহপাক এই দ্বীনের খেদমত নেবেন, ফাসেক-ফুজ্জার লোকের দবারা”। উদাহারন স্বরূপ, আবু তালেব ৪২ বছর হুজুরপাক(সঃ) এর খেদমত করেছিল কিন্ত ঈমান নছিব হয়নি। কোরআন শরীফে হরকত (জের,জবর,ও পেশ) সংযোজনকারি হাজ্জাজ বিন ইউছুপ জালেম হওয়া সত্বেও আল্লাহপাক তাঁর কাছ থেকে কোরানের খেদমত নিয়েছেন। আল্লাহপাক বলেন, “সেই ব্যক্তিকে অনুসরণ করোনা, যার ক্বলবকে আমার জিকির থেকে গাফেল করেছি।

সে নফসকে অনুসরণ করে,তাই তাঁর কাজগুলো(আমলগুলো)শরীয়তের খেলাফ”(সুরা-কাহাফঃ২৮)। এসব কষ্টি পাথরে যাচাই করলে, আল্লাহর দরবারে লাখো শোকর,আমদের কাগতিয়ার মহান মোর্শেদ হযরত শায়খ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এর দ্বারা নাজায়েজ ও হারাম কাজ তথা শরীয়তের খেলাফ হয়না এই জন্য, তাঁর মৌখিক জিকির ও ক্বলবী জিকির দুটিই জারী রয়েছে। (আলহামদুলিল্লাহ্‌)। এ কথা বলার অবকাশ রাখেনা যে পীর স্মপ্রদায়ের আজ নিখুঁত ও উজ্জল দিস্টান্ত হলেন, কাগতিয়ার মহান মোর্শেদ হযরত শায়খ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব। যিনি সম্পূর্ণভাবে শরীয়ত পালন করেন।

যেখানে “তাওয়েজ্জুহু ও ইন্দিরাজুন নেহায়া ফিল বেদায়া” বিশিষ্ট তরিকত বর্তমানে নিখুঁতভাবে সকল বৈশিস্টের আলোকে পরিচালিত রাউজান থানার কাগতিয়ার আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে। । ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কেরামগন কোরআন, হাদিছের দ্বস্টিতে ইজতিহাদ করতঃ যিকিরকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। (১) মৌখিক যিকির অর্থাৎ-তসবিহ,তাহলীল,দোয়া-দরুদ, কোরআন তেলাওয়াত,ওয়াজ নসিহত ইত্যাদি। (২) ক্বলবী যিকির বা অন্তরের যিকির, যা একমাত্র ক্বলবের দ্বারাই সম্ভব।

তফসীরে মাযহারিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “দায়েমী হুজুর বা যিকির কেবলমাত্র ক্বলবের দ্বারাই সনভব। কেননা মুখ দ্বারা দায়েমি বা সার্বক্ষণিকভাবে যিকির অসম্ভব”। আল্লাহপাক বলেন, “যারা দাডানো,বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহপাকের যিকির করে (তারাই জ্ঞানী)”(সুরা আল ইমরানঃ১৯১)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় “তফসিরে কবিরে”উল্লেখ আছে,হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন কোরআন শরীফে বর্ণিত দাডানো,বসা ও শোয়া এই তিন অবস্হা ব্যতীত মানুষের যদি চতুর্থ কোন অবস্হা থাকতো তবে সেই অবস্হায়ও আল্লাহ তাঁকে যিকির করার নির্দেশ দিতেন। উক্ত তফসিরে আরো উল্লেখ আছে, উক্ত আয়াত দ্বারা উদ্দ্যেশ্য হলো এই যে, মানুষ সর্বদা দায়েমিভাবে আল্লাহপাকের যিকির করবে।

কেননা কোরআনে বর্ণিত তিন অবস্হা ব্যতীত মানুষের অন্য কোন অবস্হা নেই। (চলবে) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.